ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মহাজোট থেকে এককভাবে জাপা পেল ২৯ আসন, উন্মুক্ত ১৩২

প্রকাশিত: ০৫:১২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

 মহাজোট থেকে এককভাবে জাপা পেল ২৯ আসন, উন্মুক্ত ১৩২

রাজন ভট্টাচার্য ॥ আওয়ামী লীগের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টি আসন পেল ২৯টি। তবে জাপা নেতারা বলছেন, মূলত ৪২টি আসনে জাপাকে ছাড় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৯টিতে একক প্রার্থী ও বাকি ১৩টি আসনে জাপা ও আওয়ামী লীগ মিলিয়ে দুই দলের প্রার্থীই নির্বাচন করবেন। এরা প্রত্যেকেই মহাজোটের মনোনীত। এসব আসনে উভয় দলের হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় জোটের পক্ষ থেকে আলোচনাসাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে এই তালিকার বাইরে আরও ১৩২টি আসনে জাপার দলীয় প্রার্থী দেয়া হয়েছে। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে দলপ্রধান এরশাদকে একটি আসনে ছাড় দেয়া হয়েছে। এই তালিকায় আওয়ামী লীগের এক সময়ের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের ভাগ্নিজামাই জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নাম নেই। মহাজোটে সমঝোতা হওয়া ২৯ আসনে শুধু লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন হবে। উন্মুক্তসহ জাপার ১৩২ আসনে লড়াই হবে লাঙ্গল ও নৌকাসহ অন্যান্য দলীয় প্রতীকে। ইতোমধ্যে জাপার পক্ষ থেকে উভয় তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। রবিবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। তাই জাপা নেতারা জানিয়েছেন, মহাজোটে আর আসন বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আসন কম পাওয়া নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও বৃহৎ স্বার্থে সবকিছু বাদ দিয়ে নির্বাচনমুখী হতে চান তারা। সব মিলিয়ে এবারের সংসদ নির্বাচনে ১৭৪টি আসনে জাপার প্রার্থীরা লড়বেন। জাপা সূত্র বলছে, চাহিদা অনুযায়ী আসন না পাওয়ার ইঙ্গিত অনেক আগেই পেয়েছিলেন এরশাদ। তাই এ নিয়ে তিনি ক্ষোভও জানিয়েছিলেন। প্রয়োজনে মহাজোটের সঙ্গে না থাকারও পরিকল্পনা ছিল। বিষয়টি ক্ষমতাসীনরা আঁচ করতে পেরেই এরশাদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দ্রুত সরিয়ে দেয়া হয় এরশাদের সবচেয়ে বেশি আস্থাভাজন মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে। পাঁচদিনের মাথায় হাওলাদারকে দল প্রধানের পরবর্তী ক্ষমতা দিয়ে বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন নতুন মহাসচিব যিনি রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিত মশিউর রহমান রাঙ্গা দল পরিচালনা করছেন। তার স্বাক্ষরকৃত মনোনয়নের চূড়ান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে প্রার্থীদের হাতে। নির্বাচন কমিশনেও তাকে নতুন দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। মহাজোটে জাপার ২৯ প্রার্থী যারা ॥ নীলফামারী-৩ আসনে মেজর অব. রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আহসান আদেলুর রহমান, লালমনিরহাট-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, রংপুর-১ মোঃ মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-৩ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, কুড়িগ্রাম-১ একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদার, বগুড়া-৬ মোঃ নুরুল ইসলাম ওমর, বগুড়া-৭ এ্যাডভোকেট আলতাফ আলী, বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া টিপু, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতনা, পিরোজপুর-৩ ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী, টাঙ্গাইল-৫ শফিউল্লাহ আল মুনির, ময়মনসিংহ-৪ বেগম রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক চুন্নু, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ সেলিম ওসমান, সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ, সিলেট-২ ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ জিয়াউল হক মৃধা, ফেনী-৩ লে. জে. (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর-২ মোঃ নোমান, চট্টগ্রাম-৫ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ১৩ আসনসহ জাপার উন্মুক্ত প্রার্থী ॥ রংপুর-২ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শাবলু, কুড়িগ্রাম-৩ আক্কাস আলী সরকার, কুড়িগ্রাম-৪ মেজর (অব) আশরাফ উদ দৌলা, গাইবান্ধা-৩ ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী, খুলনা-১ সুনীল শুভরায়, সাতক্ষীরা-১ সৈয়দ দিদার বখত্, সাতক্ষীরা-২ শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন, সাতক্ষীরা-৪ আব্দুস সাত্তার মোড়ল, জামালাপুর-৪ মোখলেছুর রহমান, শেরপুর-১ আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন, শেরপুর-৩ মোঃ আবু নাসের, সিলেট-৫ সেলিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ কাজী মামুনুর রশীদ, পঞ্চগড়-১ আবু সালেক, পঞ্চগড়-২ লুৎফর রহমান রিপন, ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজ উদ্দিন, দিনাজপুর-১ মোঃ শাহীনুর ইসলাম, দিনাজপুর-২ মোঃ জুলফিকার হোসেন, দিনাজপুর-৪ মোঃ মোনাজাত চৌধুরী, দিনাজপুর-৫ সোলায়মান সামী, দিনাজপুর-৬ মোঃ দেলোয়ার হোসেন, নীলফামারী-১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, লালমনিরহাট-১ মোঃ খালেদ আখতার, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, রংপুর-৫ মোঃ ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, গাইবান্ধা-৪ কাজী মোঃ মশিউর রহমান, গাইবান্ধা-৫ এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, জয়পুরহাট-১ আসম মোক্তাদির তিতাস, জয়পুরহাট-২ কাজী মোঃ আবুল কাশেম, বগুড়া-৪ হাজী নুরুল আমিন বাচ্চু, বগুড়া-৫ তাজ মোহাম্মদ শেখ, নওগাঁ-১ আকবর আলী কালু, নওগাঁ-২ মোঃ বদিউজ্জামান, নওগাঁ-৩ এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন, নওগাঁ-৪ মোঃ এনামুল হক, রাজশাহী-২ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, রাজশাহী-৫ মোঃ আবুল হোসেন, রাজশাহী-৬ মোঃ ইকবাল হোসেন, নাটোর-১ মোঃ আবু তালহা, নাটোর-২ মোঃ মুজিবুর রহমান সেন্টু, নাটোর-৩ ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৩ মোঃ আলমগীর হোসেন, পাবনা-১ সরদার শাহজাহান, পাবনা-৫ মোঃ আব্দুল কাদের খান, মেহেরপুর-১ আব্দুল হামিদ, মেহেরপুর-২ মোঃ কেতাব আলী, কুষ্টিয়া-১ মোঃ শাহারিয়ার জামিল, কুষ্টিয়া-৪ মোঃ আশরাফুল সোলাইমান, চুয়াডাঙ্গা-১ এ্যাডভোকেট মোঃ সোহরাব হোসেন, যশোর-২ এবিএম সেলিম রেজা, যশোর-৩ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, যশোর-৪ মোঃ জহুরুল হক, যশোর-৫ এমএ হালিম, যশোর-৬ মোঃ মাহাবুব আলম, মাগুরা-১ মোঃ হাসান সিরাজ, নড়াইল-১ মোঃ মিল্টন মোল্যা, নড়াইল-২ খন্দকার ফায়েকুজ্জামান, বাগেরহাট-৩ মোঃ সেকেন্দার আলী মনি, বাগেরহাট-৪ সোমনাথ দে, খুলনা-৪ হাদিউজ্জামান, খুলনা-৫ মোঃ শহীদ আলম, খুলনা-৬ শফিকুল ইসলাম মধু, বরগুনা-২ মিজানুর রহমান মল্লিক, পটুয়াখালী-৩ মোঃ সাইফুল ইসলাম, পটুয়াখালী-৪ আনোয়ার হোসেন, ভোলা-১ কেফায়েত উল্লাহ নজিব, ভোলা-৩ নুরুন্নবী সুমন, বরিশাল-২ সোহেল রানা, বরিশাল-৫ একেএম মর্তুজা আবেদীন, ঝালকাঠি-১ এমএ কুদ্দুস খান, ঝালকাঠি-২ এমএ কুদ্দুস খান, পিরোজপুর-১ মোঃ নজরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৪ সৈয়দ মোস্তাক হোসেন রতন, টাঙ্গাইল-৭ মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির, জামালপুর-১ আব্দুস সাত্তার, জামালপুর-২ মোস্তফা আল মাহমুদ, জামালপুর-৩ লে. কর্নেল (অব) মঞ্জুর আহাদ হেলাল, ময়মনসিংহ-৫ মোঃ সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৬ ডাঃ কেআর ইসলাম, ময়মনসিংহ-৭ বেগম রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৯ হাসনাত মাহমুদ তালহা, নেত্রকোনা-৩ মোঃ জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ-৬ নুরুল কাদের সোহেল, মানিকগঞ্জ-৩ জহিরুল আলম রুবেল, মুন্সীগঞ্জ-১ শেখ সিরাজুল ইসলাম, মন্সীগঞ্জ-৩ গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ঢাকা-২ শাকিল আহমেদ শাকিল, ঢাকা-৭ তারেক আহমেদ আদেল, ঢাকা-৮ মোঃ ইউনুস আলী আকন্দ, ঢাকা-১০ মোঃ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-১১ এসএম ফয়সল চিশতী, ঢাকা-১২ নাসির উদ্দিন সরকার, ঢাকা-১৩ শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ঢাকা-১৪ মোস্তাকুর রহমান, ঢাকা-১৫ মোঃ শামসুল হক, ঢাকা-১৭ এইচএম এরশাদ, ঢাকা-১৯ কাজী আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা-২০ খান মোঃ ইস্রাফিল, গাজীপুর-৩ আফতাব উদ্দিন আহমেদ, গাজীপুর-৫ রাহেলা পারভীন শিশির, নরসিংদী-১ মোঃ শফিকুল ইসলাম, নরসিংদী-২ মোঃ আজম খান, নরসিংদী-৩ আলমগীর কবির, নরসিংদী-৪ মোঃ নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, নরসিংদী-৫ এমএ সাত্তার, নারায়ণগঞ্জ-১ আজম খান, রাজবাড়ী-১ আক্তারুজ্জামান হাসান, রাজবাড়ী-২ এবিএম নুরুল ইসলাম, শরীয়তপুর-৩ মোঃ আবুল হাসান, সুনামগঞ্জ-৫ নাজমুল হুদা, সিলেট-১ মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ মোঃ ওসমান আলী, সিলেট-৪ আহমেদ তাজউদ্দিন তাজ রহমান, মৌলভীবাজার-২ এ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম শামীম, হবিগঞ্জ-১ মোঃ আতিকুর রহমান, হবিগঞ্জ-২ শংকর পাল, হবিগঞ্জ-৩ মোঃ আতিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ তারেক এ আদেল, কুমিল্লা-১ মোঃ আবু জায়েদ আল মাহমুদ, কুমিল্লা-২ মোঃ আমির হোসেন, কুমিল্লা-৩ মোঃ আলমগীর হোসেন, কুমিল্লা-৪ মোঃ ইকবাল হোসেন রাজু, কুমিল্লা-৫ মোঃ তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-৭ মোঃ লুৎফর রেজা, কুমিল্লা-৮ নুরুল ইসলাম মিলন, কুমিল্লা-৯ এটিএম আলমগীর, কুমিল্লা-১১ খায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, চাঁদপুর-১ এমদাদুল হক, চাঁদপুর-২ এমরান হোসেন মিয়া, চাঁদপুর-৪ মোঃ মাইনুল ইসলাম, নোয়াখালী-১ আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক, নোয়াখালী-২ হাসান মঞ্জুর, নোয়াখালী-৩ ফজলে এলাহী সোহাগ, নোয়াখালী-৪ মোবারক হোসেন, নোয়াখালী-৫ সাইফুল ইসলাম, নোয়াখালী-৬ নাসিম উদ্দিন মোঃ বায়জিদ, লক্ষ্মীপুর-১ আলমগীর হোসেন, লক্ষ্মীপুর-৪ আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-২ জহুরুল ইসলাম রেজা, চট্টগ্রাম-৪ দিদারুল কবির, চট্টগ্রাম-৮ ফাতেমা খুরশীদ সোমাইয়া, চট্টগ্রাম-১২ মোঃ নুরুচ্ছফা সরকার, চট্টগ্রাম-১৪ আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ, খাগড়াছড়ি সোলায়মান আলম শেঠ ও রাঙ্গামাটি এএকে পারভেজ তালুকদার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রথমে আওয়ামী লীগের কাছে ১০০ আসন চেয়ে তালিকা দেয় জাতীয় পার্টি। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরশাদ ও রওশনের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেন। এক পর্যায়ে জাপা ৩০টি আসন ছাড় দিয়ে ৭০ প্রার্থী তালিকা দেয় ক্ষমতাসীন দলের হাতে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বার বারই বলে আসছিলেন শরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ৭০টি আসন ছাড় দেয়া হবে। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৬০টি আসন ছাড় দেয়ার ঘোষণা আসে। ১৪ দলীয় জোট ও যুক্তফ্রন্ট ছাড়া জাপার ভাগ্যে ৪২ আসন জোটে। যার মধ্যে ২৯টিতে একক প্রার্থী, বাকি ১৩ আসনে জাপা ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাখা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ৪২ জনই মহাজোটের প্রার্থী। কৌশলগত কারণে একই আসনে একাধিক প্রার্থী রাখা হয়েছে। তবে মহাজোটের তালিকার বাইরে অন্য আসনগুলোতে দল চাইলে নির্বাচন করতে পারে, এমন ঘোষণাও দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। জাপা সূত্র বলছে, যৌথ ১৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বা কোন কারণে নির্বাচনে অযোগ্য হয় তাহলে সব আসনে মূল লড়াই হবে লাঙ্গল আর নৌকায়।
×