ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের হুঁশিয়ারি ॥ হুয়াওয়ে প্রধান নির্বাহীর মুক্তি দাবি

কানাডাকে ‘কঠিন পরিণতি’ ভোগ করতে হবে

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

কানাডাকে ‘কঠিন পরিণতি’  ভোগ করতে হবে

চীন শনিবার টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়ানঝৌয়ের আশু মুক্তি চেয়ে বলেছে এর অন্যথা হলে কানাডাকে ‘কঠিন পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। মেং ওয়ানঝৌ ১ ডিসেম্বর ভাঙ্কুভারে গ্রেফতার হওয়ার কয়েকদিন পর কানাডার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রকাশ করে। বেজিং এ ঘটনাকে ‘চরম বিরক্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছে। গার্ডিয়ান। মেংকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের কাছে সরঞ্জামাদি বিক্রির চেষ্টার জন্য মেংকে গ্রেফতার করা হয়। মেং হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন জেংফেইয়ের মেয়ে। তিনি একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সিএফও এবং ডেপুটি চেয়ারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হলে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক মামলা হতে পারে। একেকটি মামলায় তার ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে। বেজিংয়ে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূতকে শনিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। বলা হয়েছে, চীন বন্দী ব্যক্তির আইনগত অধিকার সুরক্ষার জন্য তাকে অবিলম্বে ছেড়ে দেয়ার জন্য কানাডার প্রতি আহবান জানাচ্ছে। অন্যথায় কানাডাকে এর দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে। এতে আরও বলা হয়, মেংকে আটক করে তার অধিকারকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ করা হয়েছে। কোন কারণ ছাড়া আইন উপেক্ষা করেই তাকে আটক করা হয়েছে। মেংকে শুক্রবার কানাডার একটি আদালতে হাজির করা হয়। তার জামিনের সিদ্ধান্ত সোমবার পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, হুয়াওয়ের কর্মকর্তা গ্রেফতারের সঙ্গে কানাডা সরকারের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। হুয়াওয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, মেং ঠিক কী অন্যায় করেছেন সে সম্পর্কে তারা জানেন না। বেজিংয়ের বিরুদ্ধেও না জানিয়ে লোকজনকে গ্রেফতার করার বহু নজির আছে এবং এ কারণে মানবাধিকার গ্রুপগুলো চীনের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ করে থাকে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, রেন হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠার আগে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সদস্য ছিলেন। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠার পরও চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। এভাবে কোম্পানির সঙ্গে চীনের সেনাবাহিনীর একটি যোগসূত্র ছিল। চীন দাবি করেছে, হুয়াওয়ে একটি বেসরকারী কোম্পানি, কর্মচারীরাই প্রতিষ্ঠানটির মালিক। পশ্চিমা দেশগুলোর বাজারে হুয়াওয়ের একটি অবস্থান তৈরি হয়েছে। কোম্পানিটি যুক্তরাজ্যে থ্রিজি ও ফোর জি নেটওয়ার্কিং সিস্টেম সরবরাহ করেছে।
×