ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে ছেলের হাতে বাবা ও শ্যালকের হাতে ভগ্নিপতি খুন

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

  গাজীপুরে ছেলের হাতে  বাবা ও শ্যালকের হাতে ভগ্নিপতি খুন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ রবিবার কালীগঞ্জে এক যুবক তার ঘুমন্ত বাবাকে ছুরিকাঘাত করে ও পিটিয়ে খুন করেছে। এ সময় বাধা দেয়ায় ওই যুবকের রডের আঘাতে তার মা ও বড়ভাই আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলেকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এদিকে কালিয়াকৈরে নেশার টাকা না পেয়ে এক যুবক তার ভগ্নিপতিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোমবাজার এলাকার আবদুল হাই (৬০) ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৫০) একটি কক্ষে এবং তাদের বড় ছেলে হাসিবুর রহমান নিলয় (২০) ও ছোট ছেলে নকিব হাসান হৃদয় (১৮) অপর একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন রবিবার সকালে নকিব হাসান হৃদয় তার ঘুমন্ত বাবাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও মাথায় রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এ সময় টের পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠে স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে হৃদয় তার মাকেও রড দিয়ে আঘাত করে। মায়ের চিৎকারে বড়ভাই নিলয় এগিয়ে গেলে হৃদয় রড দিয়ে তাকেও আঘাত করতে থাকে। আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল হাইকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় এলাকাবাসী ঘাতক ছেলে হৃদয়কে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। এদিকে কালিয়াকৈরে নেশার টাকা না পেয়ে মাদকাসক্ত এক যুবক তার ভগ্নিপতিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। নিহতের নাম আবদুর রহিম মিয়া (৩৮)। সে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আউচপাড়া এলাকার মৃত আবদুল আজিজের ছেলে। জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক আড়াবাড়িি দীঘিরপাড় এলাকার খালেদাকে বিয়ে করে আবদুর রহিম মিয়া। বিয়ের পর সে শ্বশুরের জমিতে বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করতে থাকে। শনিবার রাতে ভগ্নিপতি রহিম মিয়া ও বোন খালেদার কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চায় সজিব। টাকা না দেয়ার তাদের মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। একপর্যায়ে সজিব একতারা দিয়ে তার ভগ্নিপতি রহিম মিয়ার ঘাড়ে আঘাত করে এবং গলাটিপে ধরে। এতে রহিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা রহিমকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নান্দাইলে চালক সংবাদদাতা নান্দাইল, ময়মনসিংহ থেকে জানান, উপজেলায় সুহেল মিয়া (২৫) নামে এক চালককে হত্যা করে ইজিবাইকটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। শনিবার গভীর রাতে মুশুলী ইউনিয়নের পালাহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুহেল মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার জেলখানা মোড় এলাকার মৃত আবু তাহেরের পুত্র। জানা গেছে, শনিবার রাত দুইটার দিকে পুলিশ খবর পায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে পালাহার নামক স্থানে একটি লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে সুহেলের লাশ উদ্ধার করে। নিহত সুহেলের বড়ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, সুহেল প্রতিদিনের মতো শনিবার দুপুরে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত ঘরে ফেরেনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর একপর্যায়ে রবিবার সকাল ১০টার দিকে নান্দাইল চৌরাস্তা হাইওয়ে থানায় একটি লাশ উদ্ধারের খবর পায়। পরে থানায় এসে সুহেলের লাশ দেখতে পাই। হাজীগঞ্জে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা চাঁদপুর থেকে জানান, হাজীগঞ্জের রেললাইনের পাশ থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে জিআরপি পুলিশ। রবিবার সকাল ৮টায় চাঁদপুর জিআরপি পুলিশের এএসআই রাশেদ এ মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিখোঁজ ব্যবসায়ী হলেন হাজীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী আলহাজ আবদুল মতিনের ছোট ছেলে এরশাদ উল্যাহ কাঞ্চন (৩৮)। নিখোঁজ ব্যবসায়ী এরশাদ উল্যাহর বড়ভাই আতিক উল্যাহ ডিলার জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার সময় ব্যবসায়িক তাগাদার জন্য (বাকি টাকা তোলার) কাঞ্চন দোকান থেকে বের হয়ে যায়। এর পর আর তার খোঁজ মেলেনি।
×