ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবসা দ্বিগুণ করার ঘোষণা সামিট পাওয়ারের

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

 ব্যবসা দ্বিগুণ করার ঘোষণা সামিট পাওয়ারের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের (এসপিএল) ব্যবসা দ্বিগুণ করার ইঙ্গিত দিলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান আজিজ খান। আগামীদিনের বিদ্যুতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হচ্ছে এসপিএল। এ জন্য শেয়ারহোল্ডারদের অর্থায়ন ও সমর্থন কমনা করেন আজিজ খান। রবিবার রাজধানীর কৃষিবীদ ইনস্টিটিউটে কোম্পানির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সমাপ্ত ২০১৮ অর্থবছরের জন্য ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের পরে গাড়িঘোড়া আর এখনকার মতো থাকবে না। সব বিদ্যুত নির্ভর হয়ে যাবে। এখন দেখা যায় আমাদের দেশের ছোট ছোট গাড়িগুলো বিদ্যুতের মাধ্যমে চলে। একটি সময় আসবে যখন দেশের বড় গাড়িগুলোও চালিত হবে বিদ্যুত শক্তির মাধ্যমে। সে সময় বিদ্যুত চাহিদা বর্তমানের তুলনায় অনেকগুণ বেড়ে যাবে। সেই বিদ্যুত চাহিদার কথা চিন্তা করে আমরা আমাদের কোম্পানিকে তৈরি করছি। যাতে করে আমরা বিদ্যুত উৎপাদন ও সরবরাহ সেই অনুযায়ী বাড়াতে পারি। আজিজ খান বলেন, প্রতি চার-পাঁচ বছর পরপর মোট সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণ হচ্ছে। বর্তমানে সামিট পাওয়ার লিমিটেডের এ্যাসেট বা সম্পদ ৬,৪৩৪ কোটি টাকা। আগামী পাঁচ বছরে তা দ্বিগুণ করতে হলে আমাদের ১২ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন অর্থায়নের। এদিক থেকে আমাদের কোম্পানির সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এই অর্থায়নে এখন বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) সবচেয়ে কম মূল্যে বা সুদে আমাদের অর্থায়ন করছে। বর্তমানে শিল্প কলকারখানার চাহিদার তুলনায় গ্যাসের উৎপাদন কম। আশা করা যায় ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ এই চাহিদা পুরণ হয়ে যাবে। তখন বিদ্যুতের উৎপাদন অনেকগুণ বেড়ে যাবে। বর্তমানে শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী সামিট পাওয়ারের প্রশংসা শোনা যায়। এই প্রশংসা ধরে রাখতে শেয়াহোল্ডারদের কাছ থেকে অর্থায়ন ও সমর্থনসহ সব ধরনের সহযোগিতা কমনা করেন চেয়ারম্যান। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু বিদ্যুতের চাহিদা ৪৬৪ মেগাওয়াট প্রতিঘণ্টা। মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে গেলে ১০০০ কিলোমেগাওয়াট প্রয়োজন। উন্নত দেশে পরিণত হতে এই বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা হবে ৫০০০ কিলোমেগাওয়াট প্রতিঘণ্টা। বর্তমানে বেসরকারীভারে ৪৯টি কোম্পানি বিদ্যুত উৎপাদন করছে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই বেসরকারী বিদ্যুত খাত এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এমডি।
×