ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি কর্মীদের সাফল্য

প্রকাশিত: ০৭:২১, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি কর্মীদের সাফল্য

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কর্মীদের পরিবেশনায় মুগ্ধ হলো ইথিওপিয়ার দর্শক শ্রোতারা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় একটি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দল ইথিওপিয়া সফর করে। সেখানে ‘বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি’ শীর্ষক উৎসবে পারফর্ম করেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক মোঃ শাওকাত ফারুকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জি এম রফিকুল ইসলাম, শিল্পী তপন চৌধুরী, ফাহমিদা নবীসহ পাঁচ সদস্যের সঙ্গীত দল এবং ছয় সদস্যের নৃত্য দল। জানা যায় ইথিওপিয়াতে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিষ্ঠার পর এ ধরনের উৎসবের আয়োজন এটাই প্রথম। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস গত ২৩ নবেম্বর স্থানীয় গেটফাম ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে ‘বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি’ শীর্ষক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে ইথিওপিয়া সরকারের মন্ত্রীবর্গ, আদ্দিস আবাবার ১৩০টি বিদেশী কূটনৈতিক দূতাবাস, আফ্রিকান ইউনিয়ন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান, উর্ধতন সরকারী কর্মকর্তা, সমাজের ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, শিল্পী এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ২৩ নবেম্বর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানস্থলটি অভ্যাগতদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। উৎসবে ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এ্যাম্বাসেডর মার্কোস টেকলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রায় ৫০টি দেশের দূতাবাস প্রধান এবং তাদের পরিবার, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারী অফিস এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইথিওপিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। উৎসবের শুরুতেই ছয় নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনায় ‘জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ’ শীর্ষক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। এর পরপরই মান্যবর রাষ্ট্রদূত তার স্বাগত বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং উপস্থিত অতিথিদের সম্ভাষণ জানান। প্রায় দু’ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে বাংলাদেশর প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী তপন চৌধুরী, ফাহমিদা নবী এবং যন্ত্রসঙ্গীত দল বিভিন্ন ধরনের বাংলা গান পরিবেশন করেন। সর্বশেষ একটি দেশাত্মবোধক নৃত্যে বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি এবং আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা ফুটিয়ে তোলা হয়। উৎসবে আগত দর্শনার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহভরে বাংলাদেশ দূতাবাসের এ আয়োজন উপভোগ করেন।
×