ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাসা স্পেস এ্যাপস চ্যালেঞ্জে শীর্ষ চারে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

নাসা স্পেস এ্যাপস চ্যালেঞ্জে শীর্ষ চারে বাংলাদেশ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো বিশ্বের ৭৯টি দেশের প্রায় ২৭২৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নাসা স্পেস এ্যাপস চ্যালেঞ্জের ২টি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। শনিবার ছয় ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২৫ দলের নাম ঘোষণা করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, ইত্যেমধ্যে দুটি ক্যাটাগরির সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। খবর ওয়েবসাইটের। এর আগে পিপলস চয়েস এ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিলেও, এই প্রথমবারের মতো মূল ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ। বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানের সঙ্গে শীর্ষে উঠে এসেছে সিলেট থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া দল ‘টিম অলিক’। টিম অলিকের ‘লুনার ভিআর প্রজেক্ট’টি মূলত একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এ্যাপস, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের একটি অভিজ্ঞতা পাবেন। টিম অলিক নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন রিসোর্স থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করে, নাসা এ্যাপোলো ১১ মিশনের ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করাÑ এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরি করেছে। আর বেস্ট ইউজ অব হার্ডওয়্যার ক্যাটাগরিতে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া আর তাইপের সঙ্গে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে ঢাকা থেকে রানার্সআপ হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া টিম ‘প্ল্যানেট কিট’। ‘প্ল্যানেট কিট’ যে ডিভাইসটি তৈরি করেছে সেটি মঙ্গল গ্রহে বেঁচে থাকার জন্য সহায়তা করবে। ‘প্ল্যানেট কিট’ পরিবেশের ডেটা প্রদান, প্রাথমিক স্তরের রাসায়নিক পরীক্ষা, জরুরী সতর্কতা এবং বিপত্তি থেকে সহায়তা, মাটির গঠন মূল্যায়ন, পানীয়যোগ্য পানি সংগ্রহ, পথ পরিকল্পনা, থ্রিডি ভার্চুয়ালাইজেশন ইত্যাদি কাজে সাহায্য করবে। এই ডিভাইসটি নিকট ভবিষ্যতে ঘন ঘন মহাকাশ যাত্রা, স্থান ভ্রমণের খরচ হ্রাস, মূল্যবান গবেষণা তথ্য সংরক্ষণ, এমনকি পৃথিবীতে বিভিন্ন গবেষণার কাজে সাহায্য করবে। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক এ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার মূল পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর আয়োজনে এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় দুই হাজারেরও বেশি প্রকল্প জমা পড়ে। সেখান থেকে শীর্ষ ৪০টি প্রকল্পকে নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে ১৯-২০ অক্টোবর টানা দুই দিনব্যাপী হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিটি ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণা করা হবে। ছয় ক্যাটাগরির ছয় চ্যাম্পিয়ন দল নাসায় যাওয়ার এবং শিক্ষানবিশ হিসেবে কিছুদিন কাজ করার সুযোগ পাবে। ফলাফলের বিস্তারিত জানতে ভিজিট : https://2018.spaceappschallenge.org/awards/global-finalists
×