ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজার কার দখলে

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজার কার দখলে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তেল রফতানিকারক শীর্ষ ১৫টি দেশের সংগঠন অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কানট্রিজ বা ওপেক। কৃত্রিমভাবে জ্বালানির দাম বাড়ানোর জন্য সংগঠনটির বিরুদ্ধে সমালোচনা রয়েছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন এই বাণিজ্য জোটের ওপর নাখোশ স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প বলছেন, ওপেক বাকি দুনিয়াটার সঙ্গে প্রতারণা করছে এবং আমি এটা পছন্দ করি না! কিন্তু তেলের বাজারে ওপেকের প্রভাব কতটা? বিশ্বে তেল উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শতকরা ১৩ ভাগ, সৌদি আরব ১২.৮, রাশিয়া ১২.৬, কানাডা ৫.৪, ইরান ৫.৩, ইরাক ৫, চীন ৪.৪, আরব আমিরাত ৪, কুয়েত ৩.৩, ব্রাজিল ৩.৩, ভেনেজুয়েলা ২.৫ ভাগ তেল উত্তোলন করে। তবে তেলের রিজার্ভ ভিন্ন হিসেব। সেক্ষেত্রে ২৯৭.৬ বিলিয়ন ব্যারেল রিজার্ভ নিয়ে ভেনেজুয়েলা শীর্ষে। ২৬৭.৯১ বিলিয়ন ব্যারেল রিজার্ভ নিয়ে এরপরেই রয়েছেন সৌদি আরব। বিশ্বে অপরিশোধিত তেল উৎপাদনের শতকরা ৪০ ভাগই ওপেকের। ওপেকভুক্ত প্রধান দেশগুলো হলো, আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, কাতার, ভেনেজুয়েলা, আরব-আমিরাত, কুয়েত ও সৌদি আরব। ২০০৮ সালে ইন্দোনেশিয়া ও সম্প্রতি এক ঘোষণায় কাতার ওপেক থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবার ঘোষাণা দিয়েছে। সুতরাং ওপেকভুক্ত নয় এমন তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বিশ্বে মোট উৎপাদনের ২৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ হয়েও যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে নিজেদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়। প্রয়োজনের তিন ভাগের একভাগ এখনও তাদের আমদানি করতে হয়। এক্ষেত্রে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে ওপেকের সদস্য দেশগুলো রাশিয়ার কাছে সহযোগিতা আশা করে। ২০১৬ সালে প্রতিদিন ১.২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন কমিয়ে তেলের দামে ভারসাম্য রাখতে ওপেকের সিদ্ধান্তে সম্মতি দেয় রাশিয়া। ১৯৭০-এর দিকে ওপেকের এ ধরনের সিদ্ধান্তে তেলের মূল্য তিনগুণ বৃদ্ধি পাওয়ারও নজির রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্বকারী দেশটি হচ্ছে সৌদি আরব।
×