ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চালক পদে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

চালক পদে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের চালক পদে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এ লক্ষ্যে মোটরযান আইন-২০১৮ সংশোধন করে যুগোপযোগী করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে দক্ষ চালকের বড় সঙ্কট রয়েছে। আর এ কারণেই বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনারোধে উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের পরিবহনখাতে দক্ষ ও শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের চাকরির সুযোগ তৈরি করতে হবে। শনিবার পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে ‘দক্ষ চালক ও দায়িত্বশীল পরিবহন মালিক-২০১৮’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে দেশের পরিবহন খাতের ৪৮জন চালককে পুরস্কৃত করা হয়। একই সঙ্গে দায়িত্বশীল পরিবহন মালিকের পুরস্কার পান আগমনী এক্সপ্রেসের মালিক মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু ও শ্যামলী পরিবহনের রমেশ চন্দ্র ঘোষ। সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ শরীফের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, অধ্যাপক ডাঃ মোহিত কামাল, জনতা ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ, লিগ্যাল ইকোনোমিস্ট এমএস সিদ্দিকী, আগমনী এক্সপ্রেসের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, শ্যামলী পরিবহনের স্বত্বাধিকারী রমেশ চন্দ্র ঘোষ, বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা প্রমুখ। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের পরিবহনখাতের বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। বিশেষ করে মোটরযান আইন-২০১৮ সংশোধনে কার্যকরী ঘোষণা দিতে হবে। আব্দুল হামিদ শরীফ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে পরিবহনখাতে শিক্ষিত ও দক্ষ চালকদের চাকরির সুযোগ তৈরি করবে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এ খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সরকারকে সহযোগিতা দিতে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু উদ্যোগ রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে পুরস্কৃতদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও সংগঠনের টিশার্ট ও ব্যাগ তুলে দেয়া হয়। ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দেশে ৩৫ লাখ চালকের মধ্যে ১৯ লাখের মাত্র লাইসেন্স আছে। আর বাকিরা লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালাচ্ছেন। ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। অথচ বিদেশে জাতীয় পরিচয়পত্রের চেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয় লাইসেন্স পেতে। তাদের উৎসব করে লাইসেন্স দেয়া হয়। ডাঃ মোহিত কামাল বলেন, যারা মাদক সেবন করে তাদের চালক হওয়ার কোন যোগ্যতাই নেই।
×