ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুভাষ সিংহ রায়

নির্বাচনÑসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও এই মুহূর্তের কর্তব্য

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচনÑসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও এই মুহূর্তের কর্তব্য

১৯৭০ সাল থেকে শুরু করে পরের সব নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণা আছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সব সময়ই সংঘবদ্ধভাবে নৌকায় ভোট দিয়ে আসছে। যারা ছাত্রজীবন থেকে বাম প্রগতিশীল রাজনীতির সমর্থক তারাও নৌকায় ভোট দিয়ে আসছে। অতি সম্প্রতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার তাঁর লেখায় উল্লেখ করেছেন এভাবে, ‘১৯৭৩ অথবা ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে দিনাজপুর সদর আসনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি থেকে কুঁড়েঘর মার্কা নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন তেজেন নাগ। তিনি এত কম ভোট পেয়েছিলেন যে, সকলেই মজা করে বলতেন গুরুদাস তালুকদারও তাকে ভোট না দিয়ে নৌকায় ভোট দিয়েছেন!’ গুরুদাস তালুকদার ছিলেন দিনাজপুরের খ্যাতনামা ত্যাগী কমিউনিস্ট নেতা। এ রকম অনেক উদাহরণ বাংলাদেশে আছে। প্রয়াত প্রখ্যাত সমাজতত্ত্ববিদ আহমদ ছফা বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন পরাজিত হয় তখন সমগ্র জাতি পরাজিত হয়।’ কেননা আওয়ামী লীগ পরাজিত হওয়া মানে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হওয়া। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন নেমে আসে। তখন প্রগতিশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ও সেভাবে রুখে দাঁড়াতে পারে না। ॥ দুই ॥ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর বিগত ৪৩ বছরে বারবার আমরা নির্বাচনের আগে ও পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অমানবিক নির্যাতন-নিপীড়ন প্রত্যক্ষ করেছি। পাকিস্তানের ২৫ বছরেও এ ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছি আমরা। তখন পাকিস্তান সরকার এবং সে সরকারের যারা তল্পিবাহক ছিল মূলত তারা এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান থেকে মাইনরিটিদের বিতাড়ন করা। কারণ, তারা ভেবেছিল পাকিস্তানকে যদি ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হয় তাহলে সংখ্যালঘুদের তাড়াতে হবে। ২৯.৭ পার্সেন্ট মাইনরিটি রেখে প্রকৃতার্থে পাকিস্তানকে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করা যাবে না বলে ভেবেই এ কাজ করেছেন। দ্বিতীয়ত. পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বাঙালীরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই প্রসঙ্গে এ দেশেরই একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করি। ১৯৫০ সালে যখন পাকিস্তান সরকারের উস্কানিতে এদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে বিতাড়িত এবং তাদের সম্পত্তি দখল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় তখন চকবাজারের শাহী মসজিদে জুমার নামাজের বিশাল সমাবেশে জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একটি ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ ধর্মগ্রন্থ থেকে প্রমাণ করতে পারেন যে, শান্তিপ্রিয় বিধর্মীদের ওপর হামলা করার নির্দেশ রয়েছে তাহলে আমি আমার নাম পাল্টে ফেলব। আমি আমার বাড়িতে হিন্দুদের আশ্রয় দিচ্ছি, আমার বাড়িতে আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছি, কারও যদি সাহস থাকে তো পারলে এসে হামলা কর। আপনারা যদি নিজেকে প্রকৃত মুসলমান বলে মনে করেন তাহলে নিজের বাড়িতে হিন্দুদের আশ্রয় দিন এবং দাঙ্গাকারীদের প্রতিহত করুন, হিন্দুদের জান-মাল রক্ষা করুন।’ ॥ তিন ॥ বাউল, সুফি, দরবেশের এই জনপদে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, মঠ এখানে পাশাপাশিই অবস্থান করে। জঙ্গীবাদ, উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা এদেশে বিষাক্ত ছাতার মতো গজিয়েছে বিগত কয়েক বছরে। এটাই অপসংস্কৃতি। এর মোকাবেলায় আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ প্রয়োজন। পাড়ায়-মহল্লায় আগের মতো সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অসাম্প্রদায়িক দেশীয় সংস্কৃতিকে জাগিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই এমন উগ্রবাদী অপরাধীরা পরাজিত হবে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় উল্লেখ করেছিলেন- তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ ক্ষমা কর হযরত। মোরা ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ, তোমারি দেখানো পথ ॥ প্রভু তোমার ধর্মে অবিশ্বাসীরে তুমি ঘৃণা নাহি করে আপনি তাদের করিয়াছ সেবা ঠাঁই দিয়ে নিজ ঘরে। ভিন ধর্মীর পূজা-মন্দির, ভাঙিতে আদেশ দাওনি, হে বীর, প্রভু আমরা আজিকে সহ্য করিতে পারিনে’ক পর-মত ॥ তুমি চাহ নাই ধর্মের নামে গ্লানিকর হানাহানি, তলোয়ার তুমি দাও নাই হাতে, দিয়াছ অমর বাণী। মোরা ভুলে গিয়ে তব উদারতা সার করিয়াছি ধর্মান্ধতা, বেহেশত হতে ঝরে নাকো আর তাই তব রহমত ॥ যে সিপিবি বা বামপন্থীদের এক সময় অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিশ্বস্ত মিত্র বলে মনে করা হতো তারাও রাজনীতির জটিল সমীকরণে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর গরজ বোধ করে না। তারা যাদের ভোট দেয়, তারাই তাদের রক্ষা করুক- এই হলো মনোভাব। তাছাড়া তাদের শক্তি-সক্ষমতাও এখন একবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাদের জানার কথা যে বিদায় হজের ভাষণে হযরত মুহম্মদ (সা.) স্পষ্ট বলেছেন, একজনের অপরাধে সেই ব্যক্তির পুরো সম্প্রদায়কে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। অন্যত্র হাদিসে রয়েছে, যুদ্ধরত নয় এমন বিধর্মীদের কোন ক্ষতি করা চলবে না। বরং শান্তিপ্রিয় বিধর্মীকে নিরাপদে তার ঘরে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব একজন মুসলমানের উপরেই বর্তায়। ॥ চার ॥ বৈষম্য ঠিক পাকিস্তানের আদলেই শুরু হলো মূলত ১৯৭৫-এর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের পরে। একই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সাল পর্যন্ত অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। ২০০১ সালের পর জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অসংখ্য অন্যায় নির্যাতন করেছে। এটা ছিল তাদের সরকারের পলিসি। আমরা জানি, মুসলিম লীগ নেতা চট্টগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরী ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছিলেন এই কথা বলে যে, ‘আপনারা তো আমাকেই ভোট দেবেন, তাই কষ্ট করে আর ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই।’ বিএনপিও এই নীতিতে বিশ্বাসী। সংখ্যালঘুরা ভোট কেন্দ্রে গেলে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে- এই ভীতি থেকে তাদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকেই বিরত রাখতে চায়। ভয়ভীতি দেখায়। সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতেই তাদের ওপর এই অত্যাচার-নির্যাতন। সংখ্যালঘু কেউ স্বেচ্ছায় নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবে না। এটা তাদের ভাবতে বাধ্য করা হয়। এটা ঠিক যে, বিএনপি আমলে চাকরি, পদোন্নতি, পদায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুরা যেভাবে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার হয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলে তা হয়নি। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সরকারী চাকরিতে স্থান দেয়া হয়েছে। আমরা যদি পাবনার সাঁথিয়ার দিকে তাকাই, রামুর উখিয়া টেকনাফের দিকে তাকাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দিকে তাকাই, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, সাতক্ষীরার ফতেপুরের দিকে তাকাই- সব জায়গার দৃশ্য কিন্তু একই রকমের মনে হয়। যেমন- রংপুরের ঘটনা, এখানে হামলা করবে বলে হামলাকারীরা পাঁচদিন ধরে পরিকল্পনা করেছে। এরা সংঘবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু আমরা ওখানকার সরকারী দলের নেতা-কর্মীদের এই পরিকল্পনাগুলো ব্যর্থ করার অথবা এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর রাজনৈতিক কোন ভূমিকা দেখতে পাইনি। যদি তারা আগেই এ পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিতে পারত তাহলে যে ঘরবাড়ি জ্বলেছে তাও ঘটত না। ঘটনাগুলো ঘটার পরে কোথাও চাল নিয়ে যাওয়া হয়, কোথাও টিন নিয়ে যাওয়া হয়, কোথাও পুনর্বাসনের কথা বলা হয়। কিন্তু কথাটি হলোÑ পুনর্বাসন করে কী লাভ যদি আপনি সংখ্যালঘু নাগরিকের মনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন। আমি স্পষ্ট করে এখানে নির্যাতিত বালিকাদের কথা উল্লেখ করতে চাই, যারা ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের পর ভয়াবহ পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। রাজশাহীর পুটিয়ার ১৪ বছরের বালিকা মহিমা, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ১৪ বছরের বালিকা পূর্ণিমা শীল, লালমোহনের ৮ বছরের বালিকা রিতা রানী দাস, রাজশাহীর বাগমারার ৭ বছরের বালিকা রজুফা আক্তার কাকলি, ঢাকার টোলারবাগের ১৪ বছরের বালিকা ফাহিমা, নারায়ণগঞ্জের চারুকলা স্কুলের ছাত্রী সিমি বানু এদের কথা নিশ্চয়ই স্মরণে আসবে। প্রত্যেকটি ঘটনায় জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসী চক্র সরাসরি যুক্ত ছিল। নির্যাতিতদের একটাই অপরাধ ছিল, তাদের পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল। প্রগতিশীল বাম ঘরানার মানুষ এসবের প্রতিবাদে সোচ্চার হননি। ধর্মীয় নেতাদের অনেকেই এসব ধর্মবিরোধী অপকর্মের প্রতিবাদ করেননি। ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঠেকাতে অনুপম নজির স্থাপন করেছেন একটি মসজিদের ইমাম মাওলানা ইমাদুল রশিদ। ভারতের সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাওলানা রশিদের ১৬ বছরের পুত্রকে রাম নবমীর দিনে পিটিয়ে হত্যা করে। সেখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। বরং ছেলের জানাজায় উপস্থিত সবাইকে বলেছেন, ‘আপনারা যদি আমার ছেলে হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আমি এই মসজিদ ও এই এলাকা ছেড়ে চলে যাব। আমি শান্তি চাই। আমি ছেলে হারিয়েছি; আর কোন পরিবার তাদের প্রিয় কাউকে না হারাক। আমি চাই না আর কোন ঘর পুড়ে ছারখার হোক।’ ইমাম সাহেবের এই ঘোষণায় আসানসোলে দাঙ্গা থেমে যায়। ॥ পাঁচ ॥ এখনই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নানা হুঙ্কার দিচ্ছেন। ২০১৯ সালের পরিস্থিতি নাকি খারাপ হবে। এখনকার শান্তির পরিবেশ তারা বদলাতে চান। অর্থাৎ তারা বাংলাদেশকে ২০০১-২০০৬-এর অবস্থায় নিয়ে যেতে চান। তাছাড়া ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরের ভয়ঙ্কর সেই দিনগুলোর অবস্থা পুনরাবৃত্তির জন্য নানারকম টালবাহানার খবর আমরা দেখতে পাই। সবশেষে আশাবাদের কথা বলতে চাই, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তরুণ ভোটাররা; যা মোট ভোটারের ২০.৬৫ শতাংশ। তারাই এই দেশবিরোধী শক্তিকে মোকাবেলা করবে। অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের লেখায় তা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে- ‘বিএনপি নির্বাচন করার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়েছে, দেশের অনেক বড় রাজনীতিবিদরা তার মাঝে কোন দোষ খুঁজে পাননি। জামায়াতে ইসলামীর মতো তারাও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। আমরা সেগুলো মেনে নিতে পারি কিন্তু জামায়াতে ইসলামীকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য তাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারা আছেন, সে রকম ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করবেন, সেটা আমরা কখনই মেনে নেব না। আমি চাই, আমাদের তরুণ প্রজন্ম দায়িত্ব নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী এই রাজনৈতিক দলটিকে এই দেশে পুরোপুরি গুরুত্বহীন একটি সংগঠনে পাল্টে দিক।’ আরেকটি বিষয় আমাদের আশাবাদী করে তোলে। ২০১৬ সালে জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে এক লাখ আলেম-ওলামা জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেছিলেন। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, ‘যারা ইসলামের নামে জঙ্গী তৎপরতা চালাচ্ছে, তারা বিকৃত চিন্তা-চেতনার মানুষ। এরা ইসলামের দুশমন, মুসলমানদের শত্রু। ইসলামকে পুঁজি করে যেন জঙ্গীবাদী তৎপরতা আর না হয়, সে জন্য বাংলাদেশের এক লাখ ইমাম, ওলামা, মাশায়েখ একযোগে সমর্থন দিয়ে এই ফতোয়া দিয়েছেন।’ সবশেষে বলতে চাই, ধর্মীয় সংখ্যালঘু- এটা কারও পরিচয় হতে পারে না। যার যার ধর্ম আলাদা হতে পারে। এদেশে আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা সবাই বাঙালী। এটাই আমাদের জাতিগত পরিচয়। ধর্মীয় পরিচয়ে যদি কোন জনগোষ্ঠীর ওপর আঘাত আসে তাহলে সবাইকে একযোগে রুখে দাঁড়াতে হবে। ধর্মীয় পরিচয়ে যারা সংখ্যাগুরু তাদের দায়িত্ব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ সবার- এই বোধ আজ সবার মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে। ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষের কণ্ঠে আজ উচ্চারিত হোক এক ও অভিন্ন স্লোগান- ‘আমার ভোট আমি দেব, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেব’, ‘আমার ভোট আমি দেব, স্বাধীনতার পক্ষে দেব।’ লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট
×