ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আনোয়ার হোসেনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ রক্ষায় ফাউন্ডেশন হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

আনোয়ার হোসেনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ রক্ষায় ফাউন্ডেশন হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কিংবদন্তী আলোকচিত্রশিল্পী ও সিনেমাটোগ্রাফার আনোয়ার হোসেনের নামে গঠিত হবে ফাউন্ডেশন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই আলোকচিত্রীর পরিবারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম চালাবে আনোয়ার হোসেন ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের আওতায় এই আলোকচিত্রীর জীবনভর ধারণকৃত আলোকচিত্র, রচনা ও সাক্ষাতকারসহ যত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। শনিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার সেমিনার কক্ষে শিল্পীর পরিবারের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে আকাশ হোসেন ও মেঘদূত হোসেন, শিল্পীর ছোট ভাই আলী হোসেন বাবু, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সাধারণ সম্পাদক বোলায়াত হোসেন মামুন প্রমুখ। আকাশ হোসেন ও মেঘদূত হোসেন বলেন, যদি আপনারা কেউ জানেন যে আমার বাবার কোন সম্পদ কোথাও আছে, তবে আমাদের সে বিষয়ে অবহিত করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এখন থেকে বাবার চিত্রকর্ম বা লেখা কোথাও প্রকাশ বা প্রচারের জন্য ফাউন্ডেশনের কপিরাইট অনুমতি নেয়ার পাশাপাশি রয়্যালিটি প্রদান করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আনোয়ার হোসেনের ৫০ থেকে ৬০ হাজারের মতো ছবির নেগেটিভ, বিভিন্ন রচনা ও সাক্ষাতকার রয়েছে। আলোকচিত্রী হিসেবে তার প্রকৃত কাজের প্রায় ৯০ ভাগই এখনও জনগণের অদেখা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রথম শহীদ মিনার ভাঙ্গার ছবি, সে স্থানে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের ছবিসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আনোয়ার হোসেন ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে থাকবেন শিল্পীর ছোট ভাই আলী হোসেন বাবু। শিল্পীর স্ত্রী এবং পুত্র দেশের বাইরে থাকায় তারা সদস্য হিসেবে দেশের বাইরে থেকেই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন এবং তাদের অনুমতিক্রমেই ফাউন্ডেশনের যাবতীয় কাজ করা হবে। আইনত কার্যক্রম সেরে দ্রুত শুরু হতে যাওয়ায় এ ফাউন্ডেশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেনÑ নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী, নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, বেলায়াত হোসেন মামুন ও রাজিবুল হাসান। লিয়াকত আলী লাকী বলেন, শিল্পী আনোয়ার হোসেন কত রকমভাবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। তার অধিকাংশ আলোকচিত্রই সাধারণ মানুষের দেখার সুযোগ হয়নি। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজনকে বিশ্বাস করে নিজের অনেক ছবি দিয়ে গেছেন। আশা করি, তারা শিল্পীর সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রেখে সেগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করবেন এবং আমরা তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করব।
×