ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতাসহ ৭ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতাসহ ৭ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ও বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার জন্য ৫-১০ লাখ টাকার চুক্তি করত একটি সংঘবদ্ধ প্রশ্নফাঁস চক্র। এই চক্রের মূলহোতা সোহেল রানাকে আবারও গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল সে। কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে এসেই আবারও একই কাজ শুরু করে। শনিবার বেলা ১২টার দিকে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মিডিয়া উইং উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান। ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, শুক্রবার রাতে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী, মিরপুর ও কলাবাগান এলাকা থেকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতা সোহেল রানাসহ ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগের সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। গ্রেফতারকৃত অপর সদস্যরা হচ্ছে, মাহমুদুল, আনসারুল ইসলাম, দেবাশীস ও তিন পরীক্ষার্থী রবিউল আউয়াল, রাজিউর রহমান ও রেজাউল করিম। তাদের কাছ থেকে ৮টি প্রশ্নপত্র পাঠানোর ডিভাইস, ২৯টি ব্যাটারি, ৩টি পেনড্রাইভ, ৯টি ব্লুটুথ ডিভাইস, ৯টি বিভিন্ন অপারেটরের সিমকার্ড ও ৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে সেটি সমাধানের জন্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করত। এসব পরীক্ষায় চুক্তি অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করতেই চক্রের কয়েকজন সদস্য পরীক্ষার্থী সেজে হলে প্রবেশ করতেন। সেখানে প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়া মাত্র ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নের ছবি তুলে বাইরে থাকা চক্রের অন্য সদস্যের কাছে পাঠিয়ে দিতো। এরপর বাইরে থাকা সদস্যরা দ্রুত প্রশ্নপত্র সমাধান করে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মধ্যমে তারা পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠাতো। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত সোহেল রানা এর আগেও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশে হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। পরে সে কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও এই কাজ শুরু করে। সোহেলই এই চক্রের মূলহোতা। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতো মাহমুদুর, আনসারুল ও দেবাশীষ। তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষার অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী রবিউল, রেজাউল ও রাজিউলের সঙ্গে ৫-১০ লাখ টাকার চুক্তি করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, চূড়ান্ত নিয়োগের পর এই টাকাগুলো পরিশোধ করবে।
×