ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্যাপক আয়োজন

৬৪ জেলায় স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

৬৪ জেলায় স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব

মোরসালিন মিজান ॥ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব। ঢাকায় নয় শুধু। সারাদেশে। ৬৪ জেলায় একযোগে বিশাল উৎসবের আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। ৮ দিনব্যাপী আয়োজন। শনিবার রাজধানীতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনের সামনে প্রথমে ছিল নাচ গানের আয়োজন। ছোট্ট পরিসরে একদল শিল্পী নৃত্য পরিবেশন করেন। চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে এর বিশেষ সংযোগ নেই। তবে উৎসবের রং ছড়িয়ে দিতে কিছুটা ভূমিকা রাখে। পরে মিলনায়তনের ভেতরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। আয়োজকদের পক্ষে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী জানান, দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে। ধারাবাহিক কর্মকা-ের অংশ হিসেবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন। তিনি বলেন, শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক-মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠনে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অপরিসীম। এ জায়গা থেকে দেখলে উৎসবটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। নাতিদীর্ঘ আলোচনা শেষে শুরু হয় প্রথম দিনের প্রদর্শনী। চিত্রশালা মিলনায়তনে এদিন দেখানো হয় তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ পরিচালিত ‘কবি স্বামীর মৃত্যুর পর আমার জবানবন্দী।’ স্বজন মাঝি ও অসীম সরকারের ‘গল্প সংক্ষেপ।’ মাহমুদ হাসানের ‘ইতিবৃত্ত কিংবা বাস্তবতার পুররারম্ব।’ রাফাত জামিলের ‘সিজড প্লেজার।’ আবিদ মল্লিক পরিচালিত ‘এ লিটল রেড কার।’ ঝুমুর আসমা জুঁই নির্মিত পুতুল পুরাণ।’ দেখানো হয় সোহেল রানা বয়াতীর ‘জল ও পনি।’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভয়’ দিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের প্রদর্শনী। আজ রবিবার বিকেল ৪টা থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের আয়োজন। প্রথম দফায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেখানো হবে ‘ঘ্রাণ’, ‘ঘণিকা’, ‘তৃতীয় সূত্র’, ‘এ লং ড্রাইভ’, ‘আমারে কেউ চেনেন’, ‘ব্রেইন ড্রেইন’ এবং প্রামাণ্যচিত্র ‘লাল সবুজের দীপাবলী।’ সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দেখানো হবে আরও ৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র। একই সময়সূচী অনুসরণ করে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। এভাবে মোট ৭০টি ছবি দেখার সুযোগ। এর আগে প্রদর্শনীর জন্য ৪৮টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ২২টি প্রামাণ্যচিত্রসহ ৭০টি চলচ্চিত্র নির্বাচন করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি। নির্বাচক কমিটির সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক, সাজ্জাদ জহির, এ কে রেজা গালিব প্রমুখ। তাদের নির্বাচন উপভোগ্য আয়োজকরা জানান, শেষদিনে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কার প্রদানের লক্ষে চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকীকে চেয়ারম্যান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট জুরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, ফরিদুর রহমান, চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ। কমিটির সদস্য সচিব একাডমির সচিব এবং নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক জনাব মোঃ বদরুল আনম ভূঁইয়া।
×