ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সেনাবাহিনী এখন অনেক উন্নত দক্ষ ও চৌকস ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

সেনাবাহিনী এখন অনেক উন্নত দক্ষ ও চৌকস ॥ রাষ্ট্রপতি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে ৭৬তম বিএমএ লং কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে শনিবার সকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, আমাদের সেনাবাহিনী অবকাঠামো, কৌশল এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে এখন বহু উন্নত। আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদির সমন্বয়ে সেনাবাহিনী অনেক বেশি উন্নত, দক্ষ ও চৌকস। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক। জাতির পিতার হাতে আমাদের সেনাবাহিনীর যাত্রা শুরু হওয়ার পর তাদের সুনাম আজ বহির্বিশ্বজুড়ে। কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা একদিন যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বিএমএ আজ একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাডেমি। এই একাডেমিতে ক্যাডেটদের ইনডোর প্রশিক্ষণে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। এতে চালু করা হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে চার বছর মেয়াদে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী। আমাদের সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও যে পেশাদারিত্ব দেখিয়েছে তা সর্বমহলে প্রশংসা অর্জন করেছে। দায়িত্ব পালনে নবীন অফিসারদের সর্বদা সজাগ ও প্রস্তুত থাকা এবং দুর্যোগ দুঃসময়ে বিপন্ন মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন, সুষ্ঠু ত্রাণবিতরণ ও তাদের পরিচয়পত্র তৈরিতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অনুষ্ঠানে ব্যাটেলিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার একেএম ইনজামামুল হক সেরা চৌকস ক্যাডেট বিবেচিত হয়ে সোড অব অনার লাভ করেন। সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার ইবনে ইজাজ হাসান সেনাবাহিনী স্বর্ণপদক লাভ করেন। কমিশনপ্রাপ্ত এসব ক্যাডেটদের শপথ গ্রহণ করানোর পর তাদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন মা-বাবা ও অভিভাবকবৃন্দ। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শুরুর আগে রাষ্ট্রপতি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ তাকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সংসদ সদস্য, আর্মি ট্রেনিং এ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি লে. জেনারেল মোঃ নাজিমউদ্দিন, বিএমএ’র কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত বৈদেশিক কমিশনের কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ২৫৪ বাংলাদেশী, দুই সৌদি এবং এক শ্রীলঙ্কানসহ মোট ২৫৭ ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। এর মধ্যে ২৭১ পুরুষ ও ৩৭ নারী ক্যাডেট রয়েছেন।
×