ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এহসানুল হক মিলনের বদলে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতিকে;###;হাজার হাজার ক্ষুব্ধ সমর্থক বিক্ষোভ করে দুই কার্যালয়ের সামনে

মনোনয়ন বাণিজ্য ॥ বিএনপির পল্টন, গুলশান অফিসে হামলা ও তালা

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

মনোনয়ন বাণিজ্য ॥ বিএনপির পল্টন, গুলশান অফিসে হামলা ও তালা

শরীফুল ইসলাম ॥ সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়ে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতরা। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু করে শনিবার দিনভর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকরা গুলশান ও নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ এনে মিছিল-স্লোগানসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে গুলশান ও নয়াপল্টন কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। কেউ কেউ মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ এনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গালাগাল করে। এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার পরও চাপে পড়ে কোন কোন সংসদীয় আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে বিএনপি। খোদ দলীয় নেতাকর্মীদের মুখে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠায় বিপাকে পড়ে বিএনপি। এ পরিস্থিতি সামাল দেয়া অসম্ভব হতে পারে ভেবে ইতোমধ্যেই কোন কোন আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে। নড়াইল-১ ও ময়মনসিংহ-৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। নড়াইল-১ আসনে আগে দেয়া হয়েছিল সাজ্জাদ হোসেনকে। পরে তার জায়গায় বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে দেয়া হয়। আর ময়মনসিংহ-৩ আসনে আগে দেয়া হয়েছিল আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণকে। পরে তার জায়গায় এস এম ইকবাল হোসেনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। বিএনপির পক্ষ থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এমন কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কেবল সংবাদ সম্মেলন করে মনোনয়ন বঞ্চিতদের শান্ত থাকার কথা বলেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয় থেকে দলের চূড়ান্ত করা ২০৬ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খবর পেয়ে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে প্রথমে মানোনয়ন না পাওয়ার কারণ জানতে চান। পরে কার্যালয়ের বাইরে গিয়ে সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ এনে নানা স্লোগানসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। মধ্যরাত পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলতে থাকে। এ সময় কেউ কেউ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গালিগালাজ করে। বিক্ষুব্ধরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে গুলশান কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ইট-পাটকেল ছুড়ে প্রতিবাদ জানায়। শুক্রবার রাতে গুলশান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কুষ্টিায়া-৩ আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক সাংসদ সোহরাবউদ্দিন। এক পর্যায়ে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু বেশ ক’জন কর্মী-সমর্থক নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে মনোনয়ন না পেয়ে দরজায় লাথি মেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি গুলশান কার্যালয়ের দরজায় লাথি ও ঘুষি মারেন এবং দলের বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গালাগাল দিতে থাকেন। মানিকগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ডাবলু। কিন্তু সেখানে পেয়েছেন এস এ কবির জিন্নাহ। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ডাবলু অভিযোগ করেন, দলকে মূল্যায়ন না করে টাকার বিনিময়ে জিন্নাহকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, জিন্নাহ আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের আপন মামাত ভাই। তিনি ওয়ান-ইলেভেনের সময় দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন। আর আমার বাবা তখন মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে বিএনপিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেন। এই কি আমাদের প্রতিদান? ডাবলু হুমকি দিয়ে বলেন, আমাকে মনোনয়ন না দিলে কোন নেতাকে অফিস থেকে বের হতে দেয়া হবে না। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে পরে তিনি ফিরে যান। শনিবার সকাল থেকেই মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের কর্মী-সমর্থকরা নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা চাঁদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনের বিপুলসংখ্যক কর্মী সমর্থক সেখানে গিয়ে জড়ো হয়। প্রথমে তারা কার্যালয়ের ভেতরে থাকা দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবির পক্ষে কারণ তুলে ধরেন। দুপুর ১২টায় তারা বিএনপি কার্যালয়ের গেটে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুপুর ১টায় তারা বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। তারা অবিলম্বে চাঁদপুর-১ আসনে এহসানুল হক মিলনকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান। তাদের দাবির সপক্ষে প্রতিবাদ মিছিল লেখা একটি ব্যানার ফটকে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে তালা দেয়ায় ভেতরে আগে থেকে অবস্থান করা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভিসহ ক’জন নেতাকর্মী আটকা পড়েন। তবে এক পর্যায়ে মিলনের বাদ পড়ার বিষয়টি রুহুল কবির রিজভী দেখার আশ্বাস দিলে মিলনের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে ‘মিলন ভাই, মিলন ভাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা ২টায় তারা চাঁদপুর-১ আসনে মনোনয়নের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে প্রধান ফটকের তালা খুলে দেন। চাঁদপুর-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল হক মিলন। কিন্তু সেখানে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ত্যাগী ও দলের জন্য নিবেদিত এহসানুল হক মিলনকে মনোনয়ন না দিয়ে মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগানের ভাষায় অভিযোগ করতে থাকেন। বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী বলেন, বিএনপির রাজনীতির কারণে, বিগত একযুগ ধরে এহসানুল হক মিলন অনেক মামলা, হামলা ও অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। তিনি যখন দেশের বাইরে ছিলেন তখনও তার সঙ্গে চাঁদপুরের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ ছিল। কিন্তু যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তার সঙ্গে এলাকার লোকজনের কোন যোগাযোগ নেই। তাকে কেউ চিনে না। এই আসনটি উদ্ধার করার জন্য মিলনের কোন বিকল্প নেই। এবাদুর রহমান নামে আরেকজন বিএনপি কর্মী অভিযোগ করেন, টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এহসানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে সরকার ৩৩টি মামলা দিয়েছে। সে তার সব কিছু ত্যাগ করেছে দলের জন্য। কিন্তু তাকে মনোনয়ন না দিয়ে টাকা খেয়ে একজন ভুয়া লোককে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আমরা এটা মানব না। নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় মনোনয়ন বঞ্চিতদের কর্মী সমর্থকরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার ও গোপালগঞ্জের সেলিমুজ্জামান সেলিমের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক সেখানে গিয়ে হামলা চালায়। প্রথমেই বিক্ষুব্ধরা গুলশান কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ করার পাশাপাশি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এর পর তারা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ ফটকে গিয়ে ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে প্রধান ফটক ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে কার্যালয়ে জানালার কাঁচও ভেঙ্গে যায়। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খানসহ দলের ক’জন কেন্দ্রীয় নেতা সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এহসানুল হক মিলন চাঁদপুর-১, তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণঞ্জ-১ এবং সেলিমুজ্জামান গোপালগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে এবার বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী আগ্রহ প্রকাশ করে। এরই অংশ হিসেবে এবার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৫৮০ জন বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে। একেকটি সংসদীয় আসনে গড়ে ১৫ জনেরও বেশি নেতাকর্মী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ২০৬টি সংসদীয় আসনের জন্য ২০৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর ফলে বাদ পড়েছেন দলটির অনেক নেতা, আলোচিত সাবেক মন্ত্রী, এমনকি কয়েকজন সাবেক এমপিও। এদের মধ্যে রয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, গাজীপুরের সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও তার ছেলে মনজুরুল করিম রনী, সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব) মঞ্জুর কাদের, সাবেক এমপি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী, সাবেক এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, বিএনপি মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী সাহিদা রফিক প্রমুখ। সাবেক সাংসদ রাশেদা বেগম হীরা (চাঁদপুর-১) ও নিলুফার চৌধুরী মনি (জামালপুর সদর) আসনে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। ২০০৮ সালে তারা সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির মনোনীত সাংসদ ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। কুষ্টিয়া-৩ আসনের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দিন। ঢাকা-২০ আসনে সাবেক সাংসদ ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খানও এবার মনোনয়ন পাননি। প্রয়াত মন্ত্রী হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রীতাও মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। মনোনয়ন পাননি মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ আমজাদ হোসেন। অবশ্য তাদের সবাইকে এবার মনোনয়ন দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল। এবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও সালাউদ্দিন আহমেদ এবার দল থেকে মনোনয়ন চাননি। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও মনোনয়ন চাননি। তবে দলীয় মনোনয়নের চিঠি পেয়েও মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও হাবিব-উন নবী খান সোহেল। এদিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা বিক্ষোভের কিছু হয়নি। ছোট-খাটো দু’কটি প্রতিক্রিয়া, এটা কি নতুন কিছু? এটা তো নতুন নয়। বরং যাদের দেয়া হয়েছে তারা অত্যন্ত জনপ্রিয় নিজ নিজ এলাকায়। আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে এলাকার মানুষের কাছে তাদের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত নিবিড়। সুতরাং যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তারা প্রাণবন্ত এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রতিকূলতার মুখে লড়ে যাবে। যিনি ধানের শীষের প্রতীক পেয়েছেন, তার সঙ্গে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছেন, থাকবেন। আমি বিখ্যাত একজন ব্যক্তির উদ্ধৃতি করে বলছি যে, ‘আনন্দ দিনের চাইতে দুঃখ দিনের বন্ধন অনেক দৃঢ়। আমরা দুঃখের মধ্যে আছি, আমরা উৎপীড়নের মধ্যে আছি, আমাদের বন্ধন অত্যন্ত দৃঢ়।’ তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতা ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
×