ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চালকবিহীন বিমান

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

 চালকবিহীন বিমান

ছুটিতে বা প্রয়োজনে এমন বিমানে চড়বেন কিনা এ প্রশ্নের উত্তর ভবিষ্যতে খুঁজতে চলেছেন বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ। চালকবিহীন গাড়ি এখন আপনি পাবেন আমেরিকার রাস্তায়। এ ধরনের গাড়ি পরীক্ষামূলকভাবে লন্ডনের রাস্তায়ও নামানো হয়েছে। এখন স্বয়ংচালিত পরিবহন ব্যবস্থার তালিকায় যোগ হতে চলেছে বিমান। এই জরিপে অংশ নেয়া ৮০০০ লোকের মধ্যে ৫৪ শতাংশ বলেছে চালক না থাকলে সে বিমানে তারা চড়বে না। বিশেষ করে ৪৫ এর ওপরে যাদের বয়স তাদের অর্ধেকের বেশি এই আইডিয়া নাকচ করে দিয়েছেন। মাত্র ১৭ শতাংশ বলেছেন এ ধরনের বিমানে চড়তে তাদের আপত্তি নেই এবং ২৫ থেকে ৩৪এর মধ্যে যাদের বয়স তারা চালকবিহীন বিমানে চড়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছেন। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল মূলত নিরাপত্তার বিষয়টি। ইউবিএস তাদের রিপোর্টে বলছে চালকবিহীন বিমান তুলনামূলকভাবে বেশি নিরাপদ। তাদের হিসাবে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে মানুষের ভুলের কারণে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ঘটেছে পাইলটের অবসাদ ও ক্লান্তির কারণে। তবে ব্রিটিশ এয়ারলাইন পাইলটদের এ্যাসোসিয়শনের একজন বিমান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেছেন ভবিষ্যত উদ্ভাবনের উৎসাহের আতিশয্যে এটা ভুললে চলবে না যে বিমানের ককপিটে ইতিমধ্যেই অনেক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা রয়েছে। ‘স্বয়ংক্রিয়’ ককপিট নতুন কিছু নয়, কিন্তু স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় যেটা হওয়ার কথা সেটাতে বিভিন্ন কারণে প্রায় প্রতিদিনই পাইলটকে হস্তক্ষেপ করতে হয়- সেটা মনে রাখা দরকার।’ ‘কম্পিউটার বিকল হতে পারে- হয়ও। সেই কম্পিউটার আবার চালু করার জন্যও মানুষের দরকার,’ বলেন বিশেষজ্ঞ স্টিভ ল্যান্ডেলস। অনেকে এমন কথাও বলছেন যে বড় বড় ফ্লাইট যেখানে যাত্রীর সংখ্যা থাকে ২০০ থেকে ৩০০, সেখানে একেবারে প্রথম থেকেই চালকবিহীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বরং যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল হয় পাইলটের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমানোটা যুক্তিযুক্ত হবে। ছোট বিমানে পরীক্ষামূলকভাবে এ ব্যবস্থা প্রথমে চালু করা উচিত বলে কেউ কেউ মত দিয়েছেন। তারা বলছেন যাত্রীদের আস্থা অর্জনের জন্যও এটা দরকার। ইউবিএস বলছে বিমান সংস্থাগুলো এর ফলে দু’হাজার ৬০০ কোটি ডলার খরচ বাঁচাতে পারবে। আকাশে উড়ল পাইলটবিহীন বৈদ্যুতিক বিমান : পাইলটবিহীন বৈদ্যুতিক বিমানের পরীক্ষামূলক সফল উড্ডয়ন করেছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর মঙ্গলবার বিমানটি উড্ডয়ন করা হয়। কোরা নামের তিন আসনের ছোট এই বিমানটির গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। একটানা উড়তে পারবে ১০০ কিলোমিটার। কর্তৃপক্ষ জানায়, এই বিমানটি কোন রকম দূষণ ছড়াবে না। সেই সঙ্গে এর যাত্রী বহন ও গতি বাড়ানোর কাজও চলছে বলে জানানো হয়েছে। কম্পিউটারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড্ডয়ন এবং অবতরণে সক্ষম পাইলটবিহীন এই বিমানটি। এর উন্নয়নে কাজ করেছেন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা লেরি পেইজ।
×