ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এবারও কি মিলবে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ!

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

 এবারও কি মিলবে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ মিলেছে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। এবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও কী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পাবে বাংলাদেশ? মাঝখানে আর একদিন। রবিবার থেকেই দুই দলের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। এই সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানেই হারাবে বাংলাদেশ, সেই আশাই করা হচ্ছে। রবিবার প্রথম ওয়ানডে দিয়ে সিরিজ শুরু হবে। এরপর ১১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ও ১৪ ডিসেম্বর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দুই ওয়ানডে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ১টায় ও তৃতীয় ওয়ানডে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ১২টায় শুরু হবে। সিলেট স্টেডিয়ামের এবার ওয়ানডে অভিষেকও হবে। এ সিরিজে বাংলাদেশের কাছ থেকে শুধু জয়ই আশা করা হচ্ছে। টেস্ট সিরিজে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ৬৪ রানে ও দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ১৮৪ রানের ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবার পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলবেন। টেস্টে তামিম ছিলেন না, তাতেই এত ভাল ফল হয়েছে। ওয়ানডেতে দেশের সেরা পাঁচ ক্রিকেটার থাকছেন। তাহলেতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাত্তাই পাওয়ার কথা নয়। তাছাড়া জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যদি ২-১ ব্যবধানে হারানো যায়, তাহলে দেশের মাটিতে ৩-০ হতেই পারে? ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার যোগ্যতা এর আগেও দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদেরই মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে। এই হোয়াইটওয়াশ নিয়ে অবশ্য এখনও কথা ওঠে। সেই সময় টেস্ট সিরিজেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। পারিশ্রমিক নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল দুর্বল ছিল। তাই বাংলাদেশ এমন ফল করতে পেরেছে। এমন কথা ওঠে। কিন্তু এবার টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে সেই কথা থেকে মুক্ত হতে পেরেছে বাংলাদেশ। এবার ওয়ানডে থেকেও মুক্তির পালা। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই দিয়েছে। এবার দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার পালা। দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অবশ্য এর আগেও সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে দুই দলের মধ্যকার সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেবারই আসলে ২০০৯ সালে জেতার সমালোচনা থেকে মুক্তি মিলেছে। তবে এবার যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করা যায় তাহলে চিরতরে এই কথায় মাটি পড়বে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ পর্যন্ত আটবার দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ২০০৯ ও ২০১২ সালে জিততে পেরেছে। ছয়বারই হেরেছে। দেশের মাটিতে চারবার খেলে তিনবারই হেরেছে বাংলাদেশ। একবার সিরিজ জিততে পেরেছে। সেই জয়টি এসেছে ২০১২ সালে। সেবারই দুই দলের মধ্যকার সর্বশেষ বাংলাদেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হয়। যখন বাংলাদেশের ওয়ানডে এত দুর্দান্ত সময় ছিল না, তখনই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেশের মাটিতে সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এখনতো দেশের মাটিতে ওয়ানডেতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী দলই হয়ে উঠেছে মাশরাফিবাহিনী। তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরতো নাস্তানাবুদ হওয়ারই কথা। ছয় বছর পর টেস্ট খেলতে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বুঝেছে, বাংলাদেশ কতটা শক্তিশালী দল হয়ে উঠেছে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ কেমন দল, তাতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাল করেই জানা আছে। এরপরও ছয় বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের সর্বশেষ পারফর্মেন্সগুলো দেখেইতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটাররা চাপে পড়ে যাওয়ার কথা। প্রস্তুতি ম্যাচে যেভাবে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের সেঞ্চুরিতে জিতেছে বিসিবি একাদশ, তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদেরতো ঘুমও চলে যাওয়ার কথা। মহাচাপে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই চাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে যুক্ত হলেতো বাংলাদেশই লাভবান হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে খেলার মাঠেও চাপে ফেলে এখন ওয়ানডেতেও হোয়াইটওয়াশ করা গেলেই হয়।
×