ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিচার বিভাগের দক্ষতা ও যোগ্যতাই একটি দেশের সাফল্যের মাপকাঠি

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

বিচার বিভাগের দক্ষতা ও যোগ্যতাই একটি দেশের সাফল্যের মাপকাঠি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ একটি দেশের সরকারের কৃতিত্ব পরিমাপ করার মাধ্যম হচ্ছে তার বিচার বিভাগের দক্ষতা ও যোগ্যতা। এই বিভাগের দক্ষতা ও যোগ্যতাকে একটি দেশের সাফল্যের মাপকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৩তম বার্ষিক সম্মেলন-২০১৮’র প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ কামরুজ্জামান আনসারীর সভাপতিত্বে এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, প্রধান বিচারপতির স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী সামিনা খালেক, সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ রহমত উল্লাহ। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি-২০১৮-এর আহ্বায়ক মোল্লা মোঃ আবু কাওছার। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন বব্যস্থায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আইনের শাসন, মৌলিক মানবধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান। এই সংবিধানে রাষ্ট্রের আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব এবং স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনটি অঙ্গের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গণতন্ত্র ও আইনের শাসন কে সুসংহত ও বিকশিত করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য। জাতির বৃহৎ স্বার্থে এবং অর্থনৈতিক সম্প্রতি অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করার জন্য রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের সমন্বিত প্রয়াসের বিকল্প নাই। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারক ও আইনজীবীরা হচ্ছেন সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার। শিক্ষিত, জ্ঞানী-গুণী, সকল লোকের সমাগম ঘটে এখানে। আইনজীবীদের শুধু আইনের ওপর দখল থাকলে চলবে না পেশাগত আচরণও সুন্দর হতে হবে। তাকে অবশ্যই সৎ থাকতে হবে এবং উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে হবে। কেননা বিচার নিষ্পত্তির সঙ্গে রয়েছে এর গভীর সম্পর্ক। আর এ কারণে ব্যক্তিগত স্বার্থের চেয়ে আদালতের প্রতি কর্তব্য সবার আগে বিবেচনা করতে হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাই এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশেষ গৌরবের দাবিদার।
×