ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিন শতাধিক সাবেক উর্ধতন কর্মকর্তার সমর্থন ঘোষণা

জনগণকে উন্নয়নের কথা বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

জনগণকে উন্নয়নের কথা বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন প্রশাসনের তিন শতাধিক সাবেক উর্ধতন কর্মকর্তা, নয়জন সাবেক রাষ্ট্রদূতও রয়েছেন এই দলে। অবসরপ্রাপ্ত এসব উর্ধতন সরকারী কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির প্রতি সংহতি ও সমর্থনও জানিয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে দেশের জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও তারা আশা প্রকাশ করেন। সবাইকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কাজ করলেই জনগণ ভোট দেবে, এমন নয়। ১০ বছরে আমরা যে উন্নয়ন করেছি, তা জনগণকে বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে। নইলে মানুষ তা ভুলে যায়। কারণ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনেরও পরিবর্তন হয়। তবে আমরা ধ্বংসের দিকে যেতে চাই না, আমরা উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে চাই। ক্ষমতাসীন থাকাকালে চার সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার উদাহরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময়ে যত উন্নতি হয়েছে, শহরগুলো সুন্দরভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও দেখা গেল নির্বাচনে আমরা ভোট পেলাম না। তখন আমি প্রার্থীদের বলেছিলাম, শুধু উন্নতি করলে হয় না, বার বার জনগণকে বলতে হবে, আমরা আপনাদের জন্য এত কিছু করেছি। তাহলেই তারা বুঝবে। কারণ মানুষ সুখের দিনটা ভুলে যায়, সুখটা তারা ইনজয় করতে থাকে। কাজেই মনে করিয়ে দিতে হবে বারবার, বলতেও হবে বারবার। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে কোন সরকার মেয়াদপূর্ণ শেষে একটিবারও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেনি। ৫ বছর দায়িত্ব পালন শেষে ২০০১ সালে একমাত্র আমিই সেটা করতে পেরেছি। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরপরই আমাদের সময়ে দায়িত্ব পালন করা ১৩ জন সচিবকে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। এমনকি অফিস থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছে যারা, তারা আবার অফিসে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেবে, সে সুযোগটাও দেয়া হয়নি। সামরিক প্রশাসনেও এমনটা করা হয়েছে। চাকরির মেয়াদ থাকলেও ২৫ বছর পর্যন্ত ওএসডি করে রাখা হয়েছিল। তাদের অপরাধ ছিল আমাদের সময়ে তাদের পদোন্নতি দিয়েছি। এ সময় ৯৬ এ জনতার মঞ্চ গড়তে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদানের কথা স্মরণ করেন তিনি। ২০০১ সালের নীলনক্সার নির্বাচন ও বিএনপির জুলুম-নির্যাতনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সম্পদ গ্যাস বিক্রি করিনি। আমেরিকার কোম্পানি গ্যাস বিক্রি করবে, ভারত সেটা কিনবে। আমি রাজি হইনি। ফলে দুটি দেশেই আমাদের প্রতি বিগড়ে গেল। ফলে ওই নির্বাচনে হাতে তুলে আমাদের হারানো হলো। আমরা কিন্তু ভোটে হারিনি। এত বাধার পরেও আমরা অনেক ভোট পেয়েছি। কিন্তু সিটে আমাদের হারানো হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আমি একটা ডকুমেন্ট পেয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম তখনই চিহ্ন দেয়া ছিল, যে কোন কোন সিট আমাদের দেয়া হবে, আর কোনটি দেয়া হবে না। কোনটা লাল, কোনটা কালো, কোনটা হলুদ, সবুজ কালিতে দাগ দেয়া ছিল। এইভাবে তৈরি করা ছিল। সেখান থেকে বোঝা যায় যে নির্বাচনটা তখন কেমন হয়েছিল। সম্প্রতি সংলাপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। কিন্তু অনেক অপমান, নির্যাতন সহ্য করার পরেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যখন চাইল যে আমরা দিনের পর দিন দীর্ঘ সময় নিয়ে তাদের সঙ্গে সংলাপে বসলাম। আমরা যেহেতু জনগণের জন্য কাজ করেছি, জনগণ খুশি হয়ে ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। দেশের ভাগ্যটা পরিবর্তন হোক, আমরা সেটাই চাই। আজকে দেশের মানুষ বুঝতে পারে তাদের জন্য কারা কাজ করেছে। তারপরেও যত কাজই করি না কেন, শুধু কাজ করলেই যে দেশের মানুষ ভোট দেবে, তা কিন্তু না। মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে হয়। তাদের বলতে হয় যে, এই সরকার আপনাদের জন্য এই কাজ করেছে। কাজেই এই সরকারকে আগামীতে আরও ভোট দিতে হবে। এই তথ্য বারবার পৌঁছে দিতে হবে, নইলে বারবার তারা ভুলেই যায়। উদাহারণ হিসেবে তিনি বলেন, ৯৬ থেকে ২০০১ মেয়াদে আমরা রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। তারপরেও আমরা ভোট পেলাম না। কাজেই শুধু উন্নয়ন করলেই হয় না। মনে করিয়ে দিতে হয় যে আমরা তোমাদের জন্য এটা করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে নির্বাচন। আপনারা আজকে সবাই উপস্থিত হয়েছেন এবং আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। আর সেই বিভীষিকাময় অবস্থায় দেশ যাক, সেটা আমরা চাই না। আবার অগ্নিসন্ত্রাস, বাংলা ভাই, জঙ্গীবাদ, মানিলন্ডারিং, দুর্নীতি, মাদক, অস্ত্র, সস্ত্রাসী কর্মকান্ড এটা আর বাংলাদেশের মানুষ চায় না। সরকারের ধারাবাহিকতায় সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের দিকগুলো তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ইশতেহার দিয়েছিলাম দিন বদলের সনদ। ওটার মূল কথাগুলো প্রস্তুত করেছিলাম ২০০৭ সালে যখন গ্রেফতার সাবজেলে বন্দী ছিলাম। সেখানে বসেই লিখেছিলাম আমরা কত সালের মধ্যে কি কি করব? আজকে অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি, দিন বদলের সনদটা কার্যকর হয়ে প্রকৃতপক্ষে মানুষের জীবন বদলে গেছে। এখন মানুষ অনেক উন্নত সুন্দর জীবন পাচ্ছে। কিন্তু আরও আমাদের করতে হবে। কারণ দরিদ্রের হার তো কেবল ২১ ভাগে নামিয়েছি, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ৫ ভাগে না নামাব, ১৬/১৭’তে না নামাব ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ করতে হবে। দেশের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচীগুলো তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ করছি। সেগুলোকে তো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। নইলে আবার হয়তো সব ধ্বংস হয়ে যাবে। এখন আমরা যেমন খাদ্য উৎপাদনে একটা অবস্থান করে নিয়েছি, এই জায়গাগুলো আবার শেষ হয়ে যাবে। কারণ আমরা আওয়ামী লীগ আমরা কিন্তু নিজেরা ব্যবসা করতে আসিনি। আমরা মানুষের কল্যাণ করার জন্য এসেছি। কিন্তু অনেকে তো ক্ষমতাকে মনে করে তার ব্যবসার একটা বড় সুযোগ। একথাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছানোর আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) এখন যে সুখের মুখ দেখছে বা ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল হবে বা তাদের ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া থেকে সব ব্যাপারে সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছি, এগুলো আবার বন্ধ হোক বা আমাদের উন্নয়নের যে পরিকল্পনার যে প্রকল্পগুলো পাস করেছি সেটা বাস্তবায়ন হোক, সেটা তারা চায় কি না? তাহলে তো আওয়ামী লীগকে তাদের ভোট দিতে হবে আর না চাইলে কিছু করার নাই। এই কথাগুলো মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সাবেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমাদের উন্নয়নের কথাগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরা আর সেই সঙ্গে মানুষের কাছে একটা ভোট চাওয়া। আমরা স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে এদেশকে গড়তে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়তে চাই। ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেই জিনিসটুকু মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া দরকার। তিনি বলেন, যখন মনে পড়বে আসবেন। আর আপনাদের সবার ফোন নাম্বার আমরা নিয়ে নেব। আপনারা ঠিকই বলেছেন যে, একটা যোগাযোগ আমাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং আমি আমাদের অনেক নেতাদের এবার ইলেকশন করতে না দিয়ে ইলেকশন পরিচালনার জন্য এবং সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার জন্য তাদের রেখেছি। তারা যোগাযোগ রাখবে। এক একটা গ্রæপের দায়িত্ব আমরা দিয়ে দিচ্ছি। কাজেই তারা এই বিষয়টা দেখবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমরা চাই না একটা খুনীর দল, যুদ্ধাপরাধীর দল আর স্বাধীনতাবিরোধী, অগ্নিসন্ত্রাস যারা করে এরা আর এদেশে ক্ষমতায় আসুক। সেটা আমরা কেউই চাই না। কারণ তারা দেশটাকে ধ্বংস করে দেবে। দেশ ধ্বংসের দিকে যাক তা আমরা চাই না। আমরা অগ্রগতির দিকে যেতে চাই। এই অগ্রগতির পথে আমরা এগিয়ে যাব। সাবেক সরকারী আমলাদের মধ্যে সিনিয়র সচিব ৬৫ জন, সাবেক রাষ্ট্রদূত ৯ জন, যুগ্ম/উপ সচিব পর্যায়ে ৭৫ জন, স্বাস্থ্য ক্যাডারের ১৪ জন, শিক্ষা ক্যাডারের ১৫ জন, প্রকৌশলী ২৭ জন, বন ও ডাক বিভাগের ১১ জন, পুলিশ ক্যাডারের ১৪ জন, কর ১৩ জন, কৃষি ৬৭ জন, টেলিকম, শুল্ক, রেলওয়ে, খাদ্যসহ অন্যান্য কাডারে ১১ জন মিলিয়ে মোট ৩০৭ জন অবসরপ্রাপ্ত উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে অপর এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রায় দেড় শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত উর্ধতন সামরিক কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে তার প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমÐলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক সরকারী আমলরা একে একে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর প্রত্যেকটি ব্যাচের সাবেক আমলা বক্তব্য রাখেন। সাবেক আমলাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব আবু তাহের, এস এম আলী কবির, কামরুন নেসা খানম, কৃষিবিদ ওয়াসিউজ্জামান আকন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোঃ আব্দুল হান্নান, খন্দকার শওকত হাসান, ডাঃ দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, অশোক মাধব রায়, প্রফেসর নোমানুর রশিদ, প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূইঞা, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামনুর রহমান, শামসুজ্জোহা খন্দকার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনসার আলী খান, সাবেক সচিব আজিজুর রহমান, প্রফেসর দিলারা হাফিজ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব খলিলুর রহমান, মিয়া লুৎফর রহমান, আলম তালুকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা বক্তব্যে সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা তার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন তিনি। বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে কামাল আবদুল নাসের বলেন, আমরা অন্ধকার সময়ে ফিরে যেতে চাই না। আপনার (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করছি। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিণত হবে সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশে। আসন্ন নির্বাচনে জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। সূত্র জানায়, গণভবনে গিয়ে একাত্মতা জানানো সরকারী সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বদিউজ্জামান, এ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ আর খান, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহ উদ্দিন, মোঃ মেজবাহ উল আলম, ইউনুসুর রহমান, সাবেক সচিব আবু তাহের, হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার, মাহবুব উল আলম খান, শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, আবদুল মালেক মিয়া, দেওয়ান জাকির হোসেন, সুনীল কান্তি বোস, সৈয়দ আলী কবির, শেখ খুরশিদ আলম, আতাহার উল ইসলাম, সমরচন্দ্র পাল, মোঃ নুরুল হক, আঃ মান্নান হাওলাদার, এ টি কে এম ইসমাইল, মোঃ শফিকুল আযম, কামরুন নেসা খানম, মোঃ মিজানুর রহমান, খোন্দকার আসাদুজ্জামান, মোঃ কাজী আনোয়ার হোসেন, আরাস্তু খান, এম এ কাদের সরকার, ড. চৌধুরী মোঃ বাবুল সরকার, এ এইচ এম মাসুদ সিদ্দিকী, মোঃ আজিজুর রহমান, শফিক আলম মেহেদী, আজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, এ এল এম আব্দুর রহমান, মোঃ হুমায়ুন খালিদ, আনোয়ার ফারুক, শাহীন খান, মোঃ মনসুর আলী শিকদার, রীতি ইব্রাহিম, নজরুল ইসলাম খান, ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, মিখাইল শিপার, খোরশেদ আলম চৌধুরী, এম এ মান্নান, এ কে এম আমির হোসেন, নুরুন নবী তালুকদার, ফখরুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, সিরাজুল ইসলাম, শ্যামল কান্তি ঘোষ, এ এম বদরুদ্দোজা, শিরিন আখতার, খন্দকার ইফতেখার হায়দার, কায়কোবাদ হোসেন, আবু মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, নাজমুল ইসলাম, মমতাজ আলা শাকুর আহমেদ, নাজিম উদ্দিন, অশোক মাধব রায়, ড. প্রশান্ত কুমার রায়, পিএসসির সাবেক সদস্য কাজী নাসিরুল ইসলাম, মোঃ ওয়াজেদ আলী খান, এ এল এম আব্দুর রহমান, মোঃ জহুরুল আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ টি এম নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মোঃ আজিজুল হক, গোলাম মোস্তফা, মোঃ আবদুল হান্নান, আতিকুর রহমান, ইকতিয়ার চৌধুরী, ওয়াহিদুর রহমান ও আঃ সাত্তার। আরও রয়েছেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব জি কে নুরুল আমিন, শাহ মোঃ মনসুরুল হক, ফজলুল আহাদ, ইয়াহিয়া চৌধুরী, মুজিবর রহমান, ভীমচরণ রায়, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, স্বপন কুমার সরকার, প্রণব কুমার চক্রবর্তী, আব্দুল জলিল মিয়া, নুর হোসেন তালুকদার, বজলুল হক বিশ্বাস, ইমদাদুল হক, ফিরোজ মিয়া, রতন কুমার রায়, নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস, খলিলুর রহমান, আব্দুল হামিদ, নাজমুল হাই, নিশীথ কুমার সরকার, বিজন কুমার বৈশ্য, মোঃ মনিরুজ্জামান, হরিমানিক্য দত্ত, মোঃ হযরত আলী, এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এম এন আব্দুল ওয়াহাব, রীতা সেন, দীলিপ কুমার বসাক, সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, পরিমল দেব, তথেশ চন্দ্র পোদ্দার, বজলুর রহমান, পুণ্যব্রত চৌধুরী, মানবেন্দ্র ভৌমিক, মঈনুদ্দিন কাজল, সুলেন রায়, আব্দুল হান্নান শেখ, বাবুল চন্দ্র রায়, মনোজ কুমার রায়, খন্দকার আখতারুজ্জামান, মোঃ আনছার আলী খান, খিজির আহমেদ, আকতার উজ্জামান, ফায়েকুজ্জামান চৌধুরী, কাজী আব্দুল নুর, নুরুল ইসলাম, অমিত কুমার বাউল, ধীরেন্দ্রনাথ সরকার, ড. মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, মোঃ সামসুজ্জামান, ড. মোঃ মাহমুদুর রহমান, কফিল উদ্দিন, মোঃ শওকত আকবর, সাবেক যুগ্ম সচিব আবদুল হাই, সাহেব আলী মৃধা, মোঃ শহীদুল্লাহ মিয়া, ইকবাল হোসেন খান, মোঃ শাহজাহান মিয়া, আখতারুল আলম খান, ইফয়েখার আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, মুজিবর রহমান, এ কে এম সালাম, মোঃ ইছাহাক মিয়া, সোহরাব হোসেন শেখ, আলী আহমেদ, শফিকুর রহমান, প্রশান্ত কুমার দাস, আবু ইউসুফ, শামসুল করিম ভূঞা, ১৯৭৩ সালের প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান মিয়া ও ইকবাল হোসেন। আরও রয়েছেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক শাহ মুনির হোসেন , ডাঃ দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুভাষ কুমার সাহা ও ডাঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী, শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বরিশালের সাবেক পরিচালক ডাঃ কামরুল হাসান সেলিম, রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক পরিচালক ডাঃ মোজাম্মেল হক, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডাঃ এ কে এম জাফর উল্লাহ, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ জালাল আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ডাঃ কার্তিক চন্দ্র দাস, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ জসীম উদ্দীন খান, স্বাস্থ্য পরিচর্যার সাবেক পরিচালক ডাঃ সৈয়দ আবু জাফর মোঃ মুসা, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক আভা হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ডাঃ দীন মোহাম্মদ, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডাঃ এম এ হামিদ। এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা প্রফেসর মোঃ নোমানুর রশীদ, প্রফেসর মোঃ আনুল কাশেম মিয়া, প্রফেসর ড. রাম দুলাল রায়, প্রফেসর ড. আয়েশা বেগম, প্রফেসর আ. সালাম হাওলাদার, প্রফেসর আবু হায়দার আহমেদ নাসের, প্রফেসর মোঃ জাকির হোসেন, প্রফেসর মোঃ সাদেকুর রহমান, প্রফেসর ড. ইয়াসমিন আহমেদ, প্রফেসর আমিনা খাতুন, প্রফেসর তসলিমা বেগম, প্রফেসর আ ক ম সাখাওয়াত হোসেন, প্রফেসর দীপক কুমার নাগ, প্রফেসর দিলারা হাফিজ, প্রফেসর মিয়া লুতফর রহমান প্রমুখ।
×