ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিন বছরেও চালু হয়নি মানিকগঞ্জ ট্রমা সেন্টার

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

  তিন বছরেও চালু হয়নি মানিকগঞ্জ  ট্রমা সেন্টার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের জরুরী চিকিৎসা সেবা দিতে মানিকগঞ্জে একটি ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করলেও স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। স্থাপনের তিন বছর পেরিয়ে যাবার পরও যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসকসহ পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে শুরু করা যায়নি স্বাস্থ্যসেবা। এতে দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অবশ্য ট্রমা সেন্টারটি চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের জরুরী চিকৎসাসেবা দিতে ২০১০ সালে সরকার দেশের ৬টি মহাসড়কের পাশে ১০টি ট্রমা সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১৫ সালে এ প্রকল্পের আওতায় মনিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে তিন তলা বিশিষ্ট একটি ট্রমা সেন্টার নির্মাণ কাজ শেষে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটি শুরু করতে পারেনি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। এতে তাৎক্ষণিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহতরা। জরুরী সেবা না পেয়ে অনেকেই বরণ করছেন পঙ্গুত্ব। অসুস্থরা জানান, ‘মানিকগঞ্জে ট্রমা আছে। কিন্তু সেখানে গেলে কোন সেবা পাওয়া যায় না। এজন্য আমাদের প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।’ যন্ত্রাংশ ও পর্যাপ্ত জনবলের অভাবেই ট্রমা সেন্টারটি চালু করা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, ‘অর্থপেডিক্স সার্জন ১ জন, আরএমও ১ জন এবং ১ জন একনেসথলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হলেই হাসপাতালটি সেবা দেয়া শুরু করবে।’ তবে ট্রমা সেন্টারটিতে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম শুরু করতে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও লোকবল নিয়োগের আশ্বাস দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘জনবলের স্বল্পতা রয়েছে। আপনারা জানেন যে, ১৫০০০ নার্স নিয়োগ হয়েছে। আর ১০০০০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে মানিকগঞ্জ ট্রমা সেন্টারে আমরা লোকবল দিতে পারব।’ ২০১৫ সালে ৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়।
×