ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁও সীমান্তের স্বজনদের মিলনমেলা

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮

 ঠাকুরগাঁও সীমান্তের  স্বজনদের  মিলনমেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ৭ ডিসেম্বর ॥ ভারতের সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া আটকাতে পারেনি দুই বাংলার হাজার হাজার স্বজনের রক্তের টান। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার কোঁচল ও চাঁপাসার এবং ভারতের নাড়গাঁও ও মাকারহাট সীমান্তের তারকাঁটার এপার-ওপারে চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষের রক্তের টানে উপস্থিতি যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়। বর্ষপুঞ্জিকা অনুযায়ী হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছর শ্রী-শ্রী জামর কালির জিউ (পাথরকালী) পূজা উপলক্ষে মেলা উদযাপন করে থাকেন। আর এ পূজা উপলক্ষে প্রতি বছরে এই দিনে দূর-দূরান্ত থেকে দুদেশের স্বজনরা ভিড় জমায় ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা চাপাসার ও রানীশংকৈল উপজেলার কচল সীমান্তের ৩৪৫ ও ৩৪৬নং পিলার এলাকায়। প্রতি বছরের মতো এবারও শুক্রবার সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে দুদেশের স্বজনরা সীমান্তে সমবেত হতে থাকে। স্বজনদের সঙ্গে দেখা ও কথা বলার জন্য সকাল থেকে সীমান্তের এপার-ওপারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় দুদেশের হাজার হাজার মানুয়ের ভালবাসা আদান প্রদানের দৃশ্য। শেষ পর্যন্ত দুপুর ১২টায় স্বজনদের ধরে রাখতে পারেনি দুদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী। তাঁরকাটার গেট না খুললেও অনানুষ্ঠানিকভাবেই তারকাঁটার এপারে-ওপারে দাঁড়িয়ে স্বজনদের দেখা ও কথা হয় একে অপরের সঙ্গে। আদান-প্রদান হয় নানা রকমের খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসা সৈয়দপুর উপজেলার বাসিন্দা মরিয়ম বেগম (৫০) জানান, এবার দেখা করেছেন তার ছোট বোন সেফালীর সঙ্গে। ১৬ বছর আগে সেফালীর বিয়ে হয় ভারতের মালদা জেলার চানমুনী গ্রামে। বিয়ের পর এই প্রথম বোন ও বোনের স্বামীর দেখা পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে তার বোন ও বোনের ছেলেমেয়ে ও স্বামীকে কাপড় এবং মিষ্টি দিয়ে বেশ আনন্দ ভোগ করেন।
×