ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

ঝলক

সবচেয়ে বড় জিহ্বা যোগ্য বাহাদুর কতুয়াল। পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী ছোটখাটো ছিপছিপে গড়নের নেপালী এই মানুষটাকে দেখে অবাক হওয়ার তেমন কিছুই নেই। আর দশটা দোহাতি নেপালীর মতোই সাধারণ তিনি। তবে এই মানুষটি যখন তার জিহ্বা বের করেন তখন সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন। কারণ জিহ্বা দিয়ে আমরা যেখানে আমাদের ঠোঁটের ওপরের অংশ ছুঁতে হিমশিম খাই, সেখানে বাহাদুর দিব্যি তার জিহ্বা কপাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন। বাহাদুরের বাড়ি নেপালের উর্লাবারি শহরের উপকণ্ঠে। পেশায় স্কুলের বাসচালক। সম্প্রতি তার এক বন্ধু তার জিহ্বা দিয়ে কপাল ছোঁয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। অনেকেই এই দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছেন। কারণ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জিভের স্বাভাবিক আকৃতি ১০ সেন্টিমিটার। যা দিয়ে কোনভাবেই কপাল তো দূরের কথা নাকও ছোঁয়া সম্ভব না। বাহাদুরের দাবি, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জিহ্বার অধিকারী তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই তিনি গিনেস বুকে নাম লেখাবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে বাহাদুর রীতিমতো তারকা বনে গেলেও এই জিহ্বা নিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে খুব বেশি সুখী নন তিনি। কারণ এই জিহ্বা দেখে অনেকেই ভড়কে যান। বিশেষ করে বাচ্চারা! ফলে কর্মক্ষেত্রে বা জনসম্মুখে তিনি জিহ্বা দেখাতে খুব একটা স্বস্তিবোধ করেন না। -ওয়েবসাইট আসছে প্লাস্টিকের গাড়ি প্লাস্টিকের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদরা। বিশেষ করে প্লাস্টিক ব্যাগে পরিবেশ দূষণের কথা তুলে প্লাস্টিক নিষিদ্ধের কথা বলছেন অনেকে। তবে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রযুক্তি এখন অনেক উন্নত হয়েছে। আর সে কারণে প্লাস্টিক নিষিদ্ধের কথা এখন ভুলে যেতে হবে। কারণ এটা এখন গাড়ি শিল্পে ব্যাপকভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে। এই খাতে ব্যবহার করা হবে আরও বেশি প্লাস্টিক। তারা বলেছেন, একটি গাড়িতে ৯০ শতাংশ প্লাস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে, সম্প্রতি তারা এমন একটি গাড়ি নির্মাণ করেও দেখিয়েছেন। ফরেন পলিসি অরগ এর তথ্যমতে, জাপানের উদ্ভাবকরা প্লাস্টিক ব্যবহার করে গাড়ির কাঠামো মজবুত করতে বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করেছেন। সাধারণ গাড়ির চেয়ে এই গাড়ি অধিক হালকা। শুধু তাই নয়, প্লাস্টিকের গাড়ি জ্বালানি খরচও কমিয়ে দেয়। এই প্রক্রিয়ায় গাড়িচালকদের জ্বালানি ব্যয় কমে যাবে। গাড়িতে সাধারণত স্টিলের ব্যবহারই বেশি করা হয়। যেটা ভারি হয়ে থাকে। এর সঙ্গে গ্লাস, রাবার, তামার তার, কোবাল্টসহ অন্যান্য পদার্থ যোগ করলে আরও ভারি হয়। প্লাস্টিকের গাড়ি শুধু এই ওজন সমস্যার সমাধান করবে না, বরং গাড়িকে স্থায়ীও করবে। কারণ এর ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা কম। এটা শব্দও কমিয়ে দেবে। প্লাস্টিকের কাঠিন্য অনেক কম হওয়ায় এত দিন মনে করা হত যে, প্লাস্টিকের গাড়ি তৈরি সম্ভব নয়। কিন্তু জাপানের বিজ্ঞানীরা গবেষণায় এটা মিথ্যা প্রমাণ করলেন। তারা বলেছেন, এই গাড়ি বুলেট প্রুফও হতে পারে। অভিনব গাড়ি তৈরিতে বরাবরই জাপানের অবদান রয়েছে। ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিক্সে চালকহীন গাড়ি লঞ্চ করার পরিকল্পনা রয়েছে জাপানের। আর ২০২২ সাল থেকে ওই চালকহীন গাড়ি বাজারে আসবে। -নিউজ টুডে
×