ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাঠের রাজনীতি সরগরম হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

মাঠের রাজনীতি সরগরম হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে

শরীফুল ইসলাম ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ২২ দিন বাকি। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে রাজনৈতিক দলগুলোর আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার। এ দিন থেকেই নির্বাচন কেন্দ্র করে মাঠের রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠবে। বড় রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে কর্মসূচী পালনের নামে শোডাউন করবে। কে কার চেয়ে বেশি লোকসমাগম করে জনদৃষ্টি নিজেদের দিকে নিতে পারবে এ নিয়ে শুরু হবে প্রতিযোগিতা। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যেই নিজেদের দল ও জোটের আসন বণ্টন প্রায় শেষ করে ফেলেছে। কিছু কিছু নির্বাচনী আসনে প্রার্থী নিয়ে সমস্যা থাকলেও তা আজকালের মধ্যেই মিটিয়ে ফেলবে। এবার বড় রাজনৈতিক দলগুলো অধিকততর যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী দেয়ার চেষ্টা করেছে। তবে মামলায় সাজা, ঋণখেলাপী, বিলখেলাপীসহ বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন দলের বেশ ক’জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ দলটির ক’জন সিনিয়র নেতাও রয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে রাজনৈতিকভাবে চরম বেকায়দায় থাকা বিএনপি এবার আগেভাগেই মাঠে নামতে চায়। তাই তাদের রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ১০ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল। অবশ্য পরে তা স্থগিত করেছে। তবে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীসহ সারাদেশে নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ইতোমধ্যেই ১১ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে নির্বাচনী প্রচার শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়া অন্যান্য দলগুলোও আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করার ঘোষণা আজকালের মধ্যে দেবে বলে জানা গেছে। প্রতি ৫ বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী শুরু হয় ভোট উৎসব। নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার পূর্বমূহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলই কম-বেশি ভোট উৎসবে শামিল হয়। প্রতিটি দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মিলে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে সরব থাকে। কখনও কখনও নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, আবার তা ভুলে গিয়ে সবাই মাঠে সক্রিয় থাকে তারা। তবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী দল উৎসব করা অব্যাহত রাখলেও পরাজিত দলগুলো রাজপথে নেতিবাচক কর্মসূচী পালন করে ভোটের উৎসবকে ম্লান করার চেষ্টা করে। তবে এবার এখন পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দল ভাল নির্বাচনের স্বপ্ন দেখলেও শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কেমন হয় তা দেখার জন্য আরও ২২ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
×