ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আপীল শুনানি ॥ প্রথম দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৮০ জন

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

আপীল শুনানি ॥ প্রথম দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৮০ জন

শাহীন রহমান ॥ ইসিতে প্রার্থীদের আপীল শুনানির প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার ১৬০ প্রার্থীর শুনানি নিষ্পত্তি করেছে নির্বাচন কমিশন। শুনানিতে ৮০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বৈধতা পেয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির গোলাম মাওলা রনিসহ ৩৮ জনের প্রার্থিতা বৈধতা পেয়েছে। শুনানিতে ৭৬ জনের আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে। খারিজের তালিকায় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী মীর নাসির, ইকবাল মাহমুদ টুকু এবং রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও রয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শামসুল হুদার আবেদন শুনানির মাধ্যমে কমিশনের আপীল নিষ্পত্তি শুরু হয়। শনিবার শেষ হবে এই আপীল শুনানি। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া বিএনপির বেশিরভাগ প্রার্থীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থেকে পদত্যাগ গৃহীত না হওয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ইসির শুনানিতে ৪ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত পেন্ডিং রয়েছে। তবে ইসিতে যাদের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে শেষ বিকল্প হিসেবে উচ্চ আদালতে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীলের সুযোগ পাবেন। আজ শুক্রবার এবং আগামীকাল শনিবারও ইসিতে আপীল শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীর আপীল নিষ্পত্তির তালিকায় রয়েছে। আপীল নিষ্পত্তিতে যাদের বিরুদ্ধে দ-াদেশ রয়েছে তাদের আপীল ইসিতে নামঞ্জুর হয়েছে। ইসিতে আপীলে বিএনপির অনেকেই প্রার্থিতা ফিরে পেলেও দলের হেভিওয়েটদের প্রার্থিতা বাতিলই থাকল। ইসির শুনানি শেষে প্রথম দিনে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মাদ নাসির হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস দুলুর মনোনয়নপত্র আপীলে বাতিল করে দেয়া হয়েছে। বিএনপির এসব হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত থাকায় গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিবেচনার জন্য নির্বাচন কমিশনে আপীল করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আপীল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে তাদের প্রত্যেকের আবেদনই নামঞ্জুর করেছে ইসি। মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর এজলাস থেকে বেরিয়ে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু সাংবাদিকদের বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার পাইনি। ইসির এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করা হবে বলেও জানান। তিনি নাটোর-২ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। আপীল শুনানির পর চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা মীর মোহাম্মদ বলেন, ইসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন তিনি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখানে তামাশা করা হচ্ছে। তাদের সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমারটা একেবারে রিজেক্ট করে দিয়েছে। পেন্ডিং রাখলেও তো হতো। আগেই ভেবেছিলাম, এখানে এসে সঠিক বিচার পাওয়া যাবে না। বাইরে থেকে লোকদের ঢাকায় ডেকে এনে তামাশা মঞ্চস্থ করছে ইসি। চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মীর মোহাম্মাদ নাসির। যিনি বিএনপি সরকারের আমলে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এই আসনের দলটির পক্ষ থেকে আরও দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন, মীর নাসিরের ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা। ইসির শুনানিতে মীর মোহাম্মদ নাসিরের পাশাপাশি তার ছেলে হেলাল উদ্দীনের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। ফলে এই আসনে এখন বিএনপি একমাত্র প্রার্থী থাকলেন ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বিপক্ষে। তবে ইতোমধ্যে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী সাকিলা ফারজানাকে নিয়েও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে ‘জঙ্গী সম্পৃক্ততার’ অভিযোগ করা হয়েছে। ব্যারিস্টার সাকিলার বাবা প্রয়াত সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম এক সময় চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপির এমপি ছিলেন। তিনি সংসদে হুইপের দায়িত্ব ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। তবে ইসিতে আপীল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন সম্প্রতি আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদানকারী গোলাম মাওলা রনি। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকার অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে আপীলে তার এই ভুল ক্ষমা করে দিয়ে হলফনামায় স্বাক্ষরে অনুমতি দিয়েছে ইসি। ফলে তার নির্বাচনে আর কোন বাধা নেই। এছাড়া ছোটখাটো ভুলে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল তারাও ইসিতে আবেদন করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইকালে সারাদেশে তিন শ’ আসনের মধ্যে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এর মধ্যে বিএনপির ১৪১ জন, আওয়ামী লীগের ৩ জনসহ জাতীয় পার্টি অন্যন্য রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও রয়েছেন। রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থিতা বাতিলে নতুন করে বিএনপির ৮টি আসনে এবং আওয়ামী লীগের তিনটি আসনে প্রার্থী শূন্য হয়ে পড়ে। গত সোমবার থেকে বাতিল হয়ে যাওয়া এসব প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপীল করেন। বুধবার পর্যন্ত ইসির হিসাব অনুযায়ী ৭৮৬ জনের মধ্যে ৫৪৩ জন প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে আপীল করেন। বৃহস্পতিবার থেকে এসব আপীল নিষ্পত্তি শুরু করেছে ইসি। প্রথম দিনের ১৬০ জনের আপীল নিষ্পত্তি করা হয়। এছাড়া আজ শুক্রবারও সকাল থেকেই আপীল নিষ্পত্তি শুরু হবে। ইসি জানিয়েছে, শুক্রবার ক্রম তালিকা অনুযায়ী আজ ১৬১ থেকে ৩১০ জন প্রার্থীর আপীল শুনানি হবে। নির্বাচন ভবনের ১১ তলায় আপীল শুনানির জন্য এজলাস বসানো হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, অন্য চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, শাহাদত হোসেন ও কবিতা খানম এবং ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন। আপীলে তাৎক্ষণিক রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব প্রার্থিতা নিষ্পত্তিতে সন্তুষ্ট নন তারা আদালতে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারবেন। আদালত অনুমতি দিলে তারা নির্বাচন করতে পারবেন। ইসির আপীল নিষ্পত্তি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ছোটখাটো ভুলের জন্য যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়া হয়েছিল সেই সব প্রার্থীই কেবল ইসির নিষ্পত্তিতে বৈধতা পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিএনপির অনেক প্রার্থীই নির্বাচনে বৈধতা পেয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ গৃহীত না হওয়ার অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু ইসিতে আপীলে তারা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর মধ্যে বগুড়া-৭ আসন, ঢাকা-১ ও ২০ এবং জামালপুর-৪ আসনের প্রার্থীরা রয়েছেন। এই চারটির মধ্যে তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলে বিএনপি প্রার্থী শূন্য হয়ে পড়ে। ঋণখেলাপী ও আদালতে দ-াদেশ রয়েছে সেই সব প্রার্থীর ক্ষেত্রেও ইসির শুনানিতে আপীল নামঞ্জুর করা হয়েছে। এই তালিকায় বিএনপির আরও রয়েছেন যশোর-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী সাবেরা সুলতানা। তার আপীলও ইসিতে নামঞ্জুর করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন যাদের আপীল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বাতিল হওয়া তিনটি মনোনয়নপত্রের বৈধতা চেয়েও ইসিতে আবেদন করা হয়েছে। খালেদা জিয়া দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে বন্দী। একই অভিযোগ থাকায় খালেদার জিয়ার আপীলও ইসিতে মঞ্জুর হওয়ার আশা কম রয়েছে। তবে বিএনপির অনেক প্রার্থীকে নির্বাচনে বৈধতা দেয়ার পর দলটির মহাসচিব বলেছেন ইসিতে প্রার্থীরা ন্যায়বিচার পেয়েছে। সরকারের চাপের কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তারা এসব প্রার্থীকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ইসির আবেদনে বৈধ ঘোষণা করায় তিনি ইসিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন ইসির শুনানিতে বিএনপি চেয়ারপর্সন বেগম খালেদা জিয়াও প্রার্থিতা ফিরে পাবেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত এই প্রার্থী সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নি¤œ আদালত তাকে তিন বছর করে মোট ছয় বছরের সাজা প্রদান করে। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করেন। এরপর জামিনে থাকাবস্থায় নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপি থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। দলটির পক্ষ থেকে যশোর-২ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেয়। নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি হাইকোর্টে দ-াদেশ স্থগিতের আবেদন জানান। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ গত ২৯ নবেম্বর বৃহস্পতিবার তার দ-াদেশ স্থগিত করে দেয়। কিন্তু সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করলে দ- স্থগিতের আদেশ খারিজ করে দেয়া হয়। গত ২ ডিসেম্বর সাবেরা সুলতানার মনোনয়নপত্র বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তারা অবৈধ ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপীল করলেও বৃহস্পতিবার শুনানিতে তার আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়। প্রথম দিনের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন যারা ॥ ইসির শুনানিতে যারা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, তাদের মধ্যে পটুয়াখালী-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, বগুড়া-৭: বিএনপির প্রার্থী মোরশেদ মিল্টন। ওই আসনে তিনি খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ার কারণ দেখিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। ঢাকা-১ বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক। চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদতাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। ঢাকা-২০ আসনে বিএনপির তমিজ উদ্দিন। চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। জামালপুর-৪ আসনে ফরিদুল কবির তালুকদার। চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী আখতারুজ্জামান। মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল খেলাপী ঋণের জামিনদার হিসেবে ঋণখেলাপী হওয়ায়। ঝিনাইদহ-২ বিএনপির আব্দুল মজিদ। উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। এছাড়াও পটুয়াখালী-১ আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মোঃ সুমন সন্যামত, পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মোহাম্মদ শাহজাহান। মাদারীপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম মিন্টু। সিলেট-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, জয়পুরহাট-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। পাবনা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোঃ হাসাদুল ইসলাম। মানিকগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী আসনে আবিদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জ-৩: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আয়নুল হক, গাজীপুর-২: জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে জাতীয় পার্টির জেসমীন নূর বেবী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল হেলাল, রংপুর-৪: জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা সেলিম, হবিগঞ্জ-১ আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী জোবায়ের আহমেদ, ময়মনসিংহ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, ময়মনসিংহ-৭ বিএনপির প্রার্থী জয়নাল আবেদিন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী আব্দুল খালেক, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের গণফোরামের মোঃ মাহফুজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ আলী, পঞ্চগড়-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী ফরহাদ হোসেন আজাদ ইসির শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ইসির শুনানিতেও যাদের প্রার্থিতা বাতিলই থাকল ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে মোঃ শামসুল হুদা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মোঃ তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ আসনে মোঃ আবদুল খালেক, দিনাজপুর-২ আসনে মোকারম হোসেন, দিনাজপুর-১ আসনে মোঃ পারভেজ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে এস এম খলিলুর রহমান, ফেনী-১ আসনে মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ড. মিজানুল হক, ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু সাইদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনা-১ আসনে মোঃ নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-২ আসনে এমদাদুল হক, খুলনা-২ আসনে এস এম এরশাদুজ্জামান, নাটোর-১ আসনে বীরেন্দ্র নাথ সাহা, ঢাকা-১ আসনে আইয়ুব খান, বগুড়া-৩ আসনে আবদুল মুহিত, রাঙ্গামাটি আসনে অমর কুমার দে, বগুড়া-৪ আসনে আশরাফুল হোসেন আলমের (হিরো আলম), হবিগঞ্জ-২ আসনে মোঃ জাকির হোসেন, ঢাকা-১৪ আসনে সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাতক্ষীরা-১ আসনে এস এম মুজিবর রহমান, খাগড়াছড়ি আসনে আবদুল ওয়াদুদ ভুইয়া, ঝিনাইদহ-১ আসনে আবদুল ওয়াহাব, দিনাজপুর-৩ আসনে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, পঞ্চগড়-১ আসনে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, বগুড়া-৬ আসনে একে এম মাহবুবুর রহমান, ফেনী-৩ আসনে হাসান আহমদ ও মৌলভীবাজার-২ আসনে মহিবুল কাদির চৌধুরীর আপীল নামঞ্জুর করেছে ইসি। এসব প্রার্থিতার ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীলের সুযোগ পাবেন। এদিকে আদালতের এক আদেশে কিশোরগঞ্জ-১ ও ২ আসনের গণফোরাম মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট এম ডি আজহারুল ইসলাম ও ওএম শফিউর রহমান খান বাচ্চুর মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে তা যাচাই-বাছাই করারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ ছাড়া ঢাকা-১৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদাকাত খান ফাক্কুর মনোনয়নপত্রও জমা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপীল বিভাগ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করতে বলা হয়েছে আদালতের আদেশে। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিচারপতির আপীল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
×