ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিমত রুবেল হোসেনের

পেসাররাও জেতানোর ক্ষমতা রাখে

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

পেসাররাও জেতানোর ক্ষমতা রাখে

মিথুন আশরাফ ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো কোন দলকে ফলোঅন করিয়েছে। ইনিংস ব্যবধানেও হারিয়েছে। আরেকটি রেকর্ড বাংলাদেশ গড়েছে। প্রথমবারের মতো কোন বিশেষজ্ঞ পেসার ছাড়া মিরপুর টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। চার বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কুপোকাত করেছে। এবার সামনে ওয়ানডে সিরিজ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পেসারদের কী হবে? পেসার রুবেল হোসেন মনে করছেন পেসাররাও জেতানোর ক্ষমতা রাখে। পেসাররা ওয়ানডে জেতানোর ক্ষমতা রাখে? এই প্রশ্ন উঠতেই পেসার রুবেল জানান, ‘অবশ্যই ক্ষমতা রাখে। ওয়ানডে জিতিয়েছেও পেস বোলাররা। আপনি যদি দেখেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও। এই কন্ডিশনেও অবশ্যই জিতাতে পারবে, ওয়ানডেতে উইকেট স্পিন সহায়ক থাকবে না, যেভাবে টেস্টে ছিল। আর আমাদের যেই পেস বোলাররা আছে, এই কন্ডিশনে সবসময়ই ম্যাচ জেতাতে পারব।’ আর তিনদিন পর ৯ ডিসেম্বর প্রথম ওয়ানডে দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি ১১ ও তৃতীয় ম্যাচটি ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ সিরিজের জন্য প্রস্তুতিটাও দারুণ হয়েছে। টেস্ট সিরিজ যেভাবে দাপটের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ, তাতে ক্রিকেটারদের ভেতর আলাদা আত্মবিশ্বাসও আছে। তবে স্পিনাররা যেভাবে দাপট দেখিয়েছেন, তাতে পেসারদের উপর বাড়তি চাপ থাকছেই। রুবেল যদিও মনে করছেন, ‘না আসলে আমাদের সিচুয়েশনটা ওইরকম ছিল। আমাদের উইকেটটা ওইভাবে তৈরি করা ছিল, স্পিনারদের ফেভারেই। আর অবশ্যই, স্পিনাররা যখন ভাল করে, পেস বোলাররা খেলতে পারছে না, এটা একটু দুঃখজনক। তারপরও আমার কাছে মনে হয় ওয়ানডেতে এমন হবে না, ওয়ানডেতে একটু ভিন্ন হবে। উইকেটে ওইভাবে স্পিন থাকবে না। আমার কাছে মনে হয় না ওরকম হবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আসলে আমাদের টেস্ট ক্রিকেটে সবসময় স্পিনাররাই রাজত্ব করে আসছে। আর পেস বোলাররা আমরা সবসময় ওইরকম সাফল্য পাচ্ছি না। আর ওয়ানডে ফরম্যাটটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা ফরম্যাট। একদিনের খেলা, যারা যেদিন যত ভুল কম করবে তারা তত ভাল খেলে। এটা পরিবর্তন করার কিছু নাই। টেস্ট আর ওয়ানডেতে যেভাবে খেলে আসছি, আমার কাছে মনে হয় ঠিকই আছে।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে এ বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবার দেশের মাটিতে খেলা। ৩-০ কী সম্ভব? রুবেল জানান, ‘আসলে এটা তো বলা যাচ্ছে না। আমরা অবশ্যই সিরিজ জেতার জন্য মাঠে নামব। ৩-০ বা ২-০ এ ধরনের কোন কিছুই বলা যাচ্ছে না। আমাদের প্রতিটা প্লেয়ার খুব কনফিডেন্ট আছে। ভাল একটা টেস্ট সিরিজ আমরা জিতেছি, এটা আমাদের প্লেয়ারদের অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে।’ জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন না রুবেল। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিরেছেন। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জুলাইয়ে তিন ম্যাচই খেলেছেন রুবেল। ৫ উইকেটও (১, ৩, ১ উইকেট) নিয়েছেন। ভাল বোলিং করেছেন। এবার কী করতে চান? রুবেল জানান, ‘লাস্ট দুই তিনটা সিরিজ আমি খুব ভাল রিদমে আছি। আমি যদি সুযোগ পাই আমি আমার বেস্ট ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব, যেটা সবসময় করি।’ সঙ্গে ডেথ ওভার বোলিং নিয়ে বলেন, ‘আমি নয় বছর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলছি, অবশ্যই একটু অভিজ্ঞতা হয়েছে। তারপর অনেক কষ্ট করছি ডেথ ওভারের বোলিং নিয়ে। কারণ আমার মেইন স্ট্রেন্থ হচ্ছে আমার ডেথ বোলিং। কারণ আমাকে ডেথে বল করতেই হবে। এমন সিচুয়েশনে বল করি যেখানে ম্যাচ জেতানোও যায় আবার ম্যাচ হেরেও যায়। যার কারণে আমাকে আরও বেশি ফোঁকাস রাখতে হয়। এখন একটু বেশি জোর দিচ্ছি ডেথ বোলিংয়ে।’ অভিযোগ আগেই উঠেছিল। রুবেল বা অন্যরা টেস্ট খেলতে চায় না, বিশেষ করে হোমে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই টেস্ট খেলতে চায় না। বিষয়টিতে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেছেন রুবেল, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের কথা কারা বের করছে জানি না। আমি টেস্ট খেলতে চাইব না কিসের জন্য। এই ক্রিকেটই আমার রুটি রুজি। এটার ওপরেই আমি চলি। আমার পরিবার চলে। তাই না, এটার সঙ্গে তো আমার চিটিং করার কিছু নেই। আমি জানি না এটা কারা বের করছে, বাট আমি কখনই বলি নাই আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই না।’ সঙ্গে লম্বা স্পেলে বোলিং করতে না চাওয়ার বিষয়টিও খোলাসা করেন রুবেল, ‘না না এ ধরনের কিছু না। আমি বিসিএলে বোলিং করছি না? ম্যাচ খেলছি তো, আমি টেস্ট যদি উপভোগই না করতাম, তাহলে আমি এটাকে এড়িয়ে চলে যেতাম। আমি এটার সঙ্গে কখনই চিটিং করি না।’
×