ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় আওয়ামী লীগ নেতা খুন ॥ আটক তিন

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

নওগাঁয় আওয়ামী লীগ নেতা খুন ॥ আটক তিন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৫ ডিসেম্বর ॥ নওগাঁ জেলার পতœীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নজিপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ ইছাহাক হোসেন (৭২) দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মামুদপুর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে এই খুনের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাস চালক দুলাল রায় (৩২) গুরুতর আহত হয়েছে। তার এই মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় এবং রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে থানায় নিয়ে আসে। নিহত ইছাহাক হোসেন (৭২) নজিপুর পৌরসভার মামুদপুর গ্রামের মৃত খয়ের মুন্সীর ছেলে। মাইক্রো চালক দুলাল বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। জানা গেছে, পতœীতলা উপজেলা সদরের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন ও রাজনৈতিক আলোচনা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইছাহাক নিজ বাড়ি মামুদপুরে মাইক্রোবাসে রওনা হন। মামুদপুরের বাসায় সন্ত্রাসীরা বাড়ির কেয়ারটেকার আনিমুল হককে বেঁধে রেখে বাড়ির ভেতরে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল। এছাহাক হোসেন দরজায় নক করলে সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরাই দরজা খুলে দেয়। বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীরা তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরী ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে মাইক্রো ড্রাইভার ছুটে আসলে তার ওপরও হামলা চালিয়ে তাকেও আহত করে দুর্বৃত্তরা। ড্রাইভার দুলালের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের পতœীতলা উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইছাহাককে মৃত ঘোষণা করেন। তার স্ত্রীসহ পরিবারের সকল সদস্য রাজশাহীতে অবস্থান করার কারণে তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। বুধবার ভোরে নিহত ইছাহাক হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে বাদ আছর নজিপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম (পাবলিক মাঠ) তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ নজিপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ ওরফে লিটু ফকির এবং তার সহোদর ভাই বেলাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। বাড়ির কেয়ারটেকার আনিমুলকেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পতœীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, জমিজমা সম্পর্কিত ঘটনায় পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিলেটে আহত ছাত্রের মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, বিয়ানীবাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হোসাইন আহমদের মৃত্যু ঘটেছে। সিলেটের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বুধবার সকাল ৯টার দিকে সে মারা যায়। নিহত কলেজ শিক্ষার্থী হোসাইন আহমদ (১৮) পৌর এলাকার মধ্য নিদনপুর গ্রামের ছমির উদ্দিনের পুত্র। মঙ্গলবার রাতে নিহত হোসাইনের মা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। তবে মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে। জানা যায়, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার নিদনপুর সরকারী বিদ্যালয়ের সামনে একটি ছোট বাচ্চাকে একই এলাকার মুহিব আলীর ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে সুমন মারধর করছিল। এতে বাধা দেয় কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে ফেরা হোসেন আহমদ। তখন দুইজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর সেখান থেকে দুই’জন দুই দিকে চলে গেলেও নিদনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আসা মাত্র হোসাইনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে সুমন। আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে হোসাইন। এ সময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় হোসাইনকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুই’দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বুধবার মৃত্যুবরণ করে হোসাইন।
×