ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আপীল শুনানি শুরু আজ

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা সরব

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা সরব

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার আসনগুলোতে প্রার্থীদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে এবারের নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ৫৬ লাখ ৪১ হাজার ২১৯। ভোটসংখ্যা বেড়েছে ৭ লাখ ১৬ হাজার ৮৮৬। নতুন ভোটারদের মধ্যে তরুণদের আধিক্য রয়েছে। প্রতিটি আসনে একই অবস্থা। নির্বাচনী হাওয়া বইছে বহু আগে থেকেই। এরমধ্যে দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ, মনোনয়নপত্র জমাদানের পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে যাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে তাদের আপীলের আবেদন জমাদান শেষ হয়েছে বুধবার। আজ থেকে তিনদিন আপীল শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এরপরই প্রার্থিতার চিত্র বেরিয়ে আসবে। আবার এরপর নিজ উদ্যোগে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়ও রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারাভিযানের দামামা বেজে উঠতে খুব সময় নেই। এখন চলছে প্রার্থীদের- গ্রাউন্ডওয়ার্ক। যারা প্রার্থিতার জন্য নিশ্চিত তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে নেমে তাদের তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মূলত ১৪ দলীয় ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। দল হিসাবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশন, এলডিপি, সিপিবি, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামিক ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট, ন্যাপ, এনপিপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদও, বাসদ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও আধিক্য রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়ের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছেন তা দেখতে আরও কয়েকদিন লাগবে। এ অবস্থায় প্রার্থিতার সংখ্যা যাই হোক না কেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলত দুুটি মার্কা অর্থাৎ নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এবারের নির্বাচনে বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী যেমন রয়েছেন, তেমনি বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এ ১৬ আসনে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন ১৮০। বাতিল হয়েছে ৫৭। অবশিষ্ট রয়েছে ১২৩। আজ থেকে আগামী তিনদিন নির্বাচন কমিশনে আপীলের শুনানি শেষে বাতিল হয়ে যাওয়া কয়েক প্রার্থীর আবেদন গৃহীত হতে পারে এমন আলোচনাও চলছে। আর না হলে বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত যে গড়াত তাতে কোন সন্দেহ নেই। কেন্দ্রের মতো স্থানীয় রাজনীতিতেও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকরা দাবি করছে নির্বাচনী জোয়ারে এবার নৌকা ভেসে যাবে। পক্ষান্তরে, নৌকা মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকরা বলছে উন্নয়নের জোয়ারের মতো ভোটের জোয়ারেও ধানের শীষ ডুবে যাবে। এ ধরনের হরেক রকম আলোচনা নিয়ে বাড়ি ঘর মহল্লা, পাড়া, চা দোকান, অফিস আদালত সর্বত্র নির্বাচনী উত্তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে চূড়ান্তভাবে প্রার্থী ইসির পক্ষ থেকে ঘোষণার পর তা যে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটবে তার অপেক্ষায় আগ্রহী সকল মহলে ক্ষণ গণনা চলছে।
×