ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

পশ্চিমা জ্যাজের সুরে মুগ্ধ প্রাচ্যের শ্রোতা

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮

পশ্চিমা জ্যাজের সুরে মুগ্ধ প্রাচ্যের শ্রোতা

মনোয়ার হোসেন ॥ আফ্রো-আমেরিকান ঘরানার সুরে মোহনীয় হয়ে উঠলো হালকা শীতল হেমন্ত সন্ধ্যা। সীমানা পেরুনো পশ্চিমা জ্যাজের সুরে মুগ্ধ হয়েছে হয়েছে প্রাচ্যের শ্রোতা। তবে এমন মধুর সঙ্গীতসন্ধ্যা উপভোগের সুযোগটা সবার হয়নি। শুধুমাত্র আমন্ত্রিত গানপ্রেমীরা পেয়েছেন সেই সুযোগ। সেই সৌভাগ্যবানরা শুনেছেন মার্কিন শাস্ত্রীয় হিসেবে পরিচিত জ্যাজ মিউজিক। হৃদয় আলোড়িত করা অনবদ্য সেসব পরিবেশনা উপস্থাপন করে নিলস ক্লাইনের নেতৃত্বাধীন জার্মান ব্যান্ডদল টিউবস এ্যান্ড ওয়্যারস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে বসেছিল এই সঙ্গীতাসর। ঢাকাস্থ গ্যেটে ইনস্টিটিউট আয়োজিত কনসার্টে সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী। অনুষ্ঠানের শুরুতে ব্যান্ডদল টিউবস এ্যান্ড ওয়্যারস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন গ্যেটে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডক্টর কিরস্টেন হাঁকেনব্রোক। সংক্ষিপ্ত কথন শেষে শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। এরপর শুধুই মুগ্ধতার পালা। জ্যাজ মিউজিকের মোহময়তায় কেটেছে শ্রোতার আনন্দময় সময়। সানাইয়ের সঙ্গে বেজেছে স্যাক্সোফোন এবং ড্রামস ও গিটারের সমন্বিত মধুময় সুর। সুরনির্ভর সেই গানের সুর শ্রোতার অন্তরে ছড়িয়েছে ভালোলাগার অনুভব। উচ্চকিত শব্দের বদলে কোমল শব্দধ্বনিতে নিমগ্ন হয়েছে সুররসিকের শ্রবণ ইন্দ্রিয়। দলটি একে একে উপস্থাপন করে বেশ কিছু বাণীহীন জ্যামিং আশ্রয়ী ১২টি গান। ‘ব্যাকওয়ার্ড হ্যাপিনেস’ শিরোনামের সঙ্গীত দিয়ে শুরু হয় পরিবেশনা। এরপর একে পরিবেশি হয় হয় ‘লাঞ্চ প্যাড ডিস্কো’, ‘ওয়র্ন আউট লাভ সং মেশিন’, ‘সুইপ’, ‘গ্রিড’, ‘পারপেচুয়াল ওয়েভস’, ‘লাইফ ইন টাইমস অব দ্য বিগ ক্রাঞ্চ’, ‘লায়ার’, ‘ক্যামারুডো’ ও ‘গ্লিম’ শিরোসের সুরসঙ্গীত। ‘এনকোর’ শীর্ষক সঙ্গীতের মাধ্যমে শেষ হয় হৃদয়ছোঁয়া জ্যাজ মিউজিকের এই কনসার্ট। চারজনের ব্যান্ডদলটিতে কণ্ঠসঙ্গীতের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সানাই বাজিছেন নিলস ক্লাইন। পিয়ানো এবং সিন্থেসাইজার্সে সুর ছড়িয়েছেন লার্স ডুপ্লার। গিটারে ঝংকার তুলেছেন হ্যানো বুছ। হৃদকম্পন আলোড়িত করা ড্রামস বাজিয়েছেন রফেল গেসলে। নিলস কা¬ইনের নেতৃত্বাধীন টিউবস এ্যান্ড ওয়ার্স নামের কোয়ার্টেট দলটি জ্যাজ সঙ্গীতের জন্য শুধু জার্মানি নয় ইউরোপের শ্রোতাদের কাছে সমাদৃত। ব্যান্ডদলটির সঙ্গীতায়োজন প্রসঙ্গে নিলস ক্লাইনের ভাষ্য হচ্ছে, পরিবেশনার ক্ষেত্রে আমি নিজের একক গায়কীর অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসি। সেটার বদলে বেশি করে ছড়িয়ে দেই সানাইয়ের সুর। আর সেটার ওপর আমার ব্যান্ডসঙ্গীরা সৃষ্টি করে নমনীয় শব্দতরঙ্গ।
×