ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে ফেসবুকের মাধ্যমে অপপ্রচার এবং ব্রাজিলের অভিজ্ঞতা

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচনে ফেসবুকের মাধ্যমে অপপ্রচার এবং ব্রাজিলের অভিজ্ঞতা

বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে বাংলাদেশ তার অন্যতম। বলা যায়, সমগ্র বাংলাদেশ ফেসবুক আসক্তিতে আক্রান্ত। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক ভয়ঙ্কর প্রভাবও রয়েছে। প্রভাবটা এতটাই মারাত্মক যে, কোন সঙ্গত কারণে ফেসবুক বন্ধ করতে হলে হয়ত সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম। এখানে যে কেউ তার মতামত ব্যক্ত করতে পারেন। কোন বিষয়ে জনমত গঠনের ক্ষেত্রে এই মাধ্যম ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম। সবচেয়ে বড় কথা যে, জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে যাতে কোন পক্ষই কোন কিছু করতে না পারে সেক্ষেত্রে এই মাধ্যম শক্ত ঢাল হিসেবে কাজ করে থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, কোন রকম নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না করেই ফেসবুক, হোয়াটস আপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো পরিচালনা করায় এর অপব্যবহার হয়েছে যথেচ্ছ। বাংলাদেশ মনে হয় বিশ্বের মধ্যে একমাত্র দেশ যারা ফেসবুক অপব্যবহারের শিকার হয়েছে মারাত্মকভাবে। এখানে ফেসবুকে ভুয়া পোস্টিং দিয়ে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে একাধিকবার। কথায় কথায় ভুয়া পোস্টিং দিয়ে সেখানে যা খুশি তা লিখে মানুষের চরিত্র হনন করা হয়েছে নির্বিচারে। এখানে কোটাবিরোধী আন্দোলন বা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সময়ও ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে সরকার উৎখাতের মতো ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রও করা হয়েছে। তাই স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপব্যবহার করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে যে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। অবশ্য ফেসবুক ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার মতো ঘটনা বিশ্বে অনেক ঘটেছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনেও ফেসবুকের অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ন্যক্কারজনক অপব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলের জাতীয় নির্বাচনের সময়। ব্রাজিলের এক নাগরিক এক মহিলাকে নিগৃহীত করে হত্যা করার ভিডিও চিত্র হোয়াটস আপে পোস্ট করে মন্তব্য করেন যে, বামপন্থী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফারনান্দো ক্ষমতায় গেলে এই ধরনের নারী নির্যাতনসহ সন্ত্রাসের ঘটনা চরমভাবে বেড়ে যাবে। এরকম ভয়ঙ্কর একটি পোস্টিং দেখে সেই ফেসবুক পোস্টিংদাতার মেয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ হন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেন এবং জানতে পারেন যে, সেই ভিডিওটি ছিল নিছক একটি ডাকাতির ঘটনা, যার সঙ্গে কোন রাজনৈতিক সংযোগ নেই। তিনি এটিও বুঝতে সক্ষম হন যে, সেই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিল ব্রাজিলের বাইরে থেকে অর্থাৎ ভেনিজুয়েলা থেকে। এই ভুয়া পোস্টিংটি ব্রাজিলের জনগণের মাঝে ভাইরাল হতে না হতেই সমগ্র ব্রাজিলিয়ান পক্ষে-বিপক্ষের দুটো শিবিরে বিভক্ত হয়ে যায়। একদল এ রকম ভিডিও পোস্টিং সমর্থন করে মন্তব্য দিয়েছে তো আরেক দল দিয়েছে বিপক্ষে। এমনকি সেখানকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম পক্ষে-বিপক্ষের পাল্টাপাল্টি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ পরিবারের সদস্যদের মাঝেও বিভক্তি দেখা দেয়। বাংলাদেশের মতো ব্রাজিলও প্রথম সারির এমন একটি দেশ, যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের রয়েছে মারাত্মক প্রভাব। এখানেও ফেসবুক, হোয়াটস আপসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া পোস্টিং বা ফেক নিউজের দৌরাত্ম্য মাত্রাতিরিক্ত। এখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দাপটে গতানুগতিক মূলধারার সংবাদ মাধ্যম হারিয়ে যেতে বসেছে। ব্রাজিলের একুশ কোটি জনসংখ্যার দশ কোটিরও অধিক মানুষ ফেসবুক এবং হোয়াটস আপ ব্যবহার করে থাকে। গত অক্টোবর মাসে ব্রাজিলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে এবং ভয়ানক সব মিথ্যে ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করে নির্বাচনকে যথেষ্ট প্রভাবিত করার অপচেষ্টা হয়েছে। সর্বাত্মক চেষ্টা করেও ব্রাজিলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এমন বেসামাল দৌরাত্ম্য থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক নেতা দুর্নীতির অভিযোগে কারাবন্দী থাকায় তার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে ফারনান্দো হাডাডা রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেই নির্বাচনে হাডাডের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো এবং বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালানোর জন্য ব্রাজিলের একদল উদ্যোক্তা প্রচুর অর্থের বিনিময়ে বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে ভাড়া করেছিল। তাদের একমাত্র কাজ ছিল ক্রমাগত ফেসবুকে এবং হোয়াটস আপে হাডাডের বিরুদ্ধে ফেক নিউজ পোস্ট করা এবং বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও কুৎসা রটানো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটানো বা অপপ্রচার চালানোর ক্ষেত্রে ফেসবুক এবং হোয়াটস আপ খুবই সহজ এবং শক্তিশালী এক হাতিয়ার। কেননা যে কেউ যে কোন সময় এখানে যোগ দিতে পারে এবং কোনরকম যাচাই-বাছাই বা নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই যা খুশি তা লিখতে পারে। ফেসবুকে আছে টাইম লাইনের মতো এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য, যার মাধ্যমে কোন একটি বিষয় পোস্ট করা মাত্র তা মুহূর্তের মধ্যে সেই ফেসবুক ব্যবহারকারীর সকল বন্ধু মহল (কন্টাক্ট লিস্ট) এবং সমগ্র সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীর মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে হোয়াটস আপ একই ধরনের কাজ যথেষ্ট গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন করতে আরও এক ধাপ এগিয়ে। হোয়াটস আপের মাধ্যমে কোন পোস্টিং, মন্তব্য বা কথোপকথন সাধারণত পূর্ব নির্ধারিত হোয়াটস আপ ব্যবহারকারীদের মধ্যেই আদান-প্রদান হয়ে থাকে। সেই গ্রুপের বাইরে কারও দেখার বা জানার কোন সুযোগ থাকে না। হোয়াটস আপের মাধ্যমে প্রেরিত তথ্য বা মন্তব্যগুলো এনক্রিপটের মাধ্যমে এক ধরনের গোপনীয়তা রক্ষার বিশেষ নিশ্চয়তা দেয়া হয়। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ফেসবুকের কর্মকাণ্ড তদারকি করতে পারলেও হোয়াটস আপের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানতে পারে না। এ কারণেই কথিত আছে যে, বিশেষ কোন ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করার জন্য হোয়াটস আপ খুবই নির্ভরযোগ্য এক মাধ্যম। উল্লেখ্য, ফেসবুক এবং হোয়াটস আপ একই মালিকানাধীন দুটো ভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রদান বা ফেক নিউজ প্রচার করা বা অন্য কোন ধরনের অপপ্রচার চালানো হবে না মর্মে এক ধরনের অঙ্গীকার করার জন্য ব্রাজিলের আদালত সেখানকার প্রতিটা রাজনৈতিক দলকে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। কেননা যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালায় তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের আসল পরিচয় গোপন রাখে। তাছাড়া তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করাও অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এমন বাড়াবাড়ি দেখে ব্রাজিলের এক অধ্যাপক আক্ষেপ করে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এমন অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এটা এক মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে। অথচ এই অধ্যাপকই এক সময় ব্রাজিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন এবং সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্রুত প্রসার দেখে উচ্চৈঃস্বরে প্রশংসা করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক অধ্যাপক দুঃখ করে বলেছেন, ফেক নিউজ বা ভুয়া সংবাদ মূলত উৎপত্তি হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং তা সংক্রামক ব্যাধির মতো দ্রুত ছড়িয়েও পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসব ফেক নিউজ গণমানুষকে বিভ্রান্ত ক।ে ফলে তারা তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করতে পারে না, যা মূলত গণতন্ত্র এবং সভ্যতার জন্য বড় ধরনের হুমকিস্বরূপ। নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এমন বেপরোয়া দৌরাত্ম্য থেকে রক্ষা পেতে ব্রাজিলে ফেসবুক এবং গুগল কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কমপ্রোভা নামে এক প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। এই প্রকল্পের অন্যতম কাজ ছিল ফেসবুক এবং হোয়াটস আপে পোস্ট করা ফেক নিউজ চিহ্নিত করা। একটি পাইলট প্রকল্পের মতো খুবই স্বল্প পরিসরে পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও এই প্রকল্প থেকে মাত্র দুই মাসের মধ্যে ষাট হাজারেরও অধিক ফেক নিউজ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছিল। এর বাইরে যে কত লাখ লাখ ভুয়া তথ্য বা ফেক নিউজ সেখানকার সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তার কোন ইয়ত্তা নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এমন ভয়াবহতম অপব্যবহার থেকে জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ শেষ মুহূর্তে বেশকিছু উদ্যোগ নিলেও খুব একটা সফল হতে পারেনি। তাই আগামী ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপপ্রচার থেকে প্রভাবমুক্ত রাখা যায় সেই উদ্দেশ্যে তারা এখন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। ব্রাজিলের মতো আমাদের দেশেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভয়াবহ প্রভাব রয়েছে। আমাদের দেশে এই মাধ্যমের অপব্যবহার করে হেন কোন অপকর্ম নেই যা সংঘটিত করা হয়নি। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম নির্যাতন, সরকারবিরোধী আন্দোলন, কোটাবিরোধী বা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সরকার পতনের চক্রান্ত, অনেক গুণী মানুষের চরিত্র হননসহ সকল প্রকার অপকর্মই সংঘটিত হয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপব্যবহার করে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়েও এই মাধ্যমের যথেচ্ছ অপব্যবহারের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এরকম অপচেষ্টা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার হয়েছে; কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সজাগ দৃষ্টির কারণে তা সফলভাবে প্রতিহত করা গেছে। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের ভেতর এবং বাইর থেকে একযোগে যখন ব্যাপকহারে ফেসবুক, হোয়াটস আপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো বা কুৎসা রটানো শুরু হবে তখন তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে সময় লাগবে না। এ ধরনের ব্যাপক অপপ্রচার বা ফেক নিউজ পোস্টিং নিয়ন্ত্রণে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদিচ্ছা ও সক্ষমতা আছে ঠিকই; কিন্তু তাদের জনবল স্বল্পতা এবং সীমিত সুযোগ-সুবিধার কারণে তারা সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম নাও হতে পারেন। যেমনটা হয়েছে সাম্প্রতিক ব্রাজিলের জাতীয় নির্বাচনের সময়। আমাদের নির্বাচন কমিশন ফেসবুক পোস্টিং সার্বক্ষণিক তদারকি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। তবে শুধু ফেক নিউজ তদারকি করার মাধ্যমে তেমন কোন ফল পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে খুব দ্রুত ফেসবুক এবং গুগল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করা এবং তাদের সক্রিয় সহযোগিতা নিয়ে নির্বাচন উপলক্ষে ফেক নিউজ পোস্টিং বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সেইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপব্যবহার করে জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে বা সমাজে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে এমন অপপ্রচার যাতে কোন স্বার্থান্বেষী মহল চালাতে না পারে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে সবার আগে। যে কাজটি ব্রাজিল তাদের জাতীয় নির্বাচনের আগে করেছিল; কিন্তু বেশ দেরিতে। সে কারণে তারা এক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত ফল পায়নি। এটি করতে না পারলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লাগামহীন অপব্যবহার এবং এর মাধ্যমে পরিচালিত অপপ্রচার নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন ম্লান করে দিতে পারে। লেখক : ব্যাংকার, টরনটো, কানাডা [email protected]
×