ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বেনজির আবরার

স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের সম্মাননা দিল বন্ধুনীড় ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত: ০৭:৫৫, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮

স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের সম্মাননা দিল বন্ধুনীড় ফাউন্ডেশন

গত চার বছর ধরে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী কাজের বড় প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে বন্ধুনীড় ফাউন্ডেশন। মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ আর আগামীর স্বপ্নের সোনার বাংলা সংগঠনটির কাজের মূলশক্তি। গত ২৭ নবেম্বর বন্ধুনীড় ফাউন্ডেশন আয়োজন করেছিল ‘বন্ধুনীড় সম্মাননা ২০১৮।’ সারাদেশ থেকে আবেদন করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মধ্য থেকে ছয়টিকে প্রথমবারের মতো এই সম্মাননা তুলে দেয় তারা। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মাননা তুলে দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান। তার উপস্থিতি দেশের জন্য স্বেচ্ছায় কাজ করা সংগঠনগুলোকে দিয়েছিল অন্যরকম সাহস। আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর সংগঠন ‘নবজাগরণ ফাউন্ডেশন’, মেয়েদের প্যাড সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ‘ডোনেট ফর প্যাড বাংলাদেশ’ এর মারজিয়া প্রভা, কক্সবাজারের প্রতিষ্ঠান ‘ইউনিটি’, ময়ুরপঙ্খী শিশু কিশোর সামাজিক সংস্থা, চলো বানাই, ব্যক্তিপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জের মোঃ শরীফ হোসেনকে শীতলক্ষা সাংস্কৃতিক একাডেমির সভাপতি। বন্ধুনীড় সভাপতি মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজনটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হলের প্রভোস্ট, ইউআইটিএসের এ্যাডভাইজর অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খান, ডলফিন ডিজিটালের ডিরেক্টর মনোয়ারুল ইসলাম রেবেল, আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমানসহ অন্যান্যরা। প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘সারাদেশে এত তরুণ একযোগে কাজ করছে সামনে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না, বাংলাদেশ পথ হারাতে পারে না। কাজ করে যাও, তোমরা সফল হবে বিশ্বাস করি।’ তার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবী কাজ করা ভাগ্যের ব্যাপার। বন্ধুনীড়ের উচিত সারাদেশের সকল স্বেচ্ছাসেবকদের একত্রিত করে আরও গঠনমূলক কাজ করা।’ ফাউন্ডেশন সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্বেচ্ছাসেবী কাজে অনেক বাধা পাই, এসব বাধা উত্তরণে কাজ করতে হবে সবাইকে একসঙ্গে। দেশের প্রতিটি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দরকার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।’
×