ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবি শিক্ষক খালেদের মুক্তি দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ঢাবি শিক্ষক খালেদের মুক্তি দাবিতে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌতুকের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ সময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিয়াউর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সুতপা ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, খালেদ মাহমুদ শিক্ষক হিসেবে খুবই মেধাবী এবং বিনয়ী। সে তার শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে মনে হয় এখানে কোন ষড়যন্ত্র আছে। আমরা চাই না একজন শিক্ষক শুধু নয়, এ দেশের কোন নাগরিক প্রভাবশালী কোন ব্যক্তি কর্তৃক অনাচার-অবিচারের শিকার হোক। খালেদ যদি কোন অপরাধ করে থাকেন, তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটনের দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সব সময় অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। গত ২২ নবেম্বর খালেদ মাহমুদকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ১২ নবেম্বর তার স্ত্রীর সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্সের কিছুদিন পরে কেন তার নামে যৌতুক এবং ধর্ষণের অভিযোগ আনা হলো। যদি সে এ ধরনের অপরাধ করে থাকে, তা তথ্য-প্রযুক্তির যুগে প্রমাণ করা খুবই সহজ। এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা। ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঢাবির মতো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে কীভাবে এ ধরনের একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে গ্রেফতার করা হয়? স্যারের বিরুদ্ধে এটা যে একটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা, তা খুবই স্পষ্ট। কারণ যৌতুক চাওয়ার অভিযোগ এখন ডিভোর্স হওয়ার পর কেন তোলা হচ্ছে? আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। উল্লেখ্য, গত ২২ নবেম্ববর ভাটারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের মামলায় দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক নারীর স্বামী। মামলার পরে রাতেই ভাটারা থানার পুলিশ বসুন্ধরা এলাকা থেকে খালেদ মাহমুদকে গ্রেফতার করে। বেআইনীভাবে বোতলজাত পানি সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাজারে বেআইনীভাবে বোতলজাত পানি সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ রেখেছে আদালত। জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ প্রদান করেছেন। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আদালতের আদেশের পর বিএসটিআই কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা এ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
×