ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির ৩শ’ যোগ্য প্রার্থী নেই ॥ জয়

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮

বিএনপির ৩শ’ যোগ্য প্রার্থী নেই ॥ জয়

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপির ৩শ’ যোগ্য প্রার্থী নেই যাদের তারা মনোনয়ন দিতে পারে। তারা শেষ যেবার ক্ষমতায় ছিল সেটি ছিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংস এবং দুর্নীতিপরায়ণ সরকার। অবশ্য তখন তাদের সারা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার হিসেবে কুখ্যাতিও ছিল। রবিবার গভীর রাতে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেন। খবর ওয়েবসাইটের। একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে বলে দাবি করে জয় লিখেছেন, প্রথমে তারা অভিযোগ করল গ্রেফতার নিয়ে। তাদের কর্মীরা ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত কয়েক হাজার আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে। শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, আহত করেছে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশুকে। এসব ঘটনার পেছনে চিহ্নিত বেশিরভাগ লোকই এতদিন লুকিয়ে ছিল অথবা দেশের বাইরে পালিয়েছিল। এখন নির্বাচনের আগে তারা গর্ত থেকে বেরিয়ে আসছে, এমনকি নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে। এদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কী করা উচিত? সামনে নির্বাচন বলে তাদের আইনের আওতায় আনা যাবে না? এদের জায়গা তো জেলখানা নয়, এদের জায়গা ফাঁসিকাষ্ঠে। তিনি বলেন, বিএনপি তাদের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল নিয়ে অভিযোগ করছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভাইস চেয়ারপার্সন দু’জনই আদালতে সাজাপ্রাপ্ত। তারেক, একজন পলাতক আসামি এবং হত্যা ও সন্ত্রাসের দায়ে অভিযুক্ত, লন্ডনে বসে তার দলের প্রার্থীদের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন। একজন পলাতক খুনীর হাতে নির্বাচিত প্রার্থী আর কেমনইবা হতে পারে? তাদের বেশিরভাগ প্রার্থীই হয় অপরাধী না হয় দুর্নীতিগ্রস্ত, ঋণখেলাপী, দুর্নীতি এমনকি তাদের নামে হত্যা মামলাও আছে। যেমন আবুল কালাম মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম, যিনি পিরোজপুর থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন, ব্রিটিশ আদালতের চিহ্নিত ফেরার আসামি। নির্বাচন কমিশনের কি আসলেই উচিত ছিল এসব চিহ্নিত ফেরার, ঋণখেলাপীকে নির্বাচন করতে দেয়া? বিএনপি মোট আসনের দ্বিগুণ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে, প্রতিটি আসনে কমপক্ষে দুজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। কারণ তারা জানে তাদের বেশিরভাগ প্রার্থীই হয় কোন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি না হয় ঋণখেলাপী এবং এরা নির্বাচনের অযোগ্য। এখন তারা নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করতে এটাকে ব্যবহার করছে। সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলেন, যেসব প্রার্থীর দুর্নাম আছে, আইনী অভিযোগ আছে মাত্র, এমন প্রার্থীকে বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু জনমতের কারণে, বর্তমান যেসব সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ আছে, আদালতে তা খারিজ হয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়নি। মানুষের জন্য কাজ করে যে দল তাদের পক্ষেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব।
×