ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনের টুকিটাকি ॥ অনেক স্বামীর চেয়ে স্ত্রী সম্পদশালী

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচনের টুকিটাকি ॥ অনেক স্বামীর চেয়ে স্ত্রী সম্পদশালী

রশিদ মামুন ॥ নেতার তুলনায় তাদের স্ত্রীদের আর্থিক অবস্থা ভাল। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফ নামায় বেশ কয়েকজন প্রার্থী ও তার স্ত্রীদের সম্পদ বিবরণী এই কথাই বলছে। এদের মধ্যে কারো কারো দেনার দায় বাড়লেও স্ত্রীর ব্যাংক হিসেবে অর্থ জমার পরিমাণ বেড়েছে। নিজেদের তুলনায় স্ত্রীর সম্পদ বৃদ্ধির তালিকায় প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের নাম উঠে এসেছে। আরেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ পাঁচ বছর বিদ্যুত জ¦ালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় চালিয়ে নিজের দেনার অঙ্ক বাড়ালেও স্ত্রীর ব্যাংক হিসেবে জমার পরিমাণ বেড়েছে। মনোনয়ন পেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা হাজী সেলিমের স্ত্রীর হাতের অবস্থাও বেশ ভাল। আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থী সাদেক খানের স্ত্রী তার তুলনায় ১৪ গুণ বেশি টাকা জমা রেখেছেন ব্যাংক হিসেবে। পলক ॥ সরকারের জনপ্রিয় এই মন্ত্রীর স্ত্রীর বর্তমান আয় কৃষিখাত থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার, ভাড়া থেকে ৪৫ হাজার, ব্যবসা থেকে ৯ হাজার ৮৪০, চাকরি থেকে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ ও অন্যান্য খাত থেকে ৮ লাখ ৬ হাজার ৯২৩ টাকা। যা ২০১৩ সালে ছিল কৃষিখাত থেকে ৩৫ হাজার, ব্যবসা থেকে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০, শেয়ার থেকে ৬২ হাজার ৫০০ ও চাকরি থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া পলকের স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬০ টাকা নগদ, ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩২ টাকা জমা, ৬৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৬ টাকা স্থায়ী আমানত, ৪৫ লাখ টাকার একটি নিশান গাড়ি, ৬৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। এত টাকা পয়সা থাকলে কারও অবস্থা খারাপ বলা চলে না। হাজী সেলিম ॥ পাঁচ বছরের ব্যবধানে ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ সদস্য হাজী সেলিমের স্ত্রীর হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ২০৪ গুণ। এখন তার হাতে নগদ ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৫৭০ টাকা রয়েছে। ২০১৩ সালে তার কাছে নগদ টাকা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা। তবে হাজী সেলিমের হাতে নগদ টাকা কমেছে। এর বিপরীতে হাজী সেলিমের হাতে নগদ রয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫৮ টাকা। ২০১৩ সালে এই আসনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় তার হাতে নগদ ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার ৩১৬ টাকা। সাদেক খান ॥ প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের টিকিটে ঢাকা-১৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০৯ টাকা জমা আছে। আর তার স্ত্রীর এ্যাকাউন্টে জমা ৪৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৮ টাকা। সাদেক খানের তুলনায় স্ত্রীর নগদ জমার পরিমাণ ১৪ গুণ বেশি দেখা যাচ্ছে। নসরুল হামিদ বিপু ॥ পাঁচ বছর বিদ্যুত জ¦ালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে নসরুল হামিদ বিপু ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮৮ টাকার দেনার দায়ে ডুবছে। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার মোট দেনা ছিল ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৮ টাকা। এর আগে ২০১৪ সালে সঞ্চয়পত্র ও এফডিআর মিলে ছিল প্রায় ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এখন তা আর নেই। অন্যদিকে তার স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্র ও এফডিআর মিলে ২০১৪ সালে ছিল ৩১ লাখ টাকা। এবার যা কিছুটা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫১ লাখ টাকা।
×