ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

আজ ৪ ডিসেম্বর, দেবিদ্বার হানাদার মুক্ত দিবস। একাত্তরের এই দিনটি নিয়ে কিছু বলার আগে দুয়েকটি কথা। গত শুক্রবার দেবিদ্বারে গিয়েছিলাম কুমিল্লার নাট্যদল আলাপন থিয়েটারের দেবিদ্বার শাখার উদ্বোধনী উৎসবে যোগ দিতে। সেখানে একটি সাহিত্য পাঠাগারের উদ্বোধনও করতে হয়। বক্তব্যে প্রথমেই স্মরণ করেছিলাম দেবিদ্বারের মহান শহীদদের। যাহোক, শনিবার সকালে ঢাকায় ফেরার পথে অনুভব করলাম এক ধরনের সন্তুষ্টি ও স্বস্তি। নিয়ম-শৃঙ্খলভাবেই যানবাহন চলেছে। কাঁচপুর ব্রিজ পারাপারেও বিন্দুমাত্র সমস্যায় বা যানজটে পড়লাম না। আর শনিরআখড়া পেরুনোর পর যাত্রাবাড়ী উড়াল পথ দিয়ে বেশ অল্প সময়েই পৌঁছে গেলাম কমলাপুর। এই উড়াল সড়কটি নির্মাণ ও চালুর আগে এই পথটুকু পেরুতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যেত। এখন সে অবস্থা নেই। যাত্রাপথের এই স্বস্তির কথা আমরা অনেকেই স্বীকার করতে চাই না। ভালকে ভাল বলায় আমাদের ভীষণ আপত্তি। কিন্তু বদনাম করার মতো ছোট্ট তিল পেলে তাকে আমরা মহা উৎসাহের সঙ্গে তালে পরিণত করতে বেশি দেরি করি না। এবার একাত্তরে ফিরে যাই। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের প্রধান সেনাছাউনি কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টনম্যান্ট সন্নিকটে থাকায় এ অঞ্চলের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। অপরদিকে প্রায় একই ব্যবধানে ছিল ভারত সীমান্ত। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ভারত সীমান্ত পারাপারে সহজ ও নিরাপদ এলাকা ছিল দেবিদ্বার। ১৯৭১ সলের রক্তেঝরা দিনগুলোতে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে হানাদারমুক্ত হয়েছিল কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চল। তারই ধারাবাহিকতায় দেবিদ্বার এলাকা হানাদারমুক্ত হয়েছিল ৪ ডিসেম্বর। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানে ওই দিন পাকিস্তানি বর্বর হানাদারদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। মুক্তিবাহিনী কর্তৃক কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ সেতুটি মাইন বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়া হয়। মিত্রবাহিনীর ২৩ মাউন্টেন ডিভিশনের জেনারেল আরডি হিরার নেতৃত্বে বৃহত্তর কুমিল্লায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। মিত্রবাহিনীর একটি ট্যাংক বহর বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা হয়ে দেবিদ্বারে আসে। হানাদাররা ওই রাতেই দেবিদ্বার ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে পালিয়ে যায়। ধীরে ধীরে মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন গ্রুপ দেবিদ্বার সদরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরই মধ্যে মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বহরটি দেবিদ্বার থেকে চান্দিনা রোডে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। পাকিস্তানী বর্বর সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে পালিয়ে ময়নামতি ক্যান্টনম্যান্টে চলে যাওয়ার সংবাদে ৪ ডিসেম্বর ভোর থেকেই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন গ্রুপ এবং হাজার হাজার জনতা স্বাধীন বাংলার পতাকা নিয়ে সদর অভিমুখে আসতে শুরু করে এবং ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে বিজয়ের উল্লাসে জনপদ প্রকম্পিত করে তোলে। বিজয়ের মাসে স্মৃতি ও পতাকা ডিসেম্বরের প্রথম দিন আলাপ হয় পতাকা তৈরিতে নিয়োজিত অল্পবয়সী ক’জন দর্জির (কারিগর) সঙ্গে। বিষয়টি তারা কেবল অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত মনে করে না। পতাকা তৈরির কাজে নিয়োজিত থেকে তারা এক অনাবিল আনন্দ অনুভব করে। গত বছর ডিসেম্বর আসার আগেই বিজয় দিবসের কথা মনে পড়িয়ে দিয়েছিলেন একজন পতাকা বিক্রেতা। এবারের ডিসেম্বরে আবার তাকে স্মরণ করি। এ আমার লাল-সবুজ পতাকারই উদযাপন, বিজয় দিবসের আগে বিজোয়োল্লাস ছুঁয়ে ফেলা। সেই লোকটিÑ খালি পা, মলিন লুঙ্গি-পাঞ্জাবি পরিহিত এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পতাকা বিক্রির মৌসুম দুটিÑ একেবারে বাধাধরা। মার্চ এবং ডিসেম্বর। বিশ্বকাপ ফুটবলের মৌসুমে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা যে হারে বিক্রি হয় সে তুলনায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এই দুটি মাসে কমই বিকিকিনি হতে দেখি। আসলে তুলনাটা করা ঠিক হলো না। একটি হচ্ছে বছর চারেক পরে হুজুগে মাতা, এক অন্ধ উন্মাদনা; অপরটি বুকের গভীরে লালন করা এক চিরকালীন মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো আত্মগৌরব। তাতে দেখানেপনা নেই। যদিও বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বেলায় ভিন্ন হিসাব কাজ করে। সেখানে প্রকাশিত হয় দেশের প্রতি দরদ ও গৌরব। চলতি সপ্তাহে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলকে ইনিংস ব্যবধানে এবং হোয়াইট ওয়াশ করে ইতিহাস গড়ায় বাংলাদেশ দল পাচ্ছে ভালোবাসা। বাংলাদেশ দল হঠাৎ হঠাৎ জয়ের স্বাদ পেলে ঢাকায় আনন্দের ঝড় বয়ে যায় হাজার মাইল বেগে! শুধু কি ঢাকায়? গোটা দেশই তখন এক আনন্দ-পারাবার। তখন ঢাকার রাস্তায় এমন পতাকা বিক্রেতার দেখা মেলে। নিশ্চয়ই এদের আসল পেশা ভিন্ন। বহু বছর আগে বিটিভির বিজয় দিবসের জন্য একটি অনুষ্ঠান করতে গিয়ে এমন ক’জন পতাকা বিক্রেতার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। জেনেছিলাম কেউ ক্ষেতমজুর, কেউ রিক্সাওয়ালা, কেউ বা মনোহর দ্রব্যের ফেরিওয়ালা। পতাকা বিক্রি সাময়িক পেশা বটে। তবু তাদের নিছক পতাকা-বাহক বলে মনে হয় না আমার। মন জানিয়ে দেয় এরা মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার। প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে শামিল এইসব মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধেরই ফসল, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিনিধি। হাতের পতাকা পৌঁছে দিচ্ছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মূল্য ওই পতাকার দিকে তাকিয়ে আমাদের অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে। যেসব পুরনো শকুন ওই পতাকাকে ছিঁড়েখুঁড়ে ধুলায় মেশাতে চায়, তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। বিজয় দিবস আসন্ন। বিজয়ের পেছনে কত অশ্রু আর রক্তনদী বয়ে গেছে, ওই পতাকা আমাদের সে কথা কখনই যেন ভুলতে না দেয়। প্রতিটি বিজয়ের আগে উদার অসীমে বিজয় নিশানের দিকে চোখ রেখে আমরা যেন বলতে পারি, রাজাকারমুক্ত ভবিষ্যতের দিকে আমরা আরও এক কদম এগিয়ে গেলাম। বছরের শেষতম এ মাসটি ফি বছর এসে উপস্থিত হয় আনন্দ-বেদনার এক মিশ্র অনুভূতি নিয়ে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছিল এ মাসটিতে, অর্জিত হয়েছিল চূড়ান্ত বিজয়। ষোলোই ডিসেম্বরে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী বাধ্য হয়েছিল অস্ত্র সমর্পণ করতে। কিন্তু তার অব্যবহিত আগে তাদের দোসর রাজাকার আলবদরদের সহায়তায় তারা ইতিহাসের বর্বরতম মানব-নিধনে মেতেছিল। চৌদ্দই ডিসেম্বরে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার শত্রুরা আমাদের মেধা ও মননশীলতার সংকটে নিমজ্জিত করতে চেয়েছিল। ডিসেম্বর ফিরে এলে তাই আমাদের এক চোখে অশ্রু টলমল করে। অন্য চোখে খেলে যায় খুশির ঝিলিক। নগর-নায়ক স্মরণে একটি সড়ক দেশবাসীর কাছে আনিসুল হক পরিচিতি পেয়েছিলেন রাজধানীর সাহসী, গতিময় ও আন্তরিক শ্রমনিষ্ঠ একজন মেয়র বা নগরপিতা হিসেবে। যদিও স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তাঁর প্রধান পরিচিতি গড়ে উঠেছিল টেলিভিশনের একজন চৌকস উপস্থাপক হিসেবে। তাঁর অনুষ্ঠান উপভোগ্য বিনোদন ছিল দর্শকের কাছে। এভাবেই তিনি অগণিত দর্শকের আপনজন হয়ে উঠেছিলেন। হয়ে উঠেছিলেন নায়কের মতো স্বপ্নের মানুষ, কাক্সিক্ষত প্রিয়জন। অবশ্য একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা হিসেবেও সমাজে সমীহ আদায় করে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর চলে যাওয়া বড় বেদনার মতো বেজেছিল ঢাকাবাসী মানুষের হৃদয়ে। মহানগরীর সমস্যা হলো মহাসমস্যা। পাহাড়সমান এইসব মহাসমস্যা দু-দশ বছরে সম্পূর্ণরূপে সমাধান করা সম্ভবÑ এমন অবৈজ্ঞানিক কথা বলতে চাই না। তবে আন্তরিকতার সঙ্গে পূর্ণকালীন কাজ করে গেলে নিশ্চয়ই উঁচু পাহাড় থেকে সমস্যা নামতে নামতে আমাদের গলাসমান হতে পারে। মেয়র আনিস দুই বছরে আন্তরিকভাবে কাজ করতে চেয়েছেনÑ এটা অস্বীকার করা যাবে না। দু’বছরে নিশ্চয়ই কিছু কিছু সমস্যার মাত্রা কিছু অংশে হলেও কমতে শুরু করেছে, এটা মানতেই হবে। ঢাকাবাসী স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। ঢাকা তার বিশ্ব দুর্নাম ঘুচিয়ে আধুনিক ও বসবাসযোগ্য শহরে পরিণত হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছিল। অকালপ্রয়াণ না হলে তিনি যে ঢাকাকে শোভন-শৃঙ্খলরূপে বদলে দিতে সমর্থ হতেনÑ এই আস্থা তিনি অর্জন করেছিলেন ঢাকার নাগরিকদের কাছে। সাতরাস্তা মোড় থেকে তেজগাঁও রেলক্রসিং পর্যন্ত সড়কটিতে একসময় ছিল অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে সশরীরে উপস্থিত থেকে রাস্তাটি অবৈধ দখলমুক্ত করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র আনিসুল হক। জনগণের পথ জনগণকে ফিরিয়ে দেন অবাধ চলাচলের জন্য। তিনি সড়কটির নানা সংস্কার ও আধুনিকায়নও করেছিলেন তখন। এভাবে ঢাকার প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ তিনি দিয়েছিলেন অনেকবার। ঢাকা তা ভোলেনি। ওই সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে আনিসুল হকেরই নামে। প্রায় ১০০ ফুট চওড়া এই সড়ক ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার এলাকাকে তেজগাঁও মহাখালী এবং বনানী-গুলশান-নিকেতনের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ফার্মগেট ও তেজগাঁও এলাকার অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রধান কার্যালয়সহ বহু সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও সাধারণ মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করেন। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের প্রতি অনন্য এক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করল ঢাকাবাসী ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। সাতরাস্তা মোড় থেকে তেজগাঁও রেলক্রসিং পর্যন্ত সড়কটির নাম এখন থেকে ‘মেয়র আনিসুল হক সড়ক’। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি নিয়ে রবীন্দ্র একাডেমি রবীন্দ্র একাডেমি রবীন্দ্রনাথ স্মরণে ঢাকার জাতীয় যাদুঘরে দুদিনব্যাপী যে উৎসবের আয়োজন করে তার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে জনকণ্ঠে। তাই আমি শুধু দুটি বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে বলবো। সেটি হলো গুরুত্বপূর্ণ একাধিক সেমিনার এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের অবিচল কর্তব্যনিষ্ঠা। বলাবাহুল্য এ ধরনের আয়োজনে রবীন্দ্রকাব্য থেকে পাঠ এবং রবীন্দ্রসংগীতের প্রাধান্য থাকে। শ্রোতা-দর্শকদের চাহিদার প্রতি সম্মান জানালে এই প্রথাগত পর্ব এড়ানোর উপায় নেই। ফলে এই উৎসবেও সেটি ছিল। কলকাতার দুজন সংগীতশিল্পীও উৎসবে সংগীত পরিবেশন করেন। ছিল গুণীজন সম্মাননা। তবে এই উৎসবের বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো পাঁচ-পাঁচটি সেমিনার। এর ভেতর ছিল রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনা, তাঁর নাটক, ইংরেজি অনুবাদে কবিগুরুর রচনাসম্ভার এবং বিশ্বশান্তি ও রবীন্দ্রনাথ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন; সেইসঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রাজ্ঞজনদের সুচিন্তিত অভিমত। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষকদের অংশগ্রহণমূলক এসব সেমিনার রবীন্দ্রপ্রেমীদের জন্য ছিল বড় প্রাপ্তি। আমরা জানি, যে কোনো সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে যে কোনো আয়োজনের জন্য সবচেয়ে বেশি সময় ও শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়। রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা বুলবুল মহলানবীশ সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন উৎসবের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিরলস সক্রিয় ভূমিকা রেখে। ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ [email protected]
×