ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুনতাহা ইসলাম

কর্মজীবী নারীদের সুস্থতা

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮

 কর্মজীবী নারীদের সুস্থতা

কথায় আছে শরীর সুস্থ থাকলে মন ভাল থাকে, আর ভাল মন মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায় সাফল্যের দিকে। তাই নিজ উন্নয়নের জন্য নারীদের অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। নারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী বোল্ডস্কাই। আসুন জেনে নিই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে- সকালের নাস্তা না করে থাকবেন না নারীদের ফিট থাকতে অবশ্যই প্রতিদিন সকালের নাস্তা করতে হবে। এটা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। সকালের পরিপূর্ণ নাস্তা আমাদের মেটাবলিজম ঠিক রাখে। এছাড়া দৈনন্দিন লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এটি শক্তির যোগান দেয়। এজন্য নারীরা সকালে পালং শাকের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে পুষ্টিকর নাস্তা তৈরি করে নিতে পারেন। প্রোটিনযুক্ত স্ন্যাকস সকালের নাস্তা, মধ্যাহ্নভোজ এবং রাতের বেলায় নারীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। খাবারের বেলায় তাদের সীমাবদ্ধতা থাকা একদমই উচিত না। যখনই ক্ষুদা পাবে তখনই কিছু না কিছু খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে প্রোটিনযুক্ত স্ন্যাকস বেশি করে খেতে হবে। কারণ এতে থাকা স্থাস্থ্যকর চর্বি তাদের চলার পথ ঠিক রাখবে। সক্রিয় থাকতে সৃজনশীল কাজ খুঁজে বের করা সুস্থ থাকতে নারীদের সকালে কিংবা সন্ধ্যায় লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা এবং দ্রুতগতিতে হাঁটার অভ্যাস করা উচিত। এ ছাড়াও যখন তারা সুপার শপগুলোতে কেনাকাটা করবেন তখন ব্যাগগুলো নিজেদের বহন করা উচিত। এটি মাংশপেশির টোনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। ঘুমানো অত্যন্ত জরুরী সুস্থ থাকতে নারীদের শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলেই চলবে না। একই সঙ্গে সময় মতো ঘুমানোও জরুরী। যদি তারা ঠিকমতো না ঘুমান তবে তা নিজের অস্বস্তির সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি অন্যদের জন্য এটা অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে। ক্যাফেইনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা নিজেকে ফিট রাখতে দিনে প্রচুর পানি পান করুন। অনেক নারী আছেন যারা দিনে কয়েক কাপ কফি অথবা চা পান করেন। এতে ডিহাইড্রেশনের মতো খারাপ প্রভাব ফেলে শরীরে। এজন্য প্রতিদিন তাদের প্রচুর পানি অথবা ফ্রেশ জুস পান করা উচিত। মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস করুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারীরা মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন, তাদের খাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ কম থাকে। মিষ্টি খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মুডকে সচল করে তোলে। কিন্তু অবশ্যই এটা পরিমিত খাওয়া উচিত। না হলে আপনার ওজন বাড়িয়ে দেবে। উচ্চৈঃস্বরে হাসুন হাসি পারে মানসিক চাপ কমিয়ে দিতে। এটি নারীদের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং ওজনও কমাতে পারে। বেশি মানসিক চাপে থাকলে শরীরের অতিরিক্ত গ্লুকোজ নিঃসরণ হয়। আর এই অতিরিক্ত গ্লুকোজ ইনসুলিনে পরিণত হয়। এটার ফলে পরবর্তীতে চর্বি জমে। অন্য কাজ করার চেষ্টা করা নারীদের শুধু জিমে গেলেই চলবে না। তাদের অন্য কাজ করার অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, সাঁতার কাটা, দ্রুত হাঁটা, বাগান গড়া, খেলাধুলা করা এবং যোগ ব্যায়াম করা উচিত।
×