ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘হিরো’ আলম মনোনয়ন পেলেন না

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮

 ‘হিরো’ আলম  মনোনয়ন পেলেন না

সমুদ্র হক ॥ তিনি জিরো থেকে হিরো হয়ে আপাতত ফের জিরো হয়ে গেলেন। পুনরায় হিরো হবেন কিনা তা কয়েকদিনের মধ্যে জানা যাবে। তিনি মিউজিক ভিডিও তারকা বগুড়ার ‘হিরো আলম’। প্রকৃত নাম আশরাফুল আলম। বগুড়া সদরের এরুলিয়া পলিবাড়ি গ্রামের তরুণ এই ব্যক্তি কেবল অপারেটর হিসেবে ব্যবসা শুরু করে ক’বছরেই অনেক অর্থের মালিক হন। শিল্পী হওয়ার আশায় তিনি বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেন। নিজে অভিনয় করে অনেকগুলো নাটক বানিয়ে ইউটিউবে প্রচার করেন। রাতারাতি তিনি মডেল তারকায় পরিণত হন। নিজেই নাম দেন হিরো আলম। তারপর ‘মারছক্কা’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেন। এরপর জীবনের ছক্কা মারতে খায়েশ হয় সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রথমে জাতীয় পার্টির (জাপা) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা নিয়ে ঢাকায় গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী হন। বিশিষ্ট সিনেমা ব্যক্তিত্ব সোহেল রানার (মাসুদ পারভেজ) কাছে আবেদন করেন। পরে জাপা থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। রবিবার তার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য ওই আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশের সমর্থনের প্রয়োজন। তার আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ৮১ জন। এক শতাংশেরও বেশি ৩ হাজার ৫শ’ জনের স্বাক্ষর সম্মলিত প্রমানপত্র তিনি দাখিল করেন। রিটার্নিং অফিসার এইসব ভোটারের মধ্য থেকে রেন্ডম সাভের (দৈব চয়ন) মাধ্যমে দশজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনজন ভোটার বলেন, তারা ওই কাগজে স্বাক্ষর করেননি। তাদের ঠিকানাও ছিল ভুল। রিটার্নিং অফিসার হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, তিনি আপীল করবেন। বেশ কিছুদিন ধরে হিরো আলমকে নিয়ে কয়েকটি বেসরকারী টিভি চ্যানেল সাক্ষাতকার গ্রহণ করে তাকে ওপরে উঠিয়ে দেয়। হিরো আলম সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এরুলিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর পশ্চিমপাড়া ওয়ার্ডের মেম্বর পদে নির্বাচন করে ১৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এর আগের ইউপি নির্বাচনে ৭০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। সিনেমার নাম মারছক্কার মতো সংসদ নির্বাচনে ছক্কা মারতে চেয়ে হোঁচট খেলেন। তবে এখনও তিনি আশাবাদী। বললেন আমেরিকায় যদি বাদামওয়ালা প্রেসিডেন্ট হন, ভারতে যদি চা বিক্রেতা প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে তিনি কেন এমপি হতে পারবেন না। তিনিও তো জিরো থেকে হিরো হয়েছেন। লোকজনের বলাবলি ‘আহারে বেচারা...’।
×