ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘খবর দিলেই বাড়িতে যাবে মশক নিধন কর্মীরা’

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮

  ‘খবর দিলেই বাড়িতে  যাবে মশক নিধন কর্মীরা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মশা মারতে ও মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে যে কোন নাগরিক সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরকে জানালে বা সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কর্মীদের খবর দিলেই তারা বাড়িতে গিয়ে ওষুধ ছিটাতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। সব স্থানের মশা নিধনের লক্ষ্যে ডিএসসিসি এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশও জারি করেছে বলে জানান তিনি। এজন্য ডিএসসিসি সাহায্য করতে প্রস্তুত বলেও জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে রবিবার সকালে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন (ক্রাশ প্রোগ্রাম) কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, নাগরিকদের সুবিধা অনুযায়ী মশা নির্মূলের অনুমতি দিলে তাদের বাসা-বাড়িতে গিয়েও মশক নিধন কর্মীরা ওষুধ ছিটাতে বাধ্য। রবিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী আমরা আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে মশা নিধন কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন, বর্ষা ও শীত মৌসুমকে সাধারণত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মৌসুম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কারণ, এ সময় তাপমাত্রা কম থাকে। এ জন্য আমরা বিশেষ একটি কর্মসূচী গ্রহণ করেছি। যা আজ (রবিবার) থেকে শুরু হয়েছে। সাঈদ খোকন আরও বলেন, এবার আগাম বৃষ্টি হয়েছে। তাই বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা বেশি ছিল কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার মতো নয়। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। এতে মশার উপদ্রব শুরু হয়। এই উপদ্রব যাতে নাগরিকদের আতঙ্কিত ও বিরক্তির কারণ না হয় সে জন্য আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। এখন তাপমাত্রা কমে আসার কারণে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে। সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ জনবল দিয়ে সফল হতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করব। জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়র খোকন বলেন, মশা নিধনে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যদি কোন এলাকায় (কর্মচারীরা) অনুপস্থিত থাকে তাহলে সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে অবহিত করলে অনুমতি সাপেক্ষে বাসায় গিয়ে স্প্রে করতে বাধ্য থাকবে। মেয়র বলেন, যদি আপনার বাসাবাড়িতে স্প্রে করতে চান তাহলে আমাদের কাউন্সিলর বা কর্মীদের বলবেন। আপনার অনুমতি সাপেক্ষে আমাদের কর্মীরা স্প্রে করতে বাধ্য। আমরা অফিস আদেশ জারি করে দিয়েছি। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ঢাকার ধুলা দূষণ ও রায়ুমান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পরিবেশ অধিদফতরের। এর পরও দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা ১০টি গাড়ি দিয়ে ডিএসসিসির সীমানায় সকাল-বিকাল প্রধান সড়কগুলোতে পানি ছিটাচ্ছি। এতে অনেক কষ্ট লাঘব হচ্ছে।
×