ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্যাম্পাসে জন্মদিনের আনন্দ

প্রকাশিত: ০৮:০৩, ২ ডিসেম্বর ২০১৮

ক্যাম্পাসে জন্মদিনের আনন্দ

ক্যাম্পাসে আসাটা আমাদের খুব বেশিদিন হয়নি। এখনও স্পষ্টভাবে মনে পড়ে প্রথম দিনের প্রথম ক্লাসের কথা। সেদিন ক্লাসের সকলেই ছিল সকলের অপরিচিত। কারও সঙ্গেই কখনও দেখা পর্যন্ত হয়নি। ভর্তির দিন হয়ত দু-একজনের সঙ্গে একটু-আধটু পরিচয় হয়েছিল। অল্প কয়দিনের ব্যবধানে আজ সেই ক্লাসমেটরাই হয়ে গেছে প্রাণের আপনজন। তাদের সঙ্গে রচিত হয়েছে ভাললাগা ও ভালবাসার মধুর মধুর সম্পর্ক। একজনের কল্যাণে আর একজন যেন আজ নিবেদিতপ্রাণ। সর্বদা সবাই চায় একজনকে কিভাবে খুশি রাখা যায়, আনন্দ দেয়া যায়। কখনও কখনও বন্ধু-বান্ধবদের আচমকা কিছু কর্মকা-ে অনেককেই হতে হয় আনন্দিত ও বিস্মিত। ঠিক তেমনি একটি আনন্দিত ও বিস্মিতভরা দিনের গল্প আজ বলব। সেদিন ছিল ক্রপ বোটানির প্রাক্টিক্যাল ক্লাস। ক্লাস শেষ হওয়ার পরপরই বন্ধু পলাশ বলল, দোস্ত! চল একটু বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাই। আমি গেলাম। সঙ্গে গেল গ্রুপের অন্যসব বন্ধুরা। সেখানে গিয়ে কিছুটা আনন্দিত ও কিছুটা সারপ্রাইজড হলাম। কারণ বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতরে তখন আমার জন্মদিন পালনের মহড়া চলছে। অনাকাক্সিক্ষতভাবে বিষয়টা জেনে মনে মনে খুশি হলাম। ভাল লাগল। বন্ধুদের অনেক আপন ও কাছের মানুষ মনে হলো। সামনে একটা বড় আকারের জন্মদিনের কেক। কেকে মোমবাতি সাজাচ্ছে কয়েকজন। মোমবাতি সাজানোর পর তাতে আগুন জ্বালানো হলো। মোমবাতি জ্বালানো শেষে আমরা কয়েকজন গিয়ে দাঁড়ালাম মোমবাতি নিভানোর জন্য। তখন চারদিক থেকে ঘিরে আছে অন্যসব বন্ধুরা। মোমবাতি নিভানোর সঙ্গে সঙ্গে সকলেই হাততালি দিয়ে সম্মিলিত কণ্ঠে বলে উঠল ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ... হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ।’ কেক কাটা হলো, খাওয়া হলো। পাশাপাশি কয়েক মুহূর্ত দুষ্টামির ছলে চলল একে অন্যের গালে-মুখে কেক মাখানোর উৎসব। এরপর আমাকে দেয়া হলো জন্মদিনের উপহার। উপহার হাতে পেয়ে অন্যরকমের এক ভাল লাগার কোমল স্রোত বুকের একপাশ দিয়ে বয়ে গেল। পরে সিঙ্গাড়া, পুরি, সামুচা ও লাড্ডু পার্টিও হলো। সবশেষে শুরু হলো ছবি তোলার উৎসব। জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে বন্ধুদের কাছে বিদায় নিয়ে যখন হলে ফিরে এলাম তখন বার বার মনে হলো একটি কথা- ‘আজকের এইদিন কখনও কোনদিন/ হবে না চির মলিন/ অনেকদিন পরে অনেক কাজের ভিড়ে একটু অবসরে/স্মৃতির পাতা উল্টালেই মনে পড়বে বারে বারে!’ মু. শাহীন আখতার
×