ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জি-২০ সম্মেলনে ট্রাম্পের আশা ॥ শি জিনজিংয়ের সঙ্গে নৈশভোজ

বাণিজ্যযুদ্ধের তীব্রতা কমবে

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২ ডিসেম্বর ২০১৮

বাণিজ্যযুদ্ধের তীব্রতা কমবে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার সাক্ষাত দুদেশের মধ্যে শুল্ক লড়াইয়ের তীব্রতা কিছুটা হলেও কমাবে। এর আগে তিনি বহুল আলোচিত উত্তর আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তিতে সই করেন। আঞ্চলিক ওই চুক্তিতে অপর দুই গুরুত্বপূর্ণ দেশ মেক্সিকো ও কানাডা। ওয়াশিংটন পোস্ট। শনিবার জি-২০ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর রাতে বুয়েনস এয়ার্সের একটি হোটেলে শি’র সঙ্গে ট্রাম্পের নৈশভোজে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সফল করতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কিছু অগ্রগতি হতে পারে। আমরা চাই বৈঠক থেকে ইতিবাচক ফল বেরিয়ে আসুক। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানাননি। শুক্রবার দিনের প্রথম দিকে ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা রবার্ট লাইথাইজারকেও চীনের প্রতি সুর নরম করতে দেখা গেছে। লাইথাইজারের পরামর্শেই ট্রাম্প এর আগে চীনের সঙ্গে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘নৈশভোজে কোন অগ্রগতি না হলে আমি অবাক হব। আমি আশা করি তারা দুজনই ইতিবাচক দৃৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নৈশভোজে বসবেন।’ উত্তর আমেরিক বাণিজ্য চুক্তিতে সই হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। অফিসিয়ালি দু’পক্ষের থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও নৈশভোজ থেকে কেউই বড় ধরনের অগ্রগতি আশা করছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ই একে অন্যের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করে রেখেছে। দুই প্রেসিডেন্ট বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নিজ নিজ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে পারেন। চীন সরকারীভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। মার্কিন চ্যাম্বার অব কমার্স চীনের বাজারে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কের বোঝা কমানোর জন্য ছয়মাসের সময়সীমা নির্ধারণের একটি প্রস্তাব দিয়েছে। কর্নওয়েল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চীন শাখার সাবেক বিভাগীয় প্রধান ঈশ্বর প্রসাদ বলেন, ট্রাম্পকে যদিও চীনের বিষয়ে কঠোর বলে মনে হয়, তবে এটিও ঠিক যে তিনি একজন ভাল আলোচনাকারী। উভয়পক্ষের মধ্যে যে পাহাড় পরিমাণ বৈষম্য গড়ে উঠেছে তা রাতারাতি বদলে যাবে সেটি কেউ আশা করছে না, তবে এ নিয়ে বরফ গলার একটি সম্ভাবনা তৈরি হবে। এদিকে ট্রাম্প রাশিয়ার ইউক্রেনের জাহাজ আটকের ঘটনার জেরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন। ফলে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে নেতাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার যে কথা রয়েছে সেখানে এ দু’নেতার বৈঠকটি আর হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নেতাদের মধ্যে মতবিভেদের কারণে সম্মেলনের যৌথ ঘোষণাপত্রে এ বিষয়ে সবার মতৈক্য পৌঁছানো সুদূর পরাহত হতে পারে। তাছাড়া, সম্মেলনে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়া সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিকে নেতারা কিভাবে দেখবেন সেটিও একটি প্রশ্ন। জি-২০ তে আছে বিশ্বের সবচেয়ে শিল্পোন্নত ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এর দেশগুলো হচ্ছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।
×