ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নৃত্য গীত কথনে বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২ ডিসেম্বর ২০১৮

নৃত্য গীত কথনে বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বছর ঘুরে আবার এসেছে বাঙালিত্বের অহংকারের প্রতিচ্ছবি বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। এ মাসেই বাঙালীর বীরত্বে শত্রুকে পরাজিত করে বিশ্ব মানচিত্রে জেগে ওঠে বাঙালীর রাষ্ট্র বাংলাদেশ। জাতিসত্তার গৌরবগাথার সাক্ষ্যবহ সেই মাসের প্রথম দিনটি ছিল শনিবার। হালকা শীতল হেমন্তের সকালে বিজয় মাসের অনবদ্য এক ক্যানভাসের দেখা মেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে। হৃদয় উজাড় করে শিল্পীরা গাইলেন দেশের গান। আবৃত্তিশিল্পীদের কণ্ঠে উচ্চারিত হলো স্বদেশের বন্দনামাখা কবিতার পঙ্ক্তিমালা। অভিব্যক্তির সঙ্গে মুদ্রার সম্মিলনে গানের সুরে নৃত্যশিল্পীরা প্রকাশ করলেন মা ও মাটির প্রতি ভালবাসা। বিশিষ্টজনের আলাপচারিতায় উঠে এলো জাতির সংগ্রাম ও অর্জনের কথা। এভাবেই নৃত্য-গীত ও কথনের সম্মিলনে অনুষ্ঠিত হলো ‘বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত’ শীর্ষক আয়োজনটি। প্রতিবছরের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পদক্ষেপ বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জামান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বাদল চৌধুরী। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুন নিসা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মানজারুল ইসলাম চৌধুরী সুইট। আলোচনায় গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আমরা বিজয় মাসের প্রথম প্রহর উদযাপন করছি এমন এক জায়গায় যেখান থেকে কয়েকশ গজ দূরে ঐতিহাসিক সাত মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। সেখানে পাকিস্তানের ৯৩ হাজার দখলদার সৈন্যবাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। এই বিজয়ের মাসে আমরা এই শপথ গ্রহণ করতে চাই যে, একাত্তরের যে মহান আদর্শকে সামনে রেখে বীর বাঙালী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লড়াই করেছিল সেই কাক্সিক্ষত অসাম্প্রদায়িক, শোষণমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই বিজয়ের মাসের ৩০ তারিখে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে বিজয়ী করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। একক ও দলীয় সঙ্গীত, বিজয়কথন এবং দলীয় নৃত্য পরিবেশনার সঙ্গে কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে সাজানো আয়োজনটি সকাল সাতটায় শুরু হয়ে শেষ হয় সকাল ১০টায়। আলোচনা শেষে ছিল নাচ-গান ও কবিতায় সাজানো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্বে সম্মেলক সঙ্গীত পরিবেশন করে স্বভূমি লেখক কেন্দ্রের শিল্পীরা। অনেকগুলো কণ্ঠ এক সুরে গেয়ে শোনায় ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’। এ ছাড়াও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী ও পদক্ষেপ বাংলাদেশের শিল্পী। নৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দন ও নৃত্যাক্ষের শিল্পীবৃন্দ।
×