ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফখরুলের অভিযোগ

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে না যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে না যুক্তরাষ্ট্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যুক্তরাষ্ট্র দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না। এমন ভূমিকায় হতাশার বাণী প্রকাশ পেয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কণ্ঠে। যদিও তিনি ঐক্যফ্রন্ট কোনক্রমেই নির্বাচন থেকে সরে যাবে না বলে দাবি করেছেন। আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট দূর হবে বলেও তিনি দাবি করেছেন। শুক্রবার গুলশান বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যুক্তরাষ্ট্র যে ভূমিকা রাখছে তা হতাশাজনক। কারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ঢাকায় নিয়োজিত বিদেশী ক‚টনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক হয় তাদের। বৈঠকে নানা অভিযোগ ও দাবি তুলে ধরা হয়েছিল। এরপরেও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-হয়রানি বন্ধ হয়নি। এমনকি বিভিন্ন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও তার কোন সুরাহা হয়নি। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কিছুই করা হচ্ছে না। এসব বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ কোন দেশের ক‚টনীতিকদের কাছ থেকেও কোন ধরনের বক্তব্য আসেনি। প্রসঙ্গত, গত বুধবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে দলটির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর বিল মোলারসহ দুইজন কর্মকর্তা। এছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এরই মধ্যে উত্থাপিত বিলে বাংলাদেশে নির্বাচন ঘিরে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র শিবিরসহ ধর্মীয় দলগুলোর সহিংসতার শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব দল ও গোষ্ঠীকে কোন ধরনের সহায়তা না করার জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে। সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বাংলাদেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে কে আক্রমণ করে সেটা কি তারা দেখেন না সে প্রশ্নও তোলেন। প্রসঙ্গত, বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচীতে ২০১৫ সালে খিলক্ষেত এলাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা হামলা করে ইটপাটকেল ছুড়ে ভাংচুর করেছিল। ওই ঘটনার পর জামায়াতে ইসলামী গাড়ি ভাংচুরের দায় স্বীকার করে গাড়ির ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছিল। এমনকি তারা সংবাদমাধ্যমে ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছিল।
×