ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যক্ষের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

 অধ্যক্ষের বাড়িতে  গৃহপরিচারিকার রহস্যজনক মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারী সদরের চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের আরাজি দোলুয়া বটেরতল গ্রামের রিক্সাচালক রফিকুল ইসলামের চৌদ্দ বছরের মেয়ে রোকসানা এক কলেজ অধ্যক্ষের বাড়িতে লাশ হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেলে রোকসানার মরদেহ দাফন করা হয় গ্রামের মসজিদপাড়ের কবরস্থানে। এ সময় উপস্থিত মুসল্লিরা এ ঘটনার বিচার দাবি করে। সকলের অভিযোগ শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে রোকসানাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে অধ্যক্ষের পক্ষে বলা হয়েছে রোকসানা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি রহস্যজনক হয়ে উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, রোকসানা গত ৪ নবেম্বর হতে গৃহপরিচারিকার কাজ করত সম্প্রতি জাতীয়করণ হওয়া বীরগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ খয়রুল ইসলাম চৌধুরীর দিনাজপুর শহরের বাড়িতে। অধ্যক্ষ খয়রুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ স্কাউটস দিনাজপুর জেলা রোভারের নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ও বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি পদে রয়েছেন। তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন দিনাজপুর শহরের সুইহারী মহল্লায়। তার স্ত্রী কামরুন্নাহার সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি করেন দিনাজপুরের গাওসিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। দিনাজপুরে ওই অধ্যক্ষের বাড়িতে লাশ হয় রোকসানা। এদিকে রোকসানার দাদা আফসার আলী অভিযোগ করে জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে বীরগঞ্জ সরকারী কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, রোকসানা খুব অসুস্থ তাকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। আপনাদের নিয়ে যেতে গাড়ি নিয়ে এসেছি। ওই কথা শোনার পর আমি, আমার স্ত্রী (রোকসানার দাদি) রশিদা খাতুন, রোকসানার খালা ময়না বেগম ও রোকসানার চাচত ভাই রহিদুলসহ আমরা চারজন দিনাজপুর যাই। আমাদের দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে জানানো হয় রোকসানা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, আমরা রোকসানার লাশ দেখে বুঝতে পারি তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করলে গলায় দাগ থাকবে, জিব বের হয়ে যাবে। কিন্তু এর কোন আলামত আমরা দেখতে পাইনি।
×