স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ জামায়াত দেশের শত্রু, তাদের দলে কোন মুক্তিযোদ্ধা নেই। টর্চের আলো জ্বালিয়েও জামায়াতের মধ্যে একজন মুক্তিযোদ্ধা খুঁঁজে পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শুক্রবার নগরীর টিলাগড় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। গত বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেছিলেন, ‘কেউ যুদ্ধাপরাধ না করলে তার হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দিতে সমস্যা কী? জামায়াতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছে।’
এ সময় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোট ভাই সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবীর, মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ প্রমুখ।
এর আগে শুক্রবার সকালে অর্থমন্ত্রীর বাসবভনে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে স্বাক্ষাতকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই আমরা আজ স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছি। বাজেটের সিংহভাগ অর্থই ব্যবসায়ীরা জোগান দিয়ে থাকেন। তাই সব অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের মূল্যায়ন করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ এবং সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে বিমানের ফ্লাইট চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ উন্নত করার বিষয়টি উল্লেখ করে সিলেট-ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে রেলের নতুন বগি সংযোজন, রেললাইন সংস্কার ও সেবার মান বৃদ্ধিকরণ, সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালুকরণ, সিলেটে গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু, প্রতিদিন সান্ধ্যকালীন ফ্লাইট চালু রাখা, শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্রে দুদিন অকশন চালু রাখা, নতুন বিসিক শিল্প নগরী গঠন এবং ব্যবসায়ীদের অন্তত তিন মাসের অন এরাইভ্যাল ভিসা দেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের কল্যাণে অত্যন্ত আন্তরিক। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প ও আইটি খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যার মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, হাইটেক পার্ক নির্মাণ ইত্যাদি অন্যতম। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট চেম্বারের সহ-সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, পরিচালক পিন্টু চক্রবর্তী, এহতেশামুল হক চৌধুরী, মুকির হোসেন চৌধুরী, চন্দন সাহা, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মোঃ আব্দুর রহমান জামিল, মোঃ আতিক হোসেন প্রমুখ।
