ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনের টুকিটাকি

যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে একই কাতারে আবু সাইয়িদ

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

 যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে একই কাতারে আবু  সাইয়িদ

রশিদ মামুন ॥ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড নিয়ে ফ্যাক্টস এ্যান্ড ডকুমেন্টস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন, মুক্তিযুদ্ধ আর সাম্প্রতিক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার; সব কিছুতে বিস্তর লেখালেখি করেছেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্তত তার সারা জীবনের লেখনী, বক্তব্য সব কিছুতে যে পরিমাণ যুদ্ধাপরাধীদের বিরোধিতা তাতে মনে হতে পারে তিনি আর যাই হোক সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য দল বদল করবেন না। আর যেহেতু বার বার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, মন্ত্রীও ছিলেন; এর মধ্যে নতুন স্বাদ খোঁজার চেষ্টাও করবেন না। কিন্তু এই চিন্তার পতন হয়েছে অধ্যাপক সাইয়িদের গণফোরামে যোগ দেয়ার পর। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি গণফোরামে যোগ দিয়ে নির্বাচন করছেন। গণনফোরাম নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছে। আবার যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতও ধানের শীষে নির্বাচন করছে। অর্থাৎ একাদশ সংসদ নির্বাচনে অধ্যাপক সাইয়িদ এবং জামায়াতের প্রার্থীদের একই প্রতীক। সারা জীবন যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন তাদের সঙ্গে একই প্রতীকে নির্বাচন করতে কেমন লাগছে সেটি কেবল তিনিই বলতে পারবেন। তবে শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য দল বদল সারা জীবনের বিশ^াস পাল্টে দিচ্ছে? এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনিও দল বদল করেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনী আর অধ্যাপক আবু সাইয়িদ নিশ্চয়ই একই কাতারের নন। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে একই কাতারে দাঁড়ানো নিশ্চয়ই আবু সাইয়িদের শোভা পায় না। তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে দেখা যায় আবু সাইয়িদ ১৯৯৬ সালের জুন থেকে জুলাই ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ছিলেন। আবু সাইয়িদ ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলির সদস্য ছিলেন। ১৯৭২ সালে গঠিত ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাবনা জেলার গবর্নর নিযুক্ত করেন তাকে। তিনি সামরিক শাসকের একজন কঠোর সমালোচক ছিলেন। ২০১৩ সালে আবু সাইয়িদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। তার পিএইচডি গবেষণার বিষয় ছিল ইন্ডিপেন্ডেন্স অব বাংলাদেশ : এ ডিপ্লোম্যাটিক ওয়্যার। তার সারা জীবনের লেখনীতে কেবল মুক্তিযুদ্ধই এসেছে ঘুরেফিরে। এখন তিনি কিভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলবেন, সেটিই দেখার বিষয়। তন্ময়ে মাতোয়ারা ॥ রাজনীতিতে এসেছে শেখ পরিবারের নতুন সদস্য। তিনি শেখ শাহরান নাসের তন্ময়। তিনি এসেই চেহারা আর বক্তৃতা দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। তবে সমালোচকরা বলেন, যতটা না পুরুষের তার চেয়ে বেশি নারীর। কেবল বাগেরহাট-২ আসনের নারীদের নয় সারাদেশের নারীই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তন্ময়কে নিয়ে সরস মন্তব্য করছেন। চেহারার কল্যাণে তন্ময় আজ সকলের কাছেই পরিচিত। তন্ময় এই আগ্রহকে কেমন চোখে দেখছেন, জবাবে বলেছেন, যেহেতু তিনি তরুণ তাই তরুণদের আগ্রহ তার প্রতি বেশি থাকবে এটা স্বাভাবিক। তন্ময়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এক তরুণী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেনÑ শুধু তরুণদের কথাই বললেন আর তরুণীরা! একজন তো আরও সরস হয়ে লিখেছেন, এই চেহারায় তন্ময় রাজনীতিতে নামলে রসাতলে যাবে সব। অনেকের ঘর ভেঙ্গে যাবে বয়ফ্রেন্ডদের বাই বলে নাকি বান্ধবীরা সব তন্ময়মুখী হবেন। বাগেরহাট- ২ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৯৫ আর নারী ভোটার ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৩। ফলে তন্ময় আকর্ষণে অন্য সবাই উড়ে যেতে পারেন। এক নারী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার ছোট বোনসম অন্য এক নারীর কবিতাকে উদ্ধৃত করেছেন। সেখানে তন্ময়ের ওপর প্রবল প্রেম লক্ষ্য করা গেছে যার শেষ লাইন এমন ‘তুমি সবজি আমি খুন্তি।’
×