ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়ন সহযোগীরাও এই অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে

মাইলফলকের পথে ॥ জিডিপি ৭ শতাংশের বৃত্ত ভেঙ্গে ৮ ভাগ

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

মাইলফলকের পথে ॥ জিডিপি ৭ শতাংশের বৃত্ত ভেঙ্গে ৮ ভাগ

কাওসার রহমান ॥ মহাজোট সরকারের প্রায় ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি স্থিতিশীল জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এ সময় দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দুটি মাইলফলক অর্জন করেছে। প্রথম দফায় পাঁচ শতাংশের বেড়াজাল ভেঙ্গে ছয় শতাংশের ক্লাবে ওঠে প্রবৃদ্ধি। দ্বিতীয় দফায় ছয় শতাংশের বৃত্ত ভেঙ্গে সাত শতাংশের ক্লাবে যোগ দেয় এই প্রবৃদ্ধি। বর্তমানে সাত শতাংশের বৃত্ত ভেঙ্গে আট শতাংশের মাইলফলক অর্জনের পথে দেশের অর্থনীতির এই মাপকাঠিটি। সংরক্ষণবাদী বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীরা এই প্রবৃদ্ধি স্বীকৃতি দিতে বিলম্ব করলেও অবশেষে তারা এদেশের এই অর্জনকে মেনে নিয়েছে। এখন উন্নয়ন সহযোগীরাই বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তথা আর্থিক বৃদ্ধি সাত শতাংশের ওপর অর্জিত হবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সম্প্রতি প্রকাশিত তার ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৮’ তে বলেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আর বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রফতানি আয় ও রেমিটেন্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। আর জিডিপির আকার ২৭৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, তিন অর্থবছরে ৭ শতাংশ ছাড়ানো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পর চলতি অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ সরকার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ঠিক করেছে। পরিকল্পনামন্ত্রী আ ন হ মোস্তফা কামালও জানিয়েছেন, প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশে ছিল। আর যখন শিগগির চূড়ান্ত প্রাক্কলন করা হবে তখন তা আরও বৃদ্ধি পাবে। চলতি অর্থবছরটি হচ্ছে নির্বাচনের বছর। এ বছর দেশের অর্থনীতির গতি কিছুটা শ্লথ থাকবে। কারণ, নির্বাচনের ডামাডোল এবং নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর্বে অন্তত তিন মাস দেশের অর্থনৈতিক কর্মাকা- মন্থর থাকবে। সরকারী অর্থ ব্যয়ও বিশেষ করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর বাস্তবায়ন কমে যাবে। যার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু নির্বাচন কেন্দ্র করে দেশে নির্বাচনী প্রচার ও কর্মকা-ে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে। এই অর্থ শুধু শহর এলাকাতেই নয়, ছড়িয়ে যাবে দেশের আনাচে-কানাচে; যা দেশের অর্থনীতিকে বেশ ভালভাবেই চাঙ্গা রাখবে। ফলে নির্বাচনী বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি তথা জিডিপি প্রবৃদ্ধি না কমে বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে পরিকল্পনামন্ত্রী আ ন হ মোস্তফা কামালের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পরিকল্পনামন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আমরা আশা করছি চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ ছুঁবে। প্রবৃদ্ধির এই হার ২০২৫ সালে ৯ শতাংশে এবং ২০৩০ সালে ১০ শতাংশে পৌঁছাবে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে দারিদ্র্যের স্তর শূন্যে নেমে আসবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতও বলছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, অর্থনৈতিক কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব নয়। তার মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক উঁচুতে অবস্থান করছে। গত ১০ বছরে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় দেশে এমন একটি উপযুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, যেটা বজায় থাকবে। ফলে কোন কিছুতে এটা বাধাগ্রস্ত হবে না। অর্থমন্ত্রীর মতো নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত নয় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকও। তারাও বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ; আগের বছরে যা ৩ শতাংশ ছিল। শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। তবে সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কিছুটা কমে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। এই তিন খাতেই চলতি অর্থবছরে ভাল প্রবৃদ্ধি হবে। ভোগ্যপণ্যের ব্যবহার এ অর্থবছর বাড়বে এবং সরকারী বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে অবদান রাখবে বলে এডিবি মনে করছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সেবা ও শিল্প খাতও বড় অবদান রাখবে। ফলে ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। শুধু নির্বাচন নয়, বাংলাদেশর জন্য আরও একটি শঙ্কার কারণ হচ্ছে চলমান বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্ট এ বাণিজ্য যুদ্ধে এখন অনেক দেশই জড়িয়ে পড়ছে। অথবা যুক্তরাষ্ট্র অনেক দেশকেই এই যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য করছে তার কর্মকা-ের মাধ্যমে। এ যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে পড়বে। বৈশ্বিক বাণিজ্য সংকুচিত হবে। ফলে তার একটি প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পড়াটা স্বাভাবিক। তবে এডিবি তার পূর্বাভাসে বলছে, ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ধীরগতির আশঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশের রফতানি এবং রেমিটেন্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমদানি ব্যয়ও কিছুটা কমবে। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বাণিজ্য যুদ্ধে ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ বছরে অর্থাৎ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল ৫.১৪ শতাংশ। এখান থেকেই মূলত দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির উত্থান শুরু হয়। সেখান থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রথম অর্থবছরেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে উঠে যায়। অর্থাৎ ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় ৬.০৭ শতাংশ। পরের ২০১০-১১ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬.৭১ শতাংশে। ২০১১-১২ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় ৬.২৩ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় ৬.০৩ শতাংশ। আর মহাজোট সরকারের প্রথম পাঁচ বছর মেয়াদের শেষ বছরে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় ৬.০১ শতাংশ। এই সরকারের পাঁচ অর্থবছরে দেশের গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.২১ শতাংশ। সরকারের শেষ বছরে (২০১৩-১৪) জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতাজনিত পরিস্থিতি সত্ত্বেও ছয় শতাংশের ওপরই (৬.০১ শতাংশ) জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। অথচ সকল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, এ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের নিচে নেমে যাবে। এখানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯৯১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড়হার ছিল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশে। বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম অর্থবছর ২০১৪-১৫ সালে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় ৬.৬ শতাংশ। প্রায় এক দশক ৬ শতাংশের বৃত্তে ‘আটকে’ থাকার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রথমবারের মতো ৭ শতাংশের ‘ঘর’ অতিক্রম করে। এ বছর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় ৭.১ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই ধারাবাহিকতায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি পেতে পারে বলে এডিবি মনে করছে। যদিও এ অর্থবছরের বাজেটে সরকার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে ৭.৮ শতাংশ। চূড়ান্ত হিসাবে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২৭৪ বিলিয়ন ডলারে। এর আগের অর্থবছরে (২০১৬-১৭) জিডিপর আকার ২৫০ বিলিয়ন ডলার ছিল। তার আগের অর্থবছরে (২০১৫-১৬) ছিল ২২১ বিলিয়ন ডলার। টানা ১০ বছর ছয় ও সাত শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাটা এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার। সেই অবিশ্বাস্য সাধন করেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফিচ গ্রুপের বিএমআই রিপোর্টে ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধির নেতৃত্বের তালিকায় বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের নাম উঠে এসেছিল। প্রতিষ্ঠানটি বলেছিল, আগামী ১০ বছর বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের বাজার বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেবে। বাংলাদেশের রফতানিমুখী শিল্প খাত আর কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্বের অন্যতম উৎপাদন অঞ্চলে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান এক-চতুর্থাংশের বেশি। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রশংসনীয় প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিচ্ছে তৈরি পোশাক এবং অবকাঠামো নির্মাণ খাত। ফলে বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নতুন চালিকাশক্তি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফিচ গ্রুপের বিএমআই রিপোর্টই সত্যি হয়েছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নতুন চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন আট শতাংশের মর্যাদাকর প্রবৃদ্ধি অর্জনের স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে এখন বাংলাদেশ। কিন্তু এই প্রবৃদ্ধি অর্জন শুধু সরকারী খাতের বিনিয়োগের ওপর নির্ভর করে সম্ভব হবে না। গত অর্থবছর দেশে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল জিডিপির ৩১ শতাংশ। জাতীয় এই বিনিয়োগের মূল চালিকাশক্তি ছিল সরকারী বিনিয়োগ। সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে বেসরকারী খাত। কোন দেশেই মোট বিনিয়োগে বেসরকারী খাতের অবদান ৮০ শতাংশের নিচে হয় না। কিন্তু আমাদের এখানে বেসরকারী খাত যে পরিমাণে বিনিয়োগ করার কথা সে পরিমাণ বিনিয়োগ করছে না। এজন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ওই পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে বেসরকারী বিনিয়োগ হবে না। সেদিকটি মাথায় রেখে সরকারকে এগুতে হবে। ভবিষ্যতে ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সরকারী ও বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বিশ্বের যে কয়টি দেশে প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের বেশি হয়েছে, তাদের জিডিপির তুলনায় বিনিয়োগ অথবা রফতানি বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দুটিই বেড়েছে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কেননা, বাংলাদেশে সরকারী বিনিয়োগ বাড়লেও ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ আশাপ্রদ নয়। রফতানি আয়েও খুব উর্ধগতি দেখা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে শুধু ভোগের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, যা বিশ্বে একেবারেই ব্যতিক্রম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মোটামুটি স্থিতিশীল। এ অবস্থা ধরে রাখতে হলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি করতে হবে। বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ ৭ বা ৬ শতাংশ বড় কথা নয়, আসলে এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হবে। মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিম্নগামী, এটাও ধরে রাখতে হবে।
×