ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডক্টর কামাল এখন জামায়াত-বিএনপির ত্রাণকর্তা ॥ হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

 ডক্টর কামাল এখন জামায়াত-বিএনপির  ত্রাণকর্তা ॥ হাছান মাহমুদ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত, বিএনপি আর নীতিহীন ড. কামাল সাহেবদের নির্বাচনী প্রতীক একই। শুক্রবার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, জঙ্গীবাদ এবং উন্নয়ন বিরোধী চক্রের মূলোৎপাটন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশনে যাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে, যাদের এখন কোন প্রতীক নেই। সেই জামায়াতের ২৫ জনকে মনোনয়নের মাধ্যমে ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে জামায়াতকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করার সুযোগ করে দিয়েছে বিএনপি। আর বিএনপি-জামায়াতের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন নীতিহীন ড. কামাল হোসেন সাহেব, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম রব, কাদের সিদ্দীকিরা। তারা প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন জামায়াতের সঙ্গে কোন ঐক্য হবে না। আর এখন তারাই ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে যাচ্ছেন এবং সেখানে জামাতয়াকেও ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, আউং সান সুচি মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত হওয়ায় কানাডা তার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া সম্মাননা কেড়ে নিয়েছে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া সম্মাননা বাতিল করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং আজকে যে সকল মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে একই প্রতীকে নির্বাচন করছেন, দেশের সমগ্র মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি করা উচিত সেই সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব কেড়ে নেয়া। কারণ তারা মুক্তিযোদ্ধকে কলঙ্কিত করেছেন। এ সময় শিক্ষকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন স্বাধীনতাবিরোধী, যারা রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ায়, রাজনীতির নামে জনগণের সম্পত্তি পোড়ায় তাদের আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে বর্জন করি এবং বাংলাদেশে তাদের রাজনীতির কবর রচনা করি। আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ ড. ইনামুল হকসহ বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
×