ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটের আগে বাজারে সব পণ্যের দাম কমায় স্বস্তি

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

 ভোটের আগে বাজারে  সব পণ্যের দাম  কমায় স্বস্তি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পেঁয়াজের ঝাঁজ ও মরিচের ঝাল কমে যাওয়ায় নিরুত্তাপ এখন রাজধানীর কাঁচা বাজার। আমদানিকৃত প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। অন্যদিকে ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ। ৫০ টাকায় মিলছে মসুর ডাল। কমেছে ইলিশ মাছ ও ডিমের দাম। এছাড়া চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও আটার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট এবং মিরপুর সিটি কর্পোরেশন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কাঁচা বাজারে এখন সবজির দাম সবচেয়ে কম। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও কম। বছরের অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বাজারে এখন কম দামে সবজি পাওয়ায় খুশি ভোক্তারা। কাপ্তান বাজারের সবজি বিক্রেতা খলিল জনকণ্ঠকে বলেন, সরবরাহ বাড়ায় সবজি কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। অথচ এই মরিচ কয়েক মাস আগেও ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ওই বাজারের সবজি ক্রেতা আসলাম বলেন, এ বছর বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ সবচেয়ে বেশি। আর এ কারণে কম দামে কেনা যাচ্ছে। তিনি বলেন, শাক-সবজির পাশাপাশি বাজারে চাল, ডাল, আটা ও চিনির মতো ভোগ্যপণ্যের দাম কমে গেছে। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে না। বরং দিন দিন কমে যাচ্ছে। নির্বাচন সামনে রেখে না বেড়ে বরং পণ্যের দাম কমে যাচ্ছে। এটা ভাল লক্ষণ। এদিকে প্রতিজোড়া মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকায়। এছাড়া দেশীয় জাতীয় অন্য মাছের দামও তুলনামূলক অনেক কম। নদী-নালা, খালবিল, হাওড়-বাঁওড় ও পুকুরের পানি কমতে শুরু করায় দেশীয় মাছ জেলেদের জালে বেশি ধরা পড়ছে। আর এ কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়ে গেছে। প্রতিকেজি চিংড়ি মাছ পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৮০০ টাকায়। রুই, কাতলা, মৃগেল এবং অন্যান্য মাছের দামও কম। এছাড়া গত সপ্তাহে টমেটো ৮৫ থেকে ৯০ টাকা এবং গাজর প্রতিকেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীর মিরপুরের বাজারে আমদানি করা প্রতিকেজি টমেটো ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে গাজর। কাওরান বাজারের জামশেদ স্টোরের স্বত্বাধিকারী ইলিয়াছ কাঞ্চন বলেন, গত চার-পাঁচ মাসে কোন পণ্যের দামই লাগামছাড়া হয়নি। বলা যায় ক্রেতারা দামের অতিরিক্ত বোঝা থেকে মুক্ত থেকে এবার স্বস্তিতেই নিত্যপণ্য কেনাকাটা করতে পারছে। একটু কমে ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, দেশীয় মুরগি কেজি সাড়ে তিনশ টাকা, হাঁস প্রতিটি ২৮০ টাকা থেকে চারশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য সপ্তাহের মতোই সাড়ে চারশ টাকা থেকে ৪৮০ টাকায় গরুর মাংস এবং সাড়ে ছয়শ টাকায় প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে। মুদি পণ্যের মধ্যে চাল মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৮-৬০ টাকা, আটাশ চাল ৫০ টাকা, ঊনত্রিশ চাল ৪৫ টাকা, নাজির ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের পাইজাম লতা গড়ে ৫০-৫৫ এবং স্বর্ণা ও চায়না ইরি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪৪ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি মসুর ডাল দেশি ১০০-১২০ টাকা, মোটা নেপালী মসুর ডাল ৫০-৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
×