ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভৈরব নদ খনন কার্যক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতা দাবি

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১ ডিসেম্বর ২০১৮

 ভৈরব নদ খনন কার্যক্রমে  শতভাগ স্বচ্ছতা  দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরাঞ্চলের গণমানুষের প্রাণের দাবি প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ভৈরব নদ খনন কার্যক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতা চেয়েছে নাগরিক অধিকার আন্দোলন। নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ শুক্রবার সকালে খনন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে হতাশা ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন। জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পে ভৈরব নদ খনন শুরুতে আশা সঞ্চার হলেও বিরামপুর, শেখহাটি, বারান্দী নাথপাড়া, রাজারহাট ও রুপদিয়া অংশে কাজের ধরন দেখে হতবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক মাস্টার নূর জালাল। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গণমানুষের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ‘ভৈরব নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন’ প্রকল্পে ভৈরব নদ পুনঃখননে ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে নদী খননের কাজ শুরুর টার্গেট হাতে নেয়া হয়। খনন কাজ ১ জুলাই ২০১৭ থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি জটিলতার কারণে অনেক সময় পার হয়ে যায়। শেষমেশ খনন প্রথম শুরু হয় শহরতলীর কনেজপুর থেকে। শহরের অংশে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও তাদের বিপরীতে মামলা থাকায় উচ্ছেদ তরান্বিত হয়নি। যশোর শহর অংশের ভৈরব নদের পাড়ে অর্ধশত বিল্ডিং, ডজনখানেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, গোডাউন ও বাড়ি রয়েছে। ১৯২৭ সালের রেকর্ডের আলোকে নদ সীমানার ১শ’ ১৮ অবৈধ স্থাপনাই অবৈধ। আইনসিদ্ধভাবে ওই স্থাপনাগুলো দ্রুত ভেঙ্গে দিয়ে সিডিউল মোতাবেক নদ খননের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক অধিকার আন্দোলন যশোর। ভৈরব নদ খনন ও নাব্য ফিরিয়ে আনলে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক, প্রাকৃতিক, নৈসর্গিক, কৃষিসহ নানাবিধ সমস্যার আশানুরূপ সমাধান হবে বলে মনে করেন নেতৃবৃন্দ। তবে ভৈরব পুনঃখনন এগিয়ে চলার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছেন তারা। ভৈরব নদ পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকা- যথাযথ হচ্ছে না বলেও জানান। পাউবোর নাকের ডগায় খননের নামে যন্ত্রপাতি ফেলে রেখে ঠিকাদাররা কালক্ষেপণ করে চলেছেন। এর প্রতিকার জরুরী বলে দাবি নাগরিক অধিকার আন্দোলনের। সংগঠনের আহ্বায়ক নূর জালার মাস্টারের নেতৃত্বে পরিদর্শনে অংশ নেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার, কমিটির সমন্বয়ক মাসুদুজ্জামান মিঠু, আহসান উল্লাহ ময়না, কামরুজ্জামান বাবু।
×