ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দিল মনোয়ারা মনু

স্মৃতি ও শ্রুতিতে দু’জন

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

স্মৃতি ও শ্রুতিতে দু’জন

সেলিনা বাহার জামানের ৬৪ বছরের মৃত্যুটা সকলের কাছে খুবই আকস্মিক ও অনাকাক্সিক্ষত ছিল তবুও মনে হয় তিনি মৃত্যুকে জয় করে হয়ে আছেন মৃত্যুঞ্জয়ী। তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়ের দিনটি স্মরণ করতে গেলে আজও মনে পড়ে প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর করা রবীন্দ্রনাথের সেই দুটি গানের লাইন। সেলিনা বাহার জামানের কালো বাঁধানো অটোগ্রাফ খাতায় তিনি লিখেছিলেন- ‘আমি হাত দিয়ে দ্বার খুলবো নাগো, গান দিয়ে দ্বার খোলাবো।’ এই দুর্লভ অটোগ্রাফটি আমার দেখার সুযোগ হয়েছিলো ১৯৮৬ সালে নবেম্বর মাসের ১১ তারিখে ধানম-ি লেকের ধারে মিসেস নূরুন্নাহার আবেদিনের বাসার এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে। সেদিন সেলিনা আপা ৩০ বছর আগের সেই অটোগ্রাফ খাতাটি নিয়ে এসেছিলেন সেই অনুষ্ঠানে কণিকাদির আর একটি অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য। ১৯৫৬ সালে বুলবুল ললিতাকলা একাডেমির আমন্ত্রণে শান্তিনিকেতনের সাংস্কৃতিক দল সেবার প্রথম ঢাকায় আসে। সেলিনা আপার মা সংস্কৃতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনোয়ারা বাহার চৌধুরী ছিলেন এই একাডেমী প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। সেই চারুসন্ধ্যায় এই দল আরমানীটোলার নিউ পিকচার হাউসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শ্যামা’ গীতিনাট্যটি মঞ্চস্থ করে। শ্যামার ভূমিকার সঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সেদিন কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানেই এই অটোগ্রাফটি প্রদান করেছিলেন কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সেলিনা আপাকে। কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন ৩০ বছর আগের দেয়া নিজের এই অটোগ্রাফটি দেখে মুচকি হেসে তাঁকে দ্বিতীয় অটোগ্রাফটি দিলেন- ‘যদি দূরে চলে যাই তবু মনে রেখ’ - কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (১৪.১১.৮৬) আমি দেখলাম সেলিনা আপা কিছুটা বিষণœ হলেন- কেন লিখলেন এ দুটি লাইন, শরীর ভালো আছে তো? এরপর থেকেই সেলিনা আপার সঙ্গে আমার পরিচয়ের গভীরতা তৈরি হলো যা ছিল একটি সাঁকোর মতো। পাক্ষিক অনন্যার শুরুর দিকের সংখ্যাগুলোতে ‘আপনজন’ শিরোনামে এবং পরে তাঁর বেশ কিছু লেখা প্রকাশিত হয়। তখন সেই লেখা দেখে আমার মনে হয়েছে একজন লেখক হিসেবে পেছনে ফিরে তাকানোর ক্ষেত্রে তাঁর একটি গভীর অন্তর্দৃষ্টি ছিল। সেই সঙ্গে জানা ছিল সহজ ঝরঝরে শব্দের ব্যবহার এবং লেখাকে গতিময় করে তোলার অনুপম কৌশল। মোহর দিকে জানার আমারও প্রবল আগ্রহ ছিল। সেলিনা আপা প্রায়ই অনন্যায় আসতেন নানা বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হতো তার সঙ্গে। মোহর দি সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখে তিনি একদিন গভীর আবেশে চোখ দুটো বুজে অনেক কথা বলেছিলেন আমাকে। সেই সময়ে নোট করে রাখা কিছু কথা স্মৃতি চারণের মতো এখানে তুলে ধরে এই দুই গুণীজনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। মোহর দির ভালো নাম-কণিকা বন্দ্যোপধ্যায়। এই নামেই তিনি খ্যাত ছিলেন সমস্ত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে এবং আরো পরে সমগ্র ভারতে। খুব ছোটবেলায় এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে তাঁর বাবা ছিলেন শান্তিনিকেতন গ্রন্থাগারের কর্মী শ্রীযুক্ত সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় আর মা শ্রীমতী অনিলা মুখোপাধ্যায়। এঁদের জ্যেষ্ঠ কন্যা ‘মোহর’। তখন তাঁর বয়স মাত্র পাঁচ বছর। শান্তিনিকেতনের তরু মূলের ‘খোলা মাঠের মেলা’য় খেলতে খেলতে একদিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের চোখে পড়লেন। কবি এই বালিকার মধ্যে সঙ্গীতে অভাবনীয় সম্ভাবনা দেখে তাঁকে কাছে ডেকে নিলেন। নতুন নামকরণ করলেন তার ‘কণিকা’। সেই থেকে শান্তিনিকেতনের ‘নীল গগনের সোহাগ মেখে তার ‘প্রাণের সঙ্গে প্রাণে মিলে’ কাটিয়ে দিলেন সারা বেলা। রবীন্দ্রনাথের শেষ দিনগুলোতে তাঁর কাছ থেকে মোহর দি গানের তালিম নিয়েছেন। আর নিয়েছেন শ্রী শৈলজারঞ্জন মজুমদার, কবির ভাইজি শ্রীমতী ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী আর শ্রী শান্তিদেব ঘোষের কাছ থেকে। এঁদের সকলেরই বোধহয় শ্রেষ্ঠ ছাত্রী ছিলেন ‘কণিকা’। ‘কণিকা’র সঙ্গে শেষ দেখা সেলিনা আপার গত ১৯৯৮ সারের ১ মে’ তারিখে শান্তিনিকেতনে। তখন তিনি বেশ অসুস্থ। কারো সঙ্গে দেখা করেন না। তাঁর দেয়া নির্দিষ্ট সময়েই তিন ভাইবোন ছোটভাই ইকবাল বাহার চৌধুরী ও ছোটবোন নাসরিন শামসসহ তিনি তাঁর বাড়ির প্রাঙ্গণে এসে দাঁড়ালেন। সেলিনা আপার বর্ণনায় চারদিকে সবুজ গাছ ঘেরা ছোট্ট দোতলা বাড়ি, নাম-‘আনন্দধারা’। মনে পড়ল তিনি গেয়েছিলেন-আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’। সত্যিই এ বাড়িতে প্রবেশ করতে এ কথাই মনে করিয়ে দিয়েছিলো তাদের। ঘণ্টা টিপতেই একটি মেয়ে এসে দরজা খুৃলে দিল। বসতে বলল। খানিক পরে কণিকা মানে মোহর দিও ঘরে ডাক পড়ল। বেশ বড়সড় ঘর। দেওয়ালে অসংখ্য ছবি-বেশির ভাগ মোহর দিও অল্প বয়সের ছবি, সে যে কী অপূর্ব। তাঁকে আমি সেই বয়সে দেখিছিলাম ঢাকায় ১৯৫৬ সালে। ঢাকাই শাড়ি পরনে এলো খোঁপায় ফুল গোঁজা, কপালে টিপ। নিমগ্ন হয়ে গান গাইছেন। তার চুল সব সাদা, ছোট করে ছাঁটা কাঁধ পর্যন্ত, কপালে টিপ নেই তবুও যেন সুন্দর। তাঁর ছোট বোন তার দেখাশোনা করেন-পাশের বাড়িতেই থাকেন। তিনিও উপস্থিত ছিলেন তখন। মোহর দিও লেখা বই ‘আনন্দধারা’ দেখলাম। বললেন, এখন নিজের কথা লিখছেন শিগগিরই বেরুবে। তাঁর সঙ্গে বসে চা খেয়ে, ছবি তুলে, অনেক গল্প করে সেদিন ফিরেছিলাম, ভালোলাগায়, ভালোবাসায়, আনন্দে মন ভরে গিয়েছিল। সেই শেষ দেখা এর আগে দেখা হয়েছিল ঢাকায় ১৯৮৬ সালে ধানম-িতে নুরু আপার (নুরুন নাহার আবেদিনের) বাসায়। গানের জগতের অনেকে উপস্থিত ছিলেন সেদিন। বেগম সুফিয়া কামাল এসেছিলেন, এসেছিলেন আমার মা আনোয়ারা বাহার চৌধুরী এবং তুমিও ছিলে দিল মনোয়ারা মনু বেগম পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক হিসেবে। একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন আমার মনে আছে। কিছুটা আবেগে চোখ মুদে বললেন এই রকম নানা কথা মনে পড়ছে মনে পড়ছে, ১৯৫৬ সালে ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্যে নায়িকার ভূমিকায় কণ্ঠদানকারী ‘কণিকা’র কথা- যা আমার হৃদয়পটে কণিকার প্রথম ছবি হয়ে আছে এবং থাকবে চিরকাল। সেলিনা বাহার জামানের কথা বলতে গেলে বলতে হয় তিনি নিজেও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। পঞ্চাশের দশকে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে তার অভিনয়, উপস্থাপনা, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্যনাট্য পরিবেশনার বহু প্রশংসা শুনেছি সুধীজনের কাছে। সেলিনা বাহার জামান ১৯৪৯ সালে নৃত্যশিল্পী কেষ্ট পালের কাছে নাচ শিখেছিলেন। তার সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি বহু নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। লোকনৃত্য, জিপসীনৃত্য ও শিকারী নৃত্য। তখনকার মানসী (এখন নিশাত) সিনেমা হলে শিকারী নৃত্য পরিবেশন করে তিনি প্রশংসিত হয়েছিল। ১৯৫৪ সালে মিসেস টেনিসন এবং সে বছরই প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের স্ত্রী এলিনর রুজভেল্ট ঢাকায় আসেন। তাদের সম্মানে আয়োজিত দুটি অনুষ্ঠানেই সেলিনা বাহার জামান লোকনৃত্য এবং সাঁওতাল নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান দুটি হয়Ñ তৎকালীন গুলিস্তান সিনেমা হল এবং মেরী এন্ডারসন জাহাজে। এরপর মাদাম সান ইয়েৎসেন ঢাকায় এলে তার সম্মানে তৎকালীন শাহবাগ হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে তিনি (সেলিনা বাহার) একক নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন। ১৯৫৬ সালে চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌএন লাই রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসেন। তাঁর সম্মানে গুলিস্তান সিনেমা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চৌএন লাই এর কর্মজীবন নিয়ে একটি নৃত্যনাট্য পরিবেশিত হয়। সেদিন চৌএন লাইয়েন চরিত্রে রূপ দেন সেলিনা আপা। তিনি বেশকিছু নৃত্যনাট্যও প্রযোজনা করেছেন। তার মধ্যে উর্বশী কবিতা অবলম্বনে ‘শ্যামল মাটির ধরাতলে’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ার খেলা উল্লেখযোগ্য। সেলিনা বাহার জামান বুলবুল ললিতাকলা একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে সহ-সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন করেছিলেন। জানা গেছে, সেখানে চ-ালিকা নৃত্যনাট্যটি পরিবেশিত হয় এবং এর মূল চরিত্রে অংশ নেন আমাদের সেলিনা বাহার জামান। বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডে পড়াকালীন সময়ে ছাত্র প্রবাসীদের উদ্যোগে কাউন্ট হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানেও সেলিনা আপা একক নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন যা অনুষ্ঠানের পরে ঞুহব ঞববং ঞবষবারংরড়হ ধারণ করে সম্প্রচার করেছিল। জানা গেছে, নৃত্য শিল্পী হিসেবে এটিই তার জীবনের শেষ অনুষ্ঠান। বিয়ের পর তিনি আর কোন অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেননি। দুঃখজনক হলেও সত্যি বিয়ের পর নাচ ছেড়ে দেয়ার ঘটনা এখনও অহরহ ঘটছে আমাদের দেশের নারী নৃত্য শিল্পীদের জীবনে। এক সময়ে তিনি শুরু করলেন কৃতীজনদের জীবন কর্ম নিয়ে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের কাজ। সরকারী কলেজের অঙ্কের অধ্যাপক সেলিনা বাহার বহুবিখ্যাত জনের স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করে বিপুলভাবে নন্দিত হয়েছিলেন। বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যাওয়া শিল্প, সাহিত্য, নারী আন্দোলন ও সাংবাদিকতায় নিবেদিত মানুষজনকে নিয়ে এই স্মারকগ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। প্রয়াত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মন্ত্রী হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী ও প্রগতিশীল শিক্ষাবিদ আনোয়ারা বাহার চৌধুরীর মেয়ে এবং স্বনামখ্যাত শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী শামসুন্নাহার মাহমুদের ভাতিজী হিসেবে দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের গভীরভাবে জানার দুর্লভ সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি শৈশব থেকেই। ফলে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের কাজটি তিনি অনবদ্যভাবে করতে পেরেছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং সহচর। নজরুলের বহু দু®প্রাপ্য পা-ুলিপি সেলিনা বাহারের সংগ্রহে ছিল। ১৯৯৪ সালে তাই তাঁর সুযোগ্য সম্পাদনায় বের হয় ‘নজরুল পা-ুলিপি’। নজরুল শতবার্ষিকীতে তার কাছে অতিযতনে সংরক্ষিত ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার প্রায় সবগুলো সংখ্যার পুনঃমুদ্রণ করেছিলেন তিনি। নিজ ব্যয়ে একে একে বের করেছেন বহু ‘স্মারকগ্রন্থ’। এদের মধ্যে রয়েছে- জহুর হোসেন চৌধুরী, আনোয়ারা বাহার চৌধুরী, শামসুদ্দীন আবুল কালাম, আবদুল ওয়াহাব, শামসুন্নাহার মাহমুদ, রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেনসহ অনেকে। তার লিখিত বইয়ের মধ্যে ‘কয়েকছত্র প্রাণেরপত্র’ অনবদ্য। নেহাৎই একগুচ্ছপত্র কিন্তু লেখকদের পরিচয় এবং সমকালীন চিত্রের ব্যবহার বইটিতে যেন প্রাণসঞ্চার করেছে। যার তুলনা মেলা ভার। সংবাদ সাময়িকীতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত স্মৃতিকথা ‘পথে চলে যেতে যেতে’ পঞ্চাশ ষাট দশকের ঢাকার সাংস্কৃতিক জীবনেরই জলছবি। যা এই স্মৃতি কথাকে নতুন মাত্রা দান করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থাকা অবস্থায় এই বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের সাংস্কৃতিক প্রবাহের নিখুঁত বর্ণনা আছে তার এই লেখায়। সেলিনা বাহার মানুষ হিসেবে ছিলেন অতুলনীয়। তিনি সমাজকে, সমাজের মানুষকে দেখেছেন, জেনেছেন বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। তাই যেমন মানুষকে ভালবেসেছেন, তেমনি ভালবাসা পেয়েছেন। তাঁর আকস্মিক চলে যাওয়ায় ইতিহাস প্রকাশের সেই গুরুত্বপূর্ণ ধারাটি বন্ধ হয়ে গেল, যার অভাব কাল সচেতন মানুষ অনুভব করবে প্রতিমুহূর্তে। আগামী পহেলা ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন এবং গত অক্টোবরে ছিল মোহরদির প্রয়ান দিবস। এই দু’জনকে জানাই বিন¤্র শ্রদ্ধা এবং গভীর ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা।
×