ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিসিএলে ইয়াসিরের শতকে বিশাল সংগ্রহ পূর্বাঞ্চলের

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

বিসিএলে ইয়াসিরের শতকে বিশাল সংগ্রহ পূর্বাঞ্চলের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথমদিনই বোঝা গিয়েছিল বিশাল সংগ্রহের দিকে এগিয়ে চলেছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল। শামসুর রহমান ১৫৩ রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন, আর দ্বিতীয়দিন ১১২ রানের ইনিংস খেলেছেন মিডলঅর্ডার ইয়াসির আলী। ফলে ৪৭৩ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে তারা। আব্দুর রাজ্জাক নেন ৫ উইকেট। সপ্তম বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) রাজশাহীর কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দিনশেষে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল করেছে ৪ উইকেটে ৮৯। আর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে পেসার শহীদুল ইসলামের দাপুটে বোলিং ৬ উইকেট শিকারের পরও বিসিবি উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংসে ২৫৫ তুলে ৩৫ রানের লিড নেয়। দিনশেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান তুলে যদিও ১৫ রানে এগিয়ে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল, তবে ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা। পূর্বাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল (রাজশাহী) ॥ ৪ উইকেটে ৩১৪ রান তুলে প্রথমদিন শেষ করেছিল পূর্বাঞ্চল। ৪৭ রানে তাসামুল হক ও ২৬ রানে ইয়াসির ব্যাট করছিলেন। দ্বিতীয়দিনের শুরুতেই অবশ্য তাসামুল (৪৮) সাজঘরে ফেরেন। এরপর দ্রুতবেগে উইকেট হারাতে থাকে তারা। কিন্তু ইয়াসিরের শতক এবং দশ নম্বরে নেমে এনামুল হক জুনিয়রের ৪৬ রানে সংগ্রহটাকে বিশাল করে পূর্বাঞ্চল। নবম উইকেটে তারা ৯৭ রান যোগ করে। ইয়াসির ১৭৪ বলে ১২ চারে করেন ১১২ রান। রাজ্জাক ৫টি এবং ফজলে রাব্বি ও মেহেদী হাসান ২টি করে উইকেট নেন। দিনশেষে ৮৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চল। ৩৮৪ রানে এখনও পিছিয়ে তারা। রকিবুল হাসান ৩৩ রানে ব্যাট করছেন। ২টি উইকেট নিয়েছেন অফস্পিনার মাহমুদুল হাসান। মধ্যাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল (বগুড়া) ॥ প্রথমদিন মধ্যাঞ্চল ২২০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ১ উইকেটে ৭২ রান তুলে দারুণ শুরু পেয়েছিল উত্তরাঞ্চল। তবে শহীদুলের ভয়ানক পেসে বেশিদূর যেতে পারেনি তারা। প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৫৫ রানে। ওপেনার মিজানুর রহমান ৯৫ বলে ১০ চার. ২ ছক্কায় ৮১, নাঈম ইসলাম ৬১ ও ফরহাদ হোসেন ৫৪ রান করেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারে ৬৪ রানে ৬ উইকেট নেন শহীদুল। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন আবু হায়দার ও মোশাররফ হোসেন। দিনশেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ৫০ রান তুলে ১৫ রানের লিড পেয়েছে মধ্যাঞ্চল। মোহামেডানের অধিনায়ক মিন্টু স্ত্রী নির্যাতনের দায়ে জেলে স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘরোয়া ফুটবলে ষাট থেকে নব্বই দশকের মাঝমাঝি পর্যন্ত ঈর্ষণীয় সফলতা পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা, অদূরদর্শিতা, খামখেয়ালিতে ‘সাদা-কালো’ শিবির আজ অতীতের ছায়ামাত্র। ক্লাবটি সর্বশেষ লীগ শিরোপা জিতেছে সেই ২০০২ সালে। অথচ এখন তারা দলগঠন করে থাকে রেলিগেশন থেকে উত্তরণের জন্য। ‘সাফল্য’ শব্দটি তাদের জন্য এখন যেন সোনার হরিণ। স্বাভাবিক কারণেই তারা এখন আর আলোচনায় আসে না। তবে বৃহস্পতিবার ঠিকই আলোচনায় এসেছে। তবে সেটা ফুটবলীয় বা ইতিবাচক কারণে নয়। সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং নেতিবাচক কারণে। তাদের এক ফুটবলার স্ত্রী নির্যাতন করে ‘পুরুষত্ব’ প্রকাশ করেছেন। তার খেসারতও অবশ্য দিতে হয়েছে তাকে শ্রীঘর, মানে জেলখানায় ঢুকে। সেই ফুটবলারের নাম মিন্টু শেখ, যিনি একসময় জাতীয় দলেও খেলেছেন।
×