ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিপদে সেই লিভারপুল, শেষ ষোলোর অপেক্ষায় পিএসজি

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

বিপদে সেই লিভারপুল, শেষ ষোলোর অপেক্ষায় পিএসজি

জাহিদুল আলম জয় ॥ শতভাগ ফিট ছিলেন না প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) দুই সুপারস্টার নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপে। এরপরও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের বাঁচামরার লড়াইয়ে মাঠে নামেন সময়ের অন্যতম সেরা দুই তারকা। এর ফল হাতেনাতে পেয়েছে প্যারিসের পরাশক্তিরা। বুধবার রাতে ‘সি’ গ্রুপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অতিথি ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক পিএসজি। এই জয়ের অন্যতম রূপকার ব্র্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। নিজে গোল করা ছাড়াও খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন ফুটবল। এই জয়ে অনেকটাই বিপদমুক্ত হয়েছে পিএসজি। তাদের বিপদ এখন ভর করেছে হেরে যাওয়া লিভারপুলের কাঁধে। কেননা গ্রুপের আরেক ম্যাচে সার্বিয়ার ক্লাব রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইতালির নেপোলি। এতে করে বর্তমানে গ্রুপে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে দিয়াগো ম্যারাডোনার সাবেক ক্লাব নেপোলি। ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে পিএসজি। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে লিভারপুল। গ্রুপের শীর্ষ দু’টি দল দ্বিতীয় রাউন্ডের (শেষ ষোলো) টিকেট পাবে। আর বিদায় নিতে হবে বাকি দল দু’টিকে। শেষ গ্রুপ ম্যাচে মুখোমুখি হবে লিভারপুল-নেপোলি ও রেড স্টার-পিএসজি। শেষ ম্যাচটি তাই লিভারপুলের জন্য বাঁচামরার লড়াই। এদিকে ‘ডি’ গ্রুপে ঘটেছে মজার কা-। পর্তুগালের এফসি পোর্তোর কাছে ৩-১ গোলে হেরেও শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে জার্মানির শালকে জিরো ফোর। আর বলাইবাহুল্য, গ্রুপের শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডের টিকেট কেটেছে পোর্তোও। আরেক ম্যাচে তুরস্কের গালাতাসারেকে ২-০ গোলে হারিয়েও কোন লাভ হয়নি রাশিয়ান ক্লাব লোকোমোটিভ মস্কোর। প্যারিসে পার্ক দ্য প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে অনেকটাই বাঁচামরার ম্যাচে পিএসজি শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। গোলের জন্য খুব বেশি অপেক্ষাও করতে হয়নি। ১৩ মিনিটে ডি বক্স থেকে ডান পায়ের শটে খুঁজে নেন স্প্যানিশ উইঙ্গার জুয়ান বার্নেট। এরপর ৩৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইনজুরি থেকে ফেরা নেইমার। বাঁ উইং ধরে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপে। বল দেন কাভানিকে। কাভানির পা ঘুরে বল চলে যায় নেইমারের কাছে। অনায়াসে লীগে এই মৌসুমে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক। সবমিলিয়ে চলতি মৌসুমে সেলেসাও তারকার গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১৪টি। আর সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ছয়টি। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে নেইমারের এটি ৩১ নম্বর গোল। এই গোল দিয়ে রেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে কোন ব্রাজিলিয়ানের এটাই সর্বোচ্চ গোল। রেকর্ডটির আগের মালিক ছিলেন কাকা (৩০ গোল), রিভাল্ডো (২৭ গোল)। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। স্পটকিক থেকে ইংলিশ মিডফিল্ডার জেমস মিলনার এক গোল পরিশোধ দেন। বিরতির পর পুরো ৪৫ মিনিটে আর গোল পরিশোধ করতে পারেনি জার্গেন ক্লপের দল। ম্যাচ শেষে লিভারপুল বস দুষেছেন রেফারিকে। রেফারি নাকি বেশ কিছু বাজে সিদ্ধান্ত দিয়েছে মাঠে। ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বাধিক গোলদাতা হওয়ার ম্যাচে শতভাগ ফিট ছিলেন না নেইমার। লিভারপুলের বিপক্ষে পিএসজিকে জিতিয়ে নিজেই জানিয়েছেন ফিটনেস নিয়ে এখনও সমস্যায় আছেন। ২০ নবেম্বর জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন নেইমার। ম্যাচে তাই অনিশ্চিত ছিলেন, কিন্তু দলের কথা ভেবে ময়দানী লড়াইয়ে নামতে পিছপা হননি। ম্যাচ শেষে নেইমার এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি শতভাগ ফিট ছিলাম না। কিন্তু ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই আমাকে থাকতে হয়েছে। আশা করছি আমরা আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারব।
×